somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিআইবি ॥ কেন এ প্রতিবেদন!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিআইবি ॥ কেন এ প্রতিবেদন!
০ মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ঢাকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের পার্থক্য ৫০ শতাংশ
০ বার্লিনের প্রতিবেদনের সঙ্গে এ পার্থক্য বিষয়ে উত্তর মেলেনি, টিআইবি বলেছে নোটিস দেবে

০ রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া, তাঁদের মতে- উদ্দেশ্য অনেক গভীরে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান’ উল্লেখ করে মঙ্গলবার প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদনের সঙ্গে বার্লিনে এর মূল প্রতিষ্ঠান টিআইয়ের প্রতিবেদনের মধ্যে ব্যাপক অসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। শুধু রাজনীতিতে দুর্নীতির সূচকেই মূল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জরিপের হারের পাথর্ক্য প্রায় অর্ধেক। রাজনীতি ছাড়াও দুর্নীতির অন্যান্য সূচকে জরিপ প্রতিবেদনের তথ্যে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জনগণের অভিজ্ঞতা ও ধারণার ভিত্তিতে তৈরি জনমত জরিপে বলা হয়েছে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষের ধারণা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। এ তালিকায় পুলিশ ও বিচার বিভাগ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বার্লিনভিত্তিক টিআইয়ের মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে বাংলাদেশের ৪৫ শতাংশের ধারণা রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। সাধারণ মানুষের ধারণায় এখানে ব্যবধান রয়েছে ৪৩ শতাংশ। এছাড়া টিআইয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুর্নীতির যে চিত্র উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেও বেশ অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে ‘রাজনীতিক ও তাদের দল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান’ উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সির ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) জরিপ প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। এ ধরনের জরিপ প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশকে ‘বিরাজনীতিকরণ’ এবং দেশে আবার ‘ওয়ান-ইলেভেন সরকার’ নিয়ে আসার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তাদের মতে, এ ধরনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে রাজনীতিবিদদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর চিত্র তুলে ধরা হচ্ছে। এদিকে গালফনিউজ ডটকমে এ প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের অসামঞ্জস্য নিয়ে টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক রফিকুল হাসান জনকণ্ঠকে বলেন, দুর্নীতি বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নামে পাশে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক নম্বরে উল্লেখ করা হয় দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, দ্বিতীয় নম্বরে কম দুর্নীতিগ্রস্ত, তৃতীয় নম্বরে মোটামুটি দুর্নীতিগ্রস্ত, চতুর্থ নম্বরে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত এবং পাঁচ নম্বর অপশনে বলা হয় খুব বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। উত্তরদাতার উত্তরের ধরন অনুযায়ী পাঁচটি অপশন এক করে যে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে সেখানে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি বলেন, বার্লিনভিত্তিক ওয়েবসাইটে শুধু প্রশ্নের দুটি অপশন যোগ করে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। যার কারণে সেখানে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। সব প্রশ্নের অপশন যোগ করে ফলাফল দেয়া হলে ৯৩ শতাংশ হবে। টিআইয়ে ভুল সংশোধনের জন্য টিআইবি পক্ষ থেকে নোটিস দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তীব্র প্রতিক্রিয়া ॥ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই রাজনীতিবিদরা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গালফনিউজ ডটকমে টিআইবির প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতাসহ রাজনীতিকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। বুধবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে রাজনীতিবিদদের।
বুধবার গালফনিউজ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ জরিপ প্রতিবেদনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করা হয়েছে। রাজনৈতিক সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দেশকে বিরাজনীতিকরণ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, শাসক দল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ ভয়াবহ দুর্নীতির প্রতিফলন ঘটেছে টিআইয়ের প্রতিবেদনে। তবে দুর্নীতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়ী করা অনূচিত হয়েছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, সব সময় অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন করতে চায়। তিনি বলেন, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলার মতো কোন তথ্যপ্রমাণ টিআইয়ের কাছে নেই। জরিপে অংশ নেয়া কিছু লোকের মতামতের ভিত্তিতে এ ধরনের প্রতিবেদন নেয়া ন্যায়সঙ্গত নয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ মুহূর্তে এ ধরনের প্রতিবেদন দেয়া কোন অশুভ পরিকল্পনা ও নকশা বাস্তবায়নের অংশ হতে পারে।
গালফনিউজ ডটকমের প্রতিবেদনে বিএনপির সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের অংশীদার বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, টিআই তাদের আঙ্গুল আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদদের দিকে তুলেছে। কারণ ক্ষমতাসীন দলগুলোরই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সুযোগ থাকে। তিনি বলেন, গতানুগতিক ধারাবাহিকতায় টিআই এই প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে আমি মনে করি, এটা রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়ী করে তা সঠিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দুর্র্র্র্নীতি নতুন কিছু নয়। এ সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে সব খাতেই দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
রাশেদ খান মেনন স্বীকার করেন, মহাজোট সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দুর্নীতি কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই সময় কেন এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো? এটা বিরাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কী না তা নিয়ে ভাবতে হবে।
এদিকে এক অনুষ্ঠানে টিআইয়ের প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চরিত্র হনন ও বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করতেই এ মুহূর্তে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের জন্যও বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করার জন্য একটি শ্রেণী উঠে-পড়ে লেগেছে। তাই দেশের ক্রান্তিকালে টিআইবি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তিনি আরও বলেন, অশুভশক্তি দেশকে আবারও অন্ধকারের অতল গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যড়যন্ত্র করছে। আজকে আবারও ১/১১-এর পুনরাবৃত্তির চেষ্টা চলছে। তাদের সে চেষ্টা সফল হবে না। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই দেশ পরিচালনা করছে এবং করবে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপির প্রস্তাবকেই টিআইবি নিজেদের ফর্মুলা বানানোর চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির বিষয়টি কোন প্রমাণ ছাড়াই প্রকাশ করে টিআইবি ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। টিআইবির এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তিনি আরও বলেন, এটি নিরপেক্ষ হয়নি। ব্যক্তিস্বার্থের উর্ধে উঠে একটি গ্রহণযোগ্যভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে টিআইবি।
অপর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রতিবেদনে বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ রাজনীতিকদের দায়ী করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে টিআইবি যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে বিএনপিকে নয় আওয়ামী লীগকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগই একমাত্র দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দল যারা টিআইবির মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছে। রাজনৈতিক দল যদি দুর্নীতি করে তাহলে দলকে ক্ষমতায় থাকতে হয়। আর এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় রয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগের আমলে দেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর এবার হয়েছে রাজনৈতিক দুর্নীতিতে শীর্ষ।
প্রতিবেদনে অসামঞ্জস্য ॥ টিআইবির সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারনাশলের রিপোর্টের ব্যাপক অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়াও টিআইয়ে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুর্নীতির যে চিত্র উল্লেখ করা হয়েছে সেখানেও বেশ অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা গেছে। একই বিষয়ে দুর্নীতির ভিন্ন ভিন্ন চিত্র উপস্থপন করায় মানুষের মধ্যে এর গবেষণার ধরন নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে একই ওয়েবসাইটের এক জাগায় উল্লেখ করা হয়েছে দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে পুলিশ প্রশাসন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। এর পাশেই পুলিশের বিষয়ে বলা হয়েছে দেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করে পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের ৫৩ শতাংশ মানুষ মনে করে বিচার বিভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত। ঠিক এর পাশে এ বিষয়ে আরেকটি চিত্র দিয়ে বলা হয়েছে ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করে বিচার ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত। চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ মানুষ মনে করে দুর্নীতিগ্রস্ত। অপর এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ মনে করে ওষুধ এবং স্বাস্থ্য খাত দুর্নীতিগ্রস্ত। শুধু শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে উভয় অংশে বলা হয়েছে দেশের ১২ ভাগ মানুষ মনে করে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে।
এছাড়া টিআইবি প্রকাশিত আরও বিষয়ের সঙ্গে বার্লিন ভিত্তিক ওয়েবসাইটের অসঙ্গতি রয়েছে। টিআইবির মঙ্গলবার প্রকাশিত রিপোর্টে দুর্নীতির দুধরনের চিত্র দেয়া হয়েছে। প্রথম ধারণার ভিত্তিতে জরিপ করে দুর্নীতির চিত্র উল্লেখ করা হয়েছে। অপরদিকে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে ঘুষ প্রদানে যে অভিজ্ঞার শিকার হয়েছে তার ভিত্তিতে একটি চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এত দেখানো হয়েছে, ধারণার ভিত্তিতে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ মনে করে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত। কিন্তু অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোন ব্যারোমিটার তৈরি করা হয়নি। এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন শুধুমাত্র বৃহৎ ও প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতির ক্ষেত্রে ধারণার ভিত্তিতে জনমত তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে পদ্মা সেতু হলমার্ক, শেয়ার বাজারসহ এ ধরনের খাতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে শুধু ছোটখাটো দুর্নীতির বিষয় স্থান পেয়েছে।
এছাড়া ধারণার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ মানুষ মনে করে পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত, বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে ৮৯ শতাংশ, সংসদ বা আইনসভা ৮৮ শতাংশ, ব্যবসা বা বেসরকারী খাত ৮৩ শতাংশ, স্বাস্থ্য চিকিৎসা ৮১ শতাংশ, গণমাধ্যম ৬০ শতাংশ, শিক্ষা ৫৫ শতাংশ, এনজিও ৩৯, সামরিক বাহিনী ৩২, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৩২ শতাংশ।
অপরদিকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পুলিশের ক্ষেত্রে ৬৪ শতাংশ, বিচার ব্যবস্থায় ৫৩ শতাংশ, রাজনৈতিক দল ৪৫ শতাংশ, সংসদ ও আইনসভা ৪১ শতাংশ, স্বাস্থ্য চিকিৎসা ৩৪ শতাংশ, সরকারী প্রশাসন ২৯ শতাংশ, ব্যবসা বা বেসরকারী খাত ১৯ শতাংশ, শিক্ষা ১৯ শতাংশ, গণমাধ্যম ৯ শতাংশ এনজিও ৬ শতাংশ, সামরিক বাহিনী ৫ শতাংশ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৪ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে।
অপরদিকে টিআইয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ, সংসদ ৪১ শতাংশ, সামরিক বাহিনী ৫ শতাংশ, এনজিও ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ, মিডিয়ার ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ৪ শতাংশ, ব্যবসা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ১৮ শতাংশ, শিক্ষা ১২ শতাংশ, বিচার বিভাগ ৫৩ শতাংশ, চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ, পুলিশের ক্ষেত্রে ৬৪ শতাংশ এবং সরকারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রে ২৯ শতাংশ মনে করে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। একই ওয়েবসাইটে অন্য এক গ্রাফে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করে বিচার ব্যবস্থায় দুর্নীতি রয়েছে চিকিৎসা সেবায় এ সংখ্যা ১৬ শতাংশ, পুলিশের ক্ষেত্রে ৭২ শতাংশ, রেজিস্ট্র্রি এ্যান্ড পারমিট ৩৩ শতাংশ, সেবা খাতে ১০ শতাংশ, রাজস্ব খাতে ৪ শতাংশ, ভূমি সেবা খাতে ৪৪ শতাংশ এবং শিক্ষা খাতে ১২ শতাংশ মানুষ করে করে দুর্নীতি রয়েছে। এভাবে টিআইবি, টিআইয়ের ওয়েবসাইটে একই বিষয়ের ওপর আলাদা আলাদা তথ্য দেয়ায় মানুষের মধ্যে এর সঠিক জরিপ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে টিআইবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল করাপশন ব্যারোমিটার ২০১২ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়
Click This Link
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×