সব কাঁটাতার সীমানা ভেঙ্গে শিল্পের স্নিগ্ধ বাগানে
ঢুকে পড়ুক কয়েকজন দানব
ঢুকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিক বিয়ারে সাজানো টেবিল
খিস্তি খেউড়ে ভরে উঠুক আমাদের অল ইউরোপিয় ডিনার টেবিল
বন্যতায় আদিম মানুষের সভায় আগন্তুক উজবুক বেবুন
তাদের দেহের মূল্যের বিনিময়ে পাওয়া ব্যাঙ্ক লোনের রেফ্রিজারেটরে
মানূষের ঘামে ফলানো আপেল
যে কতিপয় অতিদানব সংরক্ষন করে রাখে
সেই কথা ভেবে আরো উজবুক হয়ে দেখে
তার মত দেখতে তবে কোর্ট টাই পরা একজন
টেলিভিশনে বলছে সুদানের দুর্ভিক্ষে মরা গিটার বাদকের
লাশ কিভাবে শকুনেরা ঠুকরে খেয়েছে সেই মর্মান্তিক দৃশ্যের কথা
সেই শকুনেরাও ঢুকে পড়ুক আজ
আমাদের সাজানো বাগানের আকাশে
ঘর ভরে যাক প্রেত ফ্যান্টাসি , হলিউড , বিডিএস এম , ফেটিস
অতিকায় বামন জোকারেরা , আয়েশা নামের বাড়ি পালনো
নগ্ন নর্তকীর পায়ের নুপুরটা হারিয়ে যাক এই অন্ধকারে
কেউ কিছু খুজবে না কারণ তাকেই খুজে নিচ্ছে সময়
আর তাকেই বানিয়ে নিচ্ছে নিজের দীর্ঘ সফরের কিছুদিনের বন্ধু
এবার সেই তালগোল পাকানো সময়টা পাগলা কুত্তার মত
ঢুকে পড়ুক আমাদের সাজানো রাতের খাবারের টেবিলে
রবীন্দ্রনাথ এর শেষের কবিতার
জীবনানন্দের সাতটি তারার তিমির এর
প্রচ্ছদ ছিড়ে এখানে যে গাজার রিজলা পেপারের
ফিল্টার বানানো হয়
সেই গাঁজার গন্ধ মেক্সিকান পিয়োটির তীব্র নেশার মত ঘোরে ঘোরে
ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ুক সেই সব তীব্র নেশার ঝোক
আগে আমি বাঁচলে তবে শিল্পের কথা কই
যারা জন্মেই মরে গেছে তাদের কাছে শিল্প শুধু
একটা ক্ষনস্থায়ী ধারনা আর সেই ধারণা হলো
জীবন হলো একটা প্রানের মৃত্যুর শিল্প
কিন্তু যেহেতু আমি বেচে গেছি আর জানি
জীবনকে শিল্প করতে পারলে শিল্প আমাকে তার জীবন করবে
সেই বেয়াড়া , বোকাচোদা জীবনটা ঢুকে পড়ুক
কফিনের ভেতরে আর ঘুম ভাঙ্গাক কোন মৃতের
আর সেই জিন্দা লাশ ঢুকে পড়ুক আমাদের মূমুর্ষ কবিতার বিছানায়
গানের ভেতরে আমি ঈশ্বরের জন্ম দিই
ঈশ্বরকে মেরে ফেলি , পুতে ফেলি আজরাঈল এর লাশ
সেই লাশেরা পৃথিবীর সব জীবিত মানুষের ভেতরে ঢুকে
ঘুরে বেড়াচ্ছে ওয়্যার সিমেট্রির আশপাশের মাঠের সবুজ ঘাষে
জীবন সবুজ হয়ে উঠছে পাহাড়ের নেকড়ের মত গন্ধে গন্ধে
আমি বাইঞ্চোত তবু কোন এক অচেনা দানবের মত
মৃত্যুর পঞ্জিকা লিখি আর ভাবি আমি সেই কবি ( মানুষেরা বলে)
যে আসলে এপিটাফ লিখি প্রতিটা মূহুর্তের মৃত্যুর পরের
শিয়রের কাছে সমাধিফলকে
পাথরে খোদাই করে সময়ের এপিটাফ লিখি
যে এপিটাফে তুমি স্পষ্ট থেকে ঝাপসা হয়ে যাও
সেই ঝাপসা চোখের গভীর চাহনি হোক আমার
খুজে বের করার একগুয়ে একাগ্রতা
যে চোখ ঝাপসা চোখে দেখছে
পৃথিবীর কোথাও আর কোন কাঁটাতার নেই
বেয়াড়া বাইসনে ভরে গেছে
মানূষের আদিম রুপ দর্শনের চিড়িয়াখানায়
উজবুক বেবুনের হাতের হতদম্ব্য এস এল আর ক্যামেরা
শিল্পের মনোরম চিড়িয়াখানায় হঠাত ভেংচি কাটে দূরে বানর
বেবুনের হাতের ক্যামেরা তুলে নেই সেই সুলভ মূহুর্ত
সেই মুহুর্তের ভেতর প্রাণ জন্ম নিচ্ছে
কারো মৃত্যুর জায়গা করে দিতে
বেবুন তুলে রাখে সেই সুলভ মুহুর্তে একটা অনৈতিহাসিক স্ন্যাপ
যে স্ন্যাপে সময়ের মৃত্যু হয়েছে সেই স্ন্যাপ সময়ের এপিটাফ
যেহেতু সময়ের মৃত্যু হয় তাহলে সময়ের সুর্যরশ্মির
গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সীমান্ত পিলারেরো মৃত্যু নিশ্চিত
এই দমবন্ধ ঘরে ঢুকে পড়ুক পৃথিবীর হুলুস্থুল সব বেয়াড়া বাতাস
এটা কোন গ্লোবালাইজেশন এন জি ও ব্যাবসা না
এটা মানুষে মানুষে মিলনের জন্য
জার্মান এক তরুণীর মনের ভেতরে
যে নীল রক্তের প্রবাহের গর্ব আছে
তার নীল রক্ত সবুজ করে দিতে আমি বাড়িয়েছি হাত
এবার নীলের ভেতরে সবুজ মিশিয়ে যে সুর্য ঝলমল করে ওঠা
দ্বীপের মত সে হেসে ওঠে তখন আমি তার গ্রীবায় আলতো চুমু খাই
আর স্তনের পাশে একটা লোভী কামড় দেই প্রানের গন্ধে বিভোর হয়ে
সেই জার্মান তরুনী ঢুকে যাক আমার কবিতার শব্দে
আর আমাকে নিখোজ করে দিক
আফ্রিকার কোন পাহাড়ঘেরা হ্রদের ধারে
তারপর সেই নিখোজ হয়ে যাক
আমার কবিতার ভেতরে শব্দের কোন নিভৃত ঘরে
যেখানে সব দরজা জানালা বন্ধ কিন্তু অনেক অনেক
ঘরের ভেতর থেকে একটা গুমোট শব্দ আসছে
অজস্র মানুষকে নির্বিচারে টর্চার সেলে পেটানো হচ্ছে
আর তার চিতকারের শব্দ
ওহ ওহ মাদার ফাকিং হেড ব্যাঙ্গিং হেভি মেটাল মিউজিক
যেন কোন মদে উন্মত্ত শক্তিশালী গিটারিস্টের হাতে পড়া
একটা হেভি ডেস্টোর্টেড মিউজিকম্যান গিটার
গিটারিস্ট অনেক জোরে আঘাত করে
আর তার গুলো চিতকার করে ওঠে যেন
টর্চাল সেলের গ্রেফতারকৃত কোন সন্দেহভাজনের পিঠে
পুলিশেড় ডান্ডা বাড়ির আঘাতের পরের চিতকার
সেই চিতকার ঢুকে পড়ুক আমাদের
এই মূমুর্ষূ ঐতিহাসিক মৌনতায়
আর ডান্ডা লাঠির হাতে ঘোড়ার আন্ডা দিতে
ঘোড়ার মত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমাই
আন্ডা ফলবে সেই আন্ডায় ডান্ডা লাঠিকে মৃত্যুর ওমলেট খাইয়ে
এই ঘোড়া বের হয়ে যাবে আমার কবিতার
কোটি কোটি রাত পেরিয়ে ,কবিতার দেশ পেরিয়ে
এমন এক দেশের দিকে যেখানে সমুদ্রের জলের ঢেউ ছাড়া বাতাসের আর কোন সমুদ্র সীমা নাই
প্রতিবিম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আকাশ হোক সেই সমুদ্রের বুকে
আমাদের যৌথ , একগামী , বহুগামী , সমকামী , লেসবিয়ান
আরো যত সম্পর্কের সাম্পান ভাসানোর
ইচ্ছা কামনা বাসনার রঙএ আকাশ
যার মেঘের কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে বৃস্টির মত
ভেসে ভেসে অনেকদুর গিয়ে মৃত্যুর অপার্থিব আনন্দ পেতে হয়
কোন মৃত গোলাপের গাছের শেষ গোলাপটার পাপড়িতে ঝরে গিয়ে
পতনটা চরম একবোকাচোদার মত
তবু একটা জীবিত ফুলের পাশে একটা পতঙ্গের মৃত্যু
নোবেল কমিটির শান্তি রক্ষা মিশনের কাছে একটা
গড়হাজির ফালতু মৃত্যুর নথিহীন নথি হলেও
তার ইতিহাস প্রাণের অবসানের চরম আনন্দকর দৃশ্যে
এই পৃথিবী নামক এক আকাশের নিচের সব ভুখন্ডকে
যে আনন্দকর মৃত্যু
সকল ভিন্ন ভিন্ন জাতির সব বিভিন্নতা নিয়েই
মৃত্যুর মিলেই একপ্রাণ করে দেয়
আর পরিত্যক্ত গার্বেজে
মরিচা ধরতে থাকে পৃথিবীর সব
সীমান্ত পিলার এর গায়ে , কাটাতারে
সেই মরিচার মত তোমার ধাতব শরীরে
আমি জমে জমে গান হয়ে যেতে থাকি
আর এটাই আমার শ্রেষ্ঠ শিল্প
( যেহেতু আমরা সবাই এক ভাষায় কথা বলতে ভালবাসি )
তাই “শ্রেষ্ঠ” শব্দটা নিলাম সবার সাথে একভাষায় কথা বলতে
ভবঘুরে কোন বোহেমিয়ান বা জিপসি
বা পাঙ্ক অথবা আফিমখোর সুফির এর কাছে
সুর্যাস্তের সময় মাটির গায়ে হেলান দিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকা সীমান্ত পিলারের মত
তোমার ধাতব দেহে মরিচার গান হয়ে যাওয়া
আমার এই মূহুর্তের গান
আমার এই সময়ের মৃত্যুর ভেতরে বাধ্যগত পুনর্জন্মের সকাল
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০৫