somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই কোটি টাকায় কিলার ভাড়া

১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নরসিংদী পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন হত্যাকাণ্ডে দুই কোটি টাকায় কিলার ভাড়া করা হয়েছিল। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ এক আসামি নরসিংদী শহর যুবলীগ সভাপতি আশরাফ হোসেন সরকার ওরফে আশরাফুল সরকারকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এ তথ্য জানতে পেরেছে। সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের এক আত্মীয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আশরাফ কিলিং মিশনের পাঁচ সদস্যের অন্যতম। আশরাফের মাধ্যমেই কিলিং মিশনের অন্য সদস্যদের মধ্যে মোটা অঙ্কের টাকা ভাগাভাগি হয়। ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও তার তত্ত্বাবধানে টঙ্গী থেকে নরসিংদী নেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতারের পর অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের তিন কর্মকর্তা গতকাল দিনভর তাকে নানা কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নুরুন নবী সমকালকে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী জেলা পুলিশের একটি দল আশরাফকে নরসিংদীর উদ্দেশে নিয়ে গেছে। আজ বুধবার তাকে নরসিংদীর আদালতে হাজির করা হবে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে আশরাফ এ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে জেরার মুখে আশরাফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হন। জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফ বলেন, নানা কারণে মেয়র লোকমানের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি নরসিংদী শহরে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ শুরু হয়। সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া আশরাফের সাড়ে পাঁচ একর জমির মধ্যে আড়াই একর জমি এ প্রকল্পের জন্য নেওয়া হয়। মেয়রের হস্তক্ষেপে জমি হারানোর জন্য লোকমানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আরও কয়েক আসামিকে এরই মধ্যে শনাক্ত করা গেছে। যে কোনো সময় তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। এ ছাড়া আশরাফকে গ্রেফতারের পর লোকমান হত্যার অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসছে। এদিকে গ্রেফতারকৃত কাজী মাসুদ ওরফে
টিপ্পন কাজী ওরফে পংকা জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, হত্যাকাণ্ডে মূল নেতৃত্ব দেন আশরাফ। তিনি পুরো পরিকল্পনার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। নরসিংদী পুলিশ টিপ্পন ও ও হাজি মোহাম্মদ সেলিমকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন, একক কোনো কারণে লোকমানকে হত্যা করা হয়নি। একসময় নরসিংদীর রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করত বেপারীপাড়া। লোকমান রাজনীতিতে আসার পর বেপারীপাড়ার নিয়ন্ত্রণ কমতে থাকে। এতে একটি পক্ষ লোকমানের শত্রুতে পরিণত হয়। এদিকে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মতিন সরকারের সঙ্গে লোকমানের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। অন্যদিকে বালুমহালের ব্যবসা নিয়েও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ ছাড়া অধিক জনপ্রিয়তার কারণেও নরসিংদী আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বিরাগভাজন ছিলেন লোকমান। হত্যা পরিকল্পনার পেছনে এসব বিষয় কাজ করেছে বলে পুলিশের ধারণা।
যেভাবে হত্যার চুক্তি : জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি কর্মকর্তারা আশরাফকে প্রশ্ন করেন, ঘটনার দিন কোথায় ছিলেন? আশরাফ জানান, গদিতে (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান) বসা ছিলাম। লোকমান হত্যার খবর পাওয়ার পর কী করছিলেন_ এমন প্রশ্নের উত্তরে আশরাফ বলেন, প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। এরপর এলাকার পরিচিত এক লোকের বাড়িতে পালিয়ে যাই। আপনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলে কেন পালালেন_ এমন জেরার মুখে আশরাফ বলেন, কে কোন দিক থেকে রাজনৈতিকভাবে মামলায় জড়িয়ে ফেলবে এমন আশঙ্কা থেকেই পালিয়ে যাই। কীভাবে রাজধানীতে আত্মগোপন করেন_ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নরসিংদী থেকে হোমনা যাই, সেখান থেকে রাজধানীতে। আশরাফ জানান, প্রথমে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে আত্মগোপনে ছিলেন। পুলিশ উপস্থিতি জানতে পেরেছেন এটা বুঝতে পেরে এলিফ্যান্ট রোড থেকে তিনদিন আগে উত্তর শাহজাহানপুরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। লোকমানের জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আশরাফ জানান, কয়েকজন বন্ধু জানাজায় অংশ না নিতে পরামর্শ দেন।
মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দুটি বিশেষ টিম ও র‌্যাবের একাধিক টিম কিলিং মিশনের সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে আশরাফকে শনাক্ত করা হয় বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডিবির দক্ষিণের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ছানোয়ার হোসেন।
গ্রেফতারের পর আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা সমকালকে জানান, মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পুরো মিশন সমন্বয় করেন আশরাফ। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন আগে কিলারদের ২ কোটি টাকা সরবরাহ করেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন ওরফে মোবার হাতে টাকা তুলে দেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে আশরাফের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততার খোঁজ নিচ্ছে গোয়েন্দারা। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্যান্য যোগসূত্রের ব্যাপারে আশরাফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তিন ডিবি কর্মকর্তা একযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তিনি বারবার পানি খেতে চাচ্ছিলেন। ডিবি কর্মকর্তারা তাকে পানি দেন। পরে পুলিশের আরও এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত হয়ে আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদে অংশ নেন। প্রথমদিকে আশরাফ অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। তার কথায় জিজ্ঞাসাবাদকারী কর্মকর্তারা হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হন। পরে ডিবি কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল পাল্টে নরসিংদীতে লোকমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের একটি স্কেচ এঁকে আশরাফের সামনে তুলে ধরেন। সেখানে আশরাফ যে অবস্থানে ছিলেন তাও চিহ্নিত করে তার সামনে তুলে ধরা হয়। ডিবি কর্মকর্তাদের এমন বাস্তব তৎপরতায় আশরাফ হতভম্ব হয়ে যান। এরপরই তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। নিজের বিষয় ছাড়াও ডিবি কর্মকর্তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন তিনি।
মন্ত্রীর ভাইয়ের গ্রেফতার প্রসঙ্গ : হত্যা মামলার এজহারভুক্ত অন্যতম আসামি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে এখনও গ্রেফতার না করার পেছনে বেশ কিছু কারণ পাওয়া গেছে। অবশ্য সমকালকে একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের কয়েক শীর্ষ নেতা বাচ্চুকে গ্রেফতারে একমত। গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বাচ্চুকে গ্রেফতারে 'গ্রিন সিগন্যাল' দেওয়া হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম ও টিপ্পন : পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে গতকালও টিপ্পন হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন। টিপ্পন অবশ্য জানান, হাজি সেলিমের কাছ থেকে মোটরসাইকেল সংগ্রহ করার পর সেটি তার হেফাজতে ছিল। ঘটনার দিন ১ নভেম্বর মোটরসাইকেলটি তিনি আশরাফকে বুঝিয়ে দেন। আশরাফ মোটরসাইকেল পরীক্ষা করেন_ গিয়ারে কোনো সমস্যা আছে কি-না, এক কিকে স্টার্ট নেয় কি-না। তার সামনেই এসব পরখ করেন। মোটরসাইকেলের জ্বালানিও সংগ্রহ করেন আশরাফ। টিপ্পন জানান, লোকমানকে হত্যা অভিযানে আশরাফুলই নেতৃত্ব দেন। আশরাফুলের নেতৃত্বে চারজন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। তারা সবাই ভাড়াটে। তদন্ত সূত্র জানায়, পেশাদার কিলার টিপ্পনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। নিজের সম্পৃক্ততা কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি যেসব তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই করে অবশ্য মিল পাওয়া গেছে। কিলারদের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ দেশের কয়েকটি এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। অন্যদিকে হাজি সেলিম জানান, তার মোটরসাইকেল গ্যারেজ থাকার কারণে বিভিন্ন সময় চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির জন্য তার কাছে লোকজন আসে। উদ্ধার করা মোটরসাইকেলটি তিনি খুব কম দামে জনৈক রনির কাছ থেকে কিনেছিলেন।
উপস্থিত ছিল ১৪ জন : তদন্ত সূত্র জানায়, ১ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে লোকমানের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ১৪ নেতাকর্মী। উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একাধিক জনের বক্তব্যে গরমিল রয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো একজন খুনিদের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া লোকমানের শরীর ঘেঁষেই বসা ছিলেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। খুনিরা যেভাবে গুলি করেছে তাতে লোকমানের পাশে বসা ওই আওয়ামী লীগ নেতার শরীরেও বুলেট বিদ্ধ হওয়ার কথা ছিল। অথচ তিনি ছিলেন অক্ষত।
কৌশলগত কারণে অনেক আসামি গ্রেফতার হয় না : লোকমান হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার বলেছেন, সময়ের অভাবে ও কৌশলগত কারণে অনেক সময় আসামিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয় না। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সভা শেষে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে জানতে চান, লোকমান হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর ছোট ভাইসহ তিনজন আগাম জামিন চাইতে সোমবার হাইকোর্টে গেলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি কেন? এ সময় মন্ত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, আশা করছি শিগগির দেশবাসীকে ভালো খবর দিতে পারব। সত্য উদ্ঘাটন করাই হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লক্ষ্য। আসামিদের ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। আসামির বড় ভাই মন্ত্রী বলে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে দেরি করছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় লোকমান হত্যা মামলার তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গ্রেফতার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকারের পক্ষ থেকে কাউকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা নেই। বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনকে গ্রেফতার করা নিয়ে আইজিপি বলেন, সন্দেহজনকভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখনও তার ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পুলিশ অহেতুক কাউকে হয়রানি করছে না। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেছেন, তার ছোট ভাই বাচ্চু সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাকে লোকমান হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। নিরপেক্ষ ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান মন্ত্রী। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তিনি এ দাবি জানান।
বৈঠক সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক এ বৈঠকে উপস্থিত কেউ নরসিংদী পৌর মেয়র লোকমান হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। বৈঠকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সময় মন্ত্রী রাজু নিজে থেকে লোকমান হত্যা মামলায় তার ভাইকে আসামি করার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা না বলে দ্রুত মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন।
এদিকে মামলার বাদী নিহত মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল সমকালকে বলেন, লোকমান হত্যা মামলা তদন্তে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা কাজ করছেন তাদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। অন্যদিকে তিনি অভিযোগ করেন, মন্ত্রী রাজুর ডান হাত হিসেবে পরিচিত মির্জানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তাদের বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×