যৌতুক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। যৌতুক প্রথার কুফল নিয়ে আমরা শিক্ষা জীবনের নানা স্তরে পড়ে থাকি। এছাড়া বিভিন্ন আড্ডায়, আলোচনায়, এমনকি ফেসবুকে ও এর বিরুদ্ধে না কথা বলে থাকি কিন্তু যখনই নিজের বা নিজের পরিবারের কারো বিয়ের কথা আসে তখন মনে মনে ভাবতে থাকি “কনের বাবা’র” থেকে কি পাওয়া যাবে। আমাদের পুঁথিগত বিদ্যা আর কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট গুলো যেন এই সুপ্ত মনবাসনার কাছে অসহায় হয়ে পড়ে।
তাই বলতে ইচ্ছা করে, যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রথাগত শিক্ষা আমাদের শুধু “শিক্ষিতই” করেছে '“সুশিক্ষিত'” করতে পারে নি।
যখন কোন এক ইডেন কলেজ ছাত্রী “ফারজানা” বিয়ের আসর থেকে কোন এক বিদ্যালয়ের “প্রধানশিক্ষক বর” কে যৌতুক চাওয়ার জন্যে ফিরিয়ে দেয়, তখন শিক্ষিত পুরুষ হিসেবে লজ্জায় মাথা হেট হয় আবার মানুষ হিসেবে ফারজানা’দের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে আর বলতে ইচ্ছে করে “ হে ফারজানা’ রা , এই ঘুনে ধরা সমাজ টাকে পাল্টাও, কলুষিত মন গুলোকে আলোয় আনো, আমরা মুক্তি চাই ” ।