somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছয় বছর শিকল বন্দি এক বৃদ্ধ

১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দীর্ঘ ৬ বছর যাবত্ শিকলবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন খোরশেদ আলম। পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়েছে এই হতদরিদ্র বৃদ্ধকে। নিজ ঘরের বাইরে ৪টি ঢেউটিন দিয়ে ছাউনি দিয়ে সেখানে সারাক্ষণ রাখা হয় তাকে। সেখানেই খাওয়া - দাওয়া, সেখানে মলত্যাগ, সেখানে ঘুমানো, আবার সেখানে বসবাস ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কলাকান্দা গ্রামে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন খোরশেদ আলম পায়ে শিকলবন্দি অবস্থায় নিজ বসত ঘরের পিছনের বারান্দায় বসে রয়েছেন। সাংবাদিককে দেখে খোরশেদ হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে হাউমাউ করে বলে উঠেন মা আমাকে ভাত দাও। তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ছুটে আসে সাংবাদিকের কাছে। কথা হয় রোকেয়া বেগমের সাথে। স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, আজ থেকে ৬ বছর যাবত্ তার স্বামী খোরশেদ আলম মানসিক ভারসাম্যহীন। তার পায়ে শিকল কেন জানতে চাইলে স্ত্রী রোকেয়া বেগম জানান, বাড়ির পাশেই পাকা রাস্তা ও ছোট খাল রয়েছে, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা না হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা গাড়ির নিচে কিংবা খালে পরার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আজ থেকে ৬ বছর পূর্বে ঢাকার সাভারের হেমায়েত পুরে কলাকান্দা গ্রামের মিলন মিয়ার একটি বাড়িতে নৈশ প্রহরী হিসেবে চাকরি করাকালীন সময়ে এক দিন রাতে হঠাত্ খোরশেদ স্ট্রোক করে। পরে সকালে মহাখালি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার-পাঁচ দিন হাসপাতালে রাখার পর ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র লিখিয়ে ভাল মত চিকিত্সা না করিয়েই তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে ঐ সময় তিনি মোটামুটি সুস্থ ছিলেন। বাড়িতে আনার পর আর্থিক দৈন্যদশা ও নানান টানাপোড়ন আর অভাব- অনটনের কারণে সে ডাক্তারী চিকিত্সাপত্র অনুযায়ী ওষুধ না খাওয়ার কারণে দিন দিন খোরশেদ প্যারালাইসেস হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকেন। তাদের কোন সহায় সম্পদ না থাকায় শেষ সম্বল দুটি গরু বিক্রি করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে চিকিত্সা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঢাকায়। কিন্তু তার এ রোগের চিকিত্সায় ব্যয় বহুল ও দীর্ঘমেয়াদী হওয়ার কারণে তার পরিবারের পক্ষে আর সম্ভবপর হয়নি

Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কথাটা খুব দরকারী

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪

কথাটা খুব দরকারী
কিনতে গিয়ে তরকারি
লোকটা ছিল সরকারি
বলল থাক দর ভারী।

টাকায় কিনে ডলার
ধরলে চেপে কলার
থাকে কিছু বলার?
স্বর থাকেনা গলার।

ধলা কালা দু'ভাই
ছিল তারা দুবাই
বলল চল ঘানা যাই
চাইলে মন, মানা নাই।

যে কথাটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অতিরিক্ত বা অতি কম দুটোই সন্দেহের কারণ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩০

অনেক দিন গল্প করা হয়না। চলুন আজকে হালকা মেজাজের গল্প করি। সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নেই৷ জোসেফ স্টালিনের গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। তিনি দীর্ঘ ২৯ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান নেতা ছিলেন। বলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সীমানা পিলার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮



বৃটিশ কর্তৃক এদেশে ম্যাগনেটিক পিলার স্থাপনের রহস্য।
ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে অনেক গুজব ও জনশ্রুতি আছে, এই প্রাচীন ‘ম্যাগনেটিক পিলার' স্থাপন নিয়ে। কেউ কেউ এটিকে প্রাচীন মূল্যবান ‘ম্যাগনেটিক’ পিলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাথায় চাপা ভূত ভূত ভূতং এর দিনগুলি

লিখেছেন শায়মা, ৩১ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫


এই যে চারিদিকে এত শত কাজ কর্ম, ঝামেলা ঝক্কি, ক্লান্তি শ্রান্তি সব টপকে আমার মাথায় আজও চাপে নানান রকম ভূত। এক ভূত না নামতেই আরেক ভূত। ভূতেদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজের পাসওয়ার্ড অন্যকে দিবেন না ;)

লিখেছেন অপু তানভীর, ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭



কথায় আছে যে পাসওয়ার্ড এবং জাঙ্গিয়া অন্যকে দিতে নেই । মানুষ হিসাবে, বন্ধু হিসাবে প্রেমিক/প্রেমিকা হিসাবে অথবা আজ্ঞাবহ হওয়ার সুবাদে আমরা অন্যকে ব্যবহার করতে দিই বা দিতে বাধ্য হই।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×