somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধকারে সরকার। আরো বেশি অন্ধকারে জনগণ

১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :








১/১১পর সংবিধান বর্হিভূত স্বৈরশাসকদের সময় দেখা যেত বেশিরভাগ সিধান্ত সরকার নিতো মধ্যেরাতে। গভির অন্ধকারে জনগণকে ঘুম পাড়িয়ে সরকার আদালত বসাতো। শেষ রাতে নেতা-নেত্রীদের বাসা হতে ধরে আনা হত। তারপর মইন - ফকরউদ্দিনের শেখানো বুলি পথে-পান্তরে বসানো কাঙ্গারু কোটের মাধ্যেমে চাপিয়ে দেওয়া হত। গভির রাতে সরব থাকতো সরকার।

খালেদা জিয়াকে দেশ ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাতের অন্ধকারে। তখন রাত নামলেই নানা গুজবে ভাসতো দেশ। সাংবাদিকরা বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের বাসার সামনে রাত জেগে ঢুলঢুলুু চেখে বসে থাকতো।
১/১১এর আগমনে নাকি মিডিয়াই অবদান রেখেছিল! তাই তাদের নাইট ডিউটি দেখে অবাক হইনি। কিন্তু রাতের অন্ধকারে দেশবাসিকে ঘুমিয়ে রেখে নানান ষড়যন্ত্র যে চলছে তা বুঝতে জনগণের আর বাকি থাকে না। ফলাফলে ক্রমেই জন বিচ্ছিন্ন হতে থাকে সরকার। মইন বুঝতে পারে বাংলাদেশিরা অন্ধকার পছন্দ করেনা। অনিচ্ছা সত্বেও তাই পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা।
এরপর ক্ষমতায় আসে মহাজোটের মুখোস নিয়ে আওমীলীগ। কারন নামে মহাজোট বললেও তাদের মন্ত্রীসভা আর সিধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে একলা চল নীতির কারনে প্রথমে মহাজোট পরে জনগণ হতে বিচ্ছিন্ন হতে চলছে সরকার। আওমী সরকার তাদের দোশর উদ্দিন সরকারের ফেলে যাওয়া জুতো পরেই যে দেশ চালাচ্ছে তা জনগণ বুঝে ফেলে যখন আদালত আর হাসিনার ভাষন এক হয়ে যায়।

আদালতের একের পর এক বিতর্কিত সিধান্ত দেখে বুঝতে বাকি থাকেনা যে সরকার বিচার বিভাগের উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করছে। একটি পত্রিকার সম্পাদকের উপর সরকার নাখোস হয়,যার দরুন সংবিধান বহিভূত ভাবে সর্ম্পূন্ন বাকশালী কায়দায় পত্রিকাটি বন্ধ করে সম্পাদক কে এক বছরের অধিক সময় জেল দেওয়া হয়। সারা বিশ্বে বিষয়টি নিয়ে বহু সমালোচনা হলেও সরকার তাতে ভ্রক্ষেপ করেনি।

উদ্দিন সরকারের সময় বিমান বন্দরে একটি কালো তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল । সে কালো তালিকার মাধ্যেমে অনেক সম্মানিত নাগরিককে হেনস্তা করত সরকার। বর্তমান সরকারও একই পথে আছে, তারাও ভিন্নমতের নাগরিকদের বিদেশ যাবার ক্ষেত্রে সংবিধান বর্হিভূত ভাবে বাধা দিচ্ছে।
অথাৎ তারা নিজেদের যতই গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে দাবী করুক কাজে কর্মে তারা স্বৈরশাষকদের মতই দেশ চালাচ্ছে এটা দিনের আলোর মতই পরিস্কার।
সরকার দলের ভেতর বা তার বাইরে সবত্রই নানান সমালোচনার মুখে পড়ছে। চট্রগ্রাম আর নারায়নগঞ্জ দু জায়গায়ই সরকার সমর্থিত প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটের ব্যাবধানে হেরেছে। তারপর সরকারের হুস হচ্ছে না।
মইন উদ্দিনকে ইনডিয়া দুটো ঘোড়া উপহার দিয়েছিল, বিনিময়ে তিনি কি দিয়ে ছিলেন ইনডিয়া কে, তা যেমন অজানা। তেমনি হাসিনা ইনডিয়া সফরে কি বিলিয়ে দিয়ে এসে ছিলেন তাও অজানা রয়ে গেছে। রহস্যজনক ভাবে ইনডিয়া দুই সরকারের আমলেই অসম বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পেরেছে।
একটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল বলে দাবীকৃত সরকার ক্রমেই যে উদ্দিন সরকারের মত গণবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ রাখছেন আকাশচুম্বি দ্রব্যমূল্যর পরও জনগণকে ঈদ উপহার হিসেবে ৫টাকা প্রতি লিটারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে।!
কি বিচিত্র দুপুরে অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে না, অথচ গভির রাতে অহি নাজিল করলেন! সেলুকাস!

বিশ্বব্যাংক যেই আলোচিত দৌড়বিধ যোগাযোগ মন্ত্রীকে দুনীতিবাজ আখ্যাদিয়ে পদ্মা সেতুতে অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিল, আর প্রধাণমন্ত্রী কিনা তাকেই সেল্টার দিয়ে যাচ্ছেন!!
বানিজ্য মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার এর সাথে বিনা টেন্ডারে মাত্রারিক্ত মূল্যে পাওয়ার প্লান্ট করার চুক্তি করেছে সরকার। আরেক সম্পতি আরেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিজ দলের মেয়রকে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
সাহারা খাতুনের হোটেলে নারী ব্যবসার সচিত্র খবর এসছে পত্রিকায়। নৌমন্ত্রী টাকার বিনিময়ে অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেবার জন্য সুপারিশ করে সমালোচিত। কিন্তু এত কিছুর পরও সরকারের টনক নড়ছে না। কানে কুলুপ লাগিয়ে যেন চালাচ্ছে দেশ।
সরকার তাদের আজ্ঞাবহ বিচার ব্যবস্থার জোরে আদালতের বিচিত্র রায়ের খন্ডিত অংশকে পুজি করে বলছে তারা নাকি তত্বাবধায়ক ব্যাবস্থা বাদ দিয়ে নিজেদের অধিনে নিবার্চন করবে!
কিন্তু অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এভাবে চললে তাদের মেয়াদের পাঁচ বছর এই সংসদ থাকবে কিনা সন্দেহ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×