দেশে রাজাকারের বিচার শুরু হয়েছে । খুব ভালো কথা । তবে আসল হোতা সেই বর্বর পাক হানাদার বাহিনীর বিচারের কথা সরকার বা সুশীল সমাজ কেউ বলে না কেন ? কারণ একটাই এটা হয়তো সম্ভব হবেনা বলেই তারা বলেনা , আর সব কিছুতে আছে আওয়ামীলীগের ভোটের রাজনীতি । এখনকার বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনলে মনে হয় সব অপকর্ম জামাতের ছিল , বা রাজাকারের ছিল । আর পাক সেনারা যেন সেই রাকজাকারের নির্দেশ পালন করেছে মাত্র । আরে বাবা বিচার হলে সবার হবে । ঠিক আছে সেই সময়ের অপরাধী সব পাক সেনাদের না হয় বিচার করা যাবেনা । কিন্তু সেই আলোচিত ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিচারের দাবি তো করা যায় । এবং সেটা সঙ্গত কারনেই । ৭১ এ পাকিস্তান কে ফেরত দেয়া ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা অফিসারের বিচার চাই। কারণ পাকিস্তান তাদেরকে বিচার করবে এই আশ্বাস দিয়ে ফেরত নিয়ে পরবর্তীতে তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। পাকিস্তানী ১৯৫ জন সেনা অফিসারকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ সরকারকে তাই উচ্চকণ্ঠ হওয়ার দাবি জানাই ।
এবং সেই সাথে গত ১০ বছরে ১২০০ নিরীহ বাঙ্গালিকে সীমান্তে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে যেই হানাদার বি এস এফ তাদেরও বিচার দাবি করছি, ইন্দিয়া বাংলাদেশকে ৭১ এ হেল্প করার মানে এই না যে আমরা তাদের হত্যাযজ্ঞ কে মেনে নেব ।
আগামি আট মাস বিচার শেষের বাইরে আওয়ামী লীগ কে অন্য কোন ধান্দা না করার আহবান রইল। আওয়ামী লীগ চায় অনন্ত কাল ধরে মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার বাইনারিটা ধরে রাখতে এবং রাখবে। এই পালে হওয়া দিবে মিডিয়া আর অনলাইন এক্টিবীরেরা ধনেশ পাখীর তেলে হেডামিত্তশালী হয়ে। । আওয়ামীলিগের জন্য এই ব্যবস্থা উত্তম কেননা এর মাধ্যমে তারা বিপর্যয়কর ব্যর্থতা আড়াল করে নতুন ভোটের মেরুকরণ করতে পারে।
লেখাটির কিছু অংশ ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫