somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন বার বার গণতন্ত্র ভেঙ্গে যায় ? মানুষ কেন এত অসহায় ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণতন্ত্রের সঙ্গা আমার জানা নেই৷ তবে Democracy, democrat,democratic শব্দগুলির অর্থ বুঝি গণতন্ত্র, গণতন্ত্রকামী ও গণতান্ত্রিক৷ আমি ছিলাম বিজ্ঞানের ছাত্রী তাই এই সব শব্দগুলির সাথে পরিচিতি হতে পারিনি কেবল জীবন থেকে দেখেছি-মানুষ যুগে যুগে এই শব্দটির জন্য লড়াই করেছে, আত্মত্যাগ করেছে,রক্ত দিয়েছে তারপর এক অভুত্‍ত্থানের মাধ্যমে, পবিত্র জীবনের বিনিময়ে দেশে গণতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে৷ আবার অপবিত্র হাতে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে৷ আবার গণতন্ত্রকামী মানুষ সেই গণতন্ত্রের জন্য হা হুতাস করেছে, কান্নাকাটি করেছে, আবার নতুন প্রানে অনুপ্রাণিত হয়েছে নতুন গণতন্ত্রের আশায়৷ তারপর আবার অনেক ত্যাগ, তিতিৰার পর জীবনের বিনিময়ে অভুত্‍ত্থানের মাধ্যমে নুতন গণতন্ত্রের জন্ম হয়েছে৷ বিবতর্নের ধারায় আবারও ক্রমবৃত্তি ঘটেছে যা আমরা ইতিহাস ঘাটলেই দেখতে পাব৷ এরই নাম গণতন্ত্র যা বার বার গড়েছে আর ভেঙ্গেছে আর তা কেবল মানুষের হাতেই প্রকৃতির নয়৷

আজ আমরা যদি পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকাই তবে দেখতে পাব যুগে যুগে যেমন গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্ম হয়েছে, আবার তার পাশাপাশি অগন্ত্রকামী মানুষেরও৷ তাইত মানুষ একদিন অগনতান্ত্রিক ব্রিটিশ রুলস এর আগ্রাসী শাষন ব্যবস্থার বিরম্নদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল, তারই ধারাবাহিকতায় পাকিসত্মানী শাসক গোষ্টির বিরুদ্ধে আমাদের বাঙ্গালী সমাজ সোচ্চার হয়ে উঠেছিল তার মুলে ছিল এই গণতন্ত্র৷ কারন যখন তারা দেখেছিল-প্রতিনিয়ত তাদের দাবী দাওযা,অধিকারগুলি রক্তাক্ত হয়ে তাদের পদতলে দলিত হচ্ছিল যা তারা সেদিন মেনে নিতে পারেনি তাইত সেদিন সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন৷

তারপর তারই ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭১ এর সেই স্বাধীনতা, সেই গণতন্ত্রকে আনতে কত বড় আত্মত্যাগ করতে হয়েছিল যা এই ক্ষুদ্র পরিসরে লেখা সম্ভব নয়৷ তারপরও একদিন সেই গণতন্ত্রেরও মৃতু ঘটেছিল যা বড়ই বেদনাদায়ক ! আবার মানুষ সেই গণতন্ত্রের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল৷ গণতন্ত্রের জন্য সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা আবার নতুন সংগঠনের জন্ম দিয়েছিল৷ অবশেষে সেনাবাহিনী তাদের বেরিকেড ভেঙ্গে জণগনের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেবার জন্য বেরিয়ে এসেছিল যা ছিল সত্যিকারের গণতন্ত্রকামী মনোভাব৷ কিনত্ম পরবর্তীতে আবার একই ধারবাহিকতায় সেই গণতন্ত্রের মৃতু হল৷ আবার মানুষ এই গণতন্ত্রের জন্য নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হল, শক্তি সঞ্চয় করল, নতুন প্রেরনায় উজ্জিবিত হয়ে উঠল৷ আর ঘটেছিল সেই ১৯৯০ এর অভুত্‍ত্থান৷ মানুষের অনেক ত্যাগ-তিতিৰা ও অবশেষে নুর হোসেন, জিহাদ, ডা: মিলনের আত্মত্যাগের ফলে আবার নতুনভাবে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছিল৷ গণতন্ত্রের ছোয়ায় মানুষ নতুনভাবে উজ্জিবিত হয়ে উঠেছিল৷

সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আবার সেই অপবিত্র হাতে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে এবং হচ্ছে৷ মানুষ আবার সেই চিরাচরিত নিয়মে গণতন্ত্রের আশায় আবার নতুনভাবে অনুপ্রানিত হচ্ছে, সপ্ন দেখছে গণতন্ত্রের৷ আমাদের গণতন্ত্রকামী নতুন প্রজন্মরা তাদের মাতৃভূমিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রানিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় পৃথিবীর সামনে৷ তাইত আজ সারা দেশেই মানুষের ভিতর অস্থিতিশিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ সারাদেশের জীবনযাত্রার দিকে তাকালেই আমরা বুঝতে পারছি-আমাদের গণতন্ত্রের মৃতু হয়েছে৷ মানুষ ভিতরে ভিতওে অসহায় বোধ করছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আর নতুনভাবে, স্বাধীনভাবে, নিজ নিজ অধিকার নিয়ে বাচাঁর সপ্নে বিভোর হচ্ছে৷ কারন মানুষ আজ গণতন্ত্র হারিয়ে স্বৈরাতন্ত্রের ভিতর আবদ্ধ৷ আর এই স্বৈরাতন্ত্র থেকে বার হবার জন্য ছটফট করছে যা আজ টিভি খুললেই আমি দেখতে পাচ্ছি৷ তাইত আজ আমি সপ্নে দেখছি-বাংলায় আবার একটি অভুত্‍ত্থান যা আবার বাংলার মানুষকে সত্যিকার গণতন্ত্র এনে দিতে পারবে৷ তবে একটি কথা সকলের মনে রাখতে হবে-পৃথিবীতে ভালর পাশাপাশি মন্দ আছে৷ গণতন্ত্রের পাশাপাশি স্বৈরাতন্ত্র আছে এবং থাকবে৷ আর সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে পবিত্র হাতে রচিত হবে আবার অপবিত্র হাতে তার মৃতু ঘটবে৷ এটাই নিয়ম৷ আর মানুষ সব সময়ই পরিবর্তনশীল৷ পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে গ্রহন করবে আবার একদিন সেটাও পুরাতন হবে আবার নতুনের জন্ম হবে৷ এমনিভাবে চলবে অননত্মকাল৷ তাই আজ আমরা নতুন করে গণতন্ত্রের সপ্ন দেখছি৷ জয় আমাদের হবেই ইনসাস্নাহ৷

জয় হোক সত্যিকার গণতন্ত্রের৷ জয় হোক বাংলার গরীব, দু:খ ও অসহায় মানুষের৷ জয় হোক মানব ও মানবতার৷

-কৃষান কন্যা রাহিলা
কৃষি মন্ত্রনালয় (সাময়িক বরখাসত্ম)
১০ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, সকাল ১-৪০ মি:
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×