ঘেন্না রে ছি ঘেন্না!
ভেবেছিলাম হরতাল গেম, স্পট ফিক্সিং আর না!
কিন্তু কেউই ভাবলি না
হরতালের ওই খর তালে যে জনগনই বাঁচে না!
তোদের বাড়ির সবাই ফরেন, বোমা আগুন টাচে না!
তাই তো খেলা কাঁচে না-
একপক্ষ দেয় হরতাল আরেক পক্ষ নেয় সেটা-
তোরা মিলেই ভাগ করে খা, মোদের ক্যানে ল্যাঠা?
পারলে ওদের গায়ের জোরে ক্ষ্যামতা কেড়ে আন না!
নিজের গাড়ী, নিজের দোকান ইচ্ছে মতো ভাংগ না!
নিজের ঘরের কাউকে ধরে পুড়িয়ে কাবাব কর না!
সে সব কিছুই করবি না-
জনগন কে ছাড়বি না
স্বাধীনতার দিনে প্লানেই হরতাল দিলি পরদিন-
আতঙ্কে থাক জনসাধারন, গিনিপিগ ওরা শব্দহীন
তাইতো শিবির জামাত মিলে আজকে লড়ে-
স্বাধীনতার এই দিবসেও মগবাজারে!
মাপ করে দে, স্বাধীনতা দিল্লীকা লাড্ডু-
মরে যারা আনলো সেটা তাদের পেটে ঢুঁ ঢুঁ!
কে বলে চায় গনতন্ত্র? চায় যে খানিক শান্তি-
তাতেই দেশটা খাড়া হবে সে সব তোরা জানতি!
উর্ধে হবি হাজার খানেক, লাজ শরমের নেই বালাই-
জনগণ কে জিম্মি করে সরকারটা চাইই চাই!
ঠিক আছে যা লড়-
কুস্তি প্যাঁচে পড়-
নিজেরাই তা কর-
রেহাই দেরে সাধারন রে, নইলে উঠবে ঝড়!
ঘাড়ের থেকে নাম রে ব্যাটা সিন্দাবাদের বুড়ো-
রাজনীতি নয়, গনশত্রুর ধংস চাইরে পুরো!
সাধারনের কষ্ট কভূ এই নেতারা বুঝবে না-
ক্ষমতাটাই এদের লক্ষ্য, গণ-স্বস্তি খুঁজবে না!
চাষা, মুটে, মধ্যবিত্ত, মরুক, পুড়ুক হরতালে-
এরা এসব পয়দা করেই সরকারে যায় ফাঁক তালে!
এরাই তারা আজকে যারা স্বাধীনতার দিবসে-
গাড়ী পোড়ায় মগ বাজারে, ফাররম গেটে অক্লেশে!
এরা নয় যে সাধারনের, এরা আরেক জাত-
তাই এদের ছাড় জান বাঁচাতে, দিওনা আর সাথ!
রাজা-গজা কে হলো ভাই, আমার দরকার কর্মটি-
শান্তি মতো করতে পারি, জুট তে পারি ভাত -রুটি!
তাতেও বাগড়া, সহ্য কিন্তু আর হবে না বাংলাতে-
রক্ত দিয়ে স্বাধীন করা দেশ কি লুঠবে বার-ভূতে?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৪