somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''অভিমানী মানুষেরা আজ মালীর ঘামে ভেজা ফুল দিবে না '' এবং "হে বিজয় " -- দুটো কবিতা

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

______________অভিমানী মানুষেরা আজ মালীর ঘামে ভেজা ফুল দিবে না ____________
প্রশ্ন করছি নিজেকে--
আজ কত বছর পেরিয়ে গেলো?
স্বাধীনতা তোমাকে তো আজও দেখিনি---
আর কত বছর পেরিয়ে যাবে,
স্বাধীনতা ,তোমাকে দেখার যে বড় স্বাদ ছিলো ...


ভাঙ্গা,ভাঙ্গা স্বপ্নগুলোকে
জোড়া দেবার নিরন্তর চেষ্টা
অন্ধকার দেয়ালে বাকস্বাধীনতার নির্বাক হাহাকার
নিভে যাওয়া শিখা-অনির্বাণরা
চোখের পানির সাগরে , শোষকদের জলকেলি
নিভৃতে ক্রন্দনরত বিচারের বাণীরা...
—— সব — একনিমিষেই
চোখের পাতার নিচে ভাসছে...
যেন এক দুঃস্বপ্নের মতো।


স্বাধীনতা ------
কি দিয়েছো তুমি আমায়?
অন্যের কাছ থেকে সার্বভৌমত্ব ?
দিতে কি পেরেছো -----
জবাব কি দিতে পারবে ফেলানীর কাছে ?

বুকে জমা ---- দীর্ঘশ্বাস
কারাগারের গরাদে মাথা কুটে মরা আমার বাক স্বাধীনতা ।
শোষকের ভয়ে বিনীত- কাপুরুষের মতো --
জীবন যুদ্ধে পরাজিত আমরা।

শুধু আনুষ্ঠানিকতা
স্মৃতির বেদিতে মালীর ঘামে ভেজা ফুল দেওয়া
আর নিজেকে সান্তনা দেওয়া,
তুমি এসেছ-- বিজয়।

তুমিতো আসোনি,
অভিমানী মানুষেরা এখনও তোমায় খুঁজছে ---
আমিও যে তাদের দলে...।
------------------------------- ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১২
---------------------------------- রাত ১১.৪৫।

২য় কবিতা...
------------- হে বিজয় ----
ইতিহাস,তোমায় ভুলিনি
ইতিহাসের চাকার সশব্দতা
মনে করিয়ে দেয় ,দিয়েছে
বিজয়--- তোমাকে

ভুলিনি, ভুলেছিলাম না এবং ভুলবোও না
তোমাকে , হ্যাঁ বিজয়
তোমাকেই

ভুলোনা আমায়
হে, বিজয়
ক্ষুধার্ত , দরিদ্র শিশুটির দুঃসহ
নিষ্পাপ, নিস্তেজ চাহনি
কেমন জানি অবাক চোখে
তাকিয়ে দেখে---
বুঝেনা কিংবা বুঝাতে
পারব না, তোমাকে
চিনাতে পারব না , বিজয়কে ।

দুঃখ, ত্যাগ কিংবা
চোখের পানি দিয়ে তোমাকে
এনেছিলাম----- এই
ছোট কুঁড়েঘরের কোনায়।
যেও না ফেলে
থেকোনা
এসো আবার , ফিরে।

তুমি কি দেখনি ,
ছেলে হারা সেই মায়ের কান্না ।
তুমি কি দেখনি ,
লাঙল ফেলে স্টেনগান ধরা কৃষকটিকে।
তুমি কি দেখনি ,
হাসি মাখা কিশোরীর মুখটির নির্মম মৃত্যু ।
তুমি কি দেখনি ,
মুক্তিযোদ্ধাটির স্বপ্নিল চোখ দুটি ।
তুমি কি দেখনি ,
বন্দীশিবিরের সেই নিষ্পাপ শিশুটির ক্ষুধার্ত মুখ ।
তুমি কি দেখনি ,
স্বপ্নময় কিশোর ছেলেটির হাতের স্টেনগানটি ।
তুমি কি দেখনি ,
মুক্তিযোদ্ধাটির ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে লেখা চিঠিটি।
তুমি কি দেখনি ,
উন্মত্ত আগুনে পুড়তে থাকা গ্রামটিকে ।
তুমি কি দেখনি ,
আকাশে উড়তে থাকা শকুনির দলটিকে ।
তুমি কি দেখনি ,
উন্মত্ত হায়েনার দলটিকে ।
তুমি কি দেখনি ,
জলপাই রঙের ট্যাঙ্কটিকে ।
তুমি কি একবারো দেখনি ,
উঠোনে বসা এলোমেলো শাড়ি পড়া বউটিকে অপেক্ষায়।
তুমি কি দেখনি ,
সেই সাতই মার্চের উত্তাল রেসকোর্সকে।
তুমি কি দেখনি ,
ঐ বেতার কেন্দ্রের যুবক মেজরটিকে ।
তুমি কি দেখনি ,
নিষ্পাপ ছেলেমেয়ে দুটির বাবার জন্য নিষ্ফল, নিরন্তর অপেক্ষা।
তুমি কি একবারো দেখনি ,
চোখের নিচে কালি পড়া অপেক্ষায় শহীদ জননীকে ।


তুমি কি দেখনি ,
তুমি কি শোনোনি,
তুমি কি একটুও বোঝোনি।
হে বিজয় দামী একটা বিজয়
ছিনিয়ে আনা বিজয়--
না, ধরে রাখা বিজয়--
বোঝোনি, বল - একটুও কি
বোঝোনি---- ?


অপেক্ষায় আছি ,
থেকেছি এবং থাকবোও আমৃত্যু
তবুও তোমাকে খুঁজে ফিরছি--
যতদিন না নিজের,
একদম নিজের করে পাবো ।


------------------------------- ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১১
---------------------------------- রাত ১১.৪৫।

বিজয় দিবস, বা স্বাধীনতা দিবস বা একুশ আসলেই মনের ভিতরে একটা তীব্র অনুভূতি তৈরী হয়। সেই, অনুভূতির থেকেই কবিতা লেখা । বিজয় দিবস আসলেই আমি ১৫ ডিসেম্বর, রাত ১১ টায় কবিতা লেখা শুরু করি । অনেকের কাছে ছেলে মানুষী মনে হলেও, এর পিছনে রয়েছে তীব্র আবেগ। বিজয় দিবস আসতে অনেক দেরী ।তাতে কি হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসেই ব্লগে দিয়ে দিলাম।▄ ▄ ▄
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×