and be that dream in purpose and device.'
-Audre Lorde
ছোটগল্পের নাম কেবল কাহিনী হতে পারে না। গল্প মানে সেই গল্প যার উদ্দেশ্য আছে, কিন্তু কোন নির্দিষ্টতা নাই। যা হতে পারে বাস্তবতার আলোর মতো, অন্ধ পথচলার মতো বা একধরণের স্বপ্ন বর্ণনার কৌশলের মতো। যাই হোক গল্পের বই হলে সেই বইয়ে যদি এই সব মিলিত হয়, তাহলে পূর্ণতার স্বাদ পাওয়া যায়।
যদি কোন গল্প বাস্তবতার বিকর্ষী গন্ধ দেয়, অদ্ভুত সম্ভাবনার বর্ণনা থাকে, কোন গল্পে যদি কল্পনার প্রশ্রয় থাকে, কখনও যদি বইয়ের কোন একটা গল্পে গল্পের বাইরের কোন আঙ্গিকের স্বাদ পাওয়া যায়, আমি বলব সেই বই অন্তত বৈচিত্রের দাবিতে সার্থক।
১.
'.... তিন রঙা তিনটি পতেঙ্গা ঘুড়ি বানিয়েছে বাপ-বেটার জন্য, লাশ কেটে বীভত্স অনুভূতি জাগলে ছেলেদের সঙ্গে ক্ষেতের আইলে বসে ঘুড়ি ওড়ায়, বীভত্স অনুভূতিগুলো ঘুড়িতে বেঁধে বিশেষ একজনের উদ্দেশে পাঠিয়ে দিতে চায়। সুবিলাশের চোখে সেই বিশেষ একজনই আসল হন্তারক।'
মাহফুজ সিদ্দিকী হিমালয়ের 'প্রযত্নে-হন্তা' (২০১১) গল্পগ্রন্থের নাম-গল্প থেকে লাইন দুইটি নেয়া। সবগুলো গল্প নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার প্রথমেই নাম-গল্পের প্রসঙ্গ এল। গল্পটির একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য হল, এখানে বাস্তব একটা পতিত চরিত্রকে অনেকটা সাজানো-স্বপ্নের মতো করে পরাবাস্তব করার চেষ্টা করা হয়েছে। সে পরাবাস্তবতা উপভোগ করেনি, কিন্তু পরাবাস্তবতার বৈশিষ্ট্যের মতোই একটা মায়ার মতো লেগে থাকে গল্প শেষ করলে।
গল্পে দাউদ একটি অভাব আর বিপদগ্রস্ত পরিবারের ঝুলে পড়া ছেলে। লকিব বিদ্রোহী আর ইঁচড়ে পাকা ছেলে। দাউদের কাহিনী দিয়েই শুরু , তাকে দিয়েই শেষ। মাঝখানে লকিবের বিদ্রোহ আর কিশোর-প্রেমের কাহিনী, তার বাসের হেল্পার-জীবন আর সেই জীবনের গতির সাথে আবছা তুলনায় দাউদ বাধ্য হয়ে ধরা পড়ে
চলবে.........
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৭