somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জে.এস.সি-পি.এস.সি পরীক্ষা - শিক্ষার হার এবং শিক্ষার মান

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জে.এস.সি-পি.এস.সি পরীক্ষা - শিক্ষার হার এবং শিক্ষার মান
ফারুক আহমেদ
বাংলাদেশে সবকিছুই যেন পরীক্ষামূলক।পরীক্ষা কোন খারাপ জিনিস নয় । তবে তা যদি হয় শিক্ষার মত একটি বিষয় এবং এর সাথে যুক্ত থাকে লক্ষ ,লক্ষ শিক্ষার্থী এবং কোটি ,কোটি মানুষ তাহলে পরীক্ষা চালিয়ে দেবার পূর্বে তার ওপর আলোচনা , সমালোচনা , সংশ্লিষ্ট মানুষের মতামত এবং গবেষণা জরুরী ।যেন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে গিনিপিগ বানানো না হয় ।কিন্তু বাংলাদেশে একটি বিষয় দেখা যায় তা হলো, শিক্ষার মত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সব সময়ই কোন প্রকার আলোচনা , সমালোচনা,গবেষণা ,মতামত ছাড়াই সরাসরি পরীক্ষার মধ্যে চলে যাওয়া হয় ।বিশেষ করে পরীক্ষা পদ্ধতি এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এটা খুব বেশি করে ঘটে থাকে । বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভিন্ন স্তরে শিক্ষার্থীদের যে সব পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল তার সাথে সাম্প্রতিক কালে প্রাথমিক এবং নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে জাতীয় পর্যায়ে আরো দুটি পরীক্ষা গ্রহনের নিয়ম করা হয়েছে ।একটি পঞ্চম শ্রণী শেষে প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পি.এস.সি ) পরীক্ষা এবং অপরটি জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জে. এস. সি ) পরীক্ষা ।
গত ১ নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জে. এস. সি পরীক্ষা শুরু হয়েছে ।এদিন পরীক্ষাকেন্দ্রে সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ঠ ব্যাক্তিদের সামনে এ পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দেওয়া বক্তব্য লক্ষ্য করবার মত । সেখানে তিনি বলেছিলেন যে, এসব পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমিয়ে শিক্ষার হার যেমন বাড়িয়ে দিচ্ছে তেমনই শিক্ষার মানও বৃদ্ধি করছে ।এখানে একটি কথা বলার ইচ্ছা সংবরন করতে পারছিনা তা হলো , বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর শিক্ষাক্ষেত্র থেকে ঝরে পড়া একসময় ছাত্র আন্দোলনের খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও ‘ঝরে পড়া’ শব্দটি সরকারী লোকজনের মুখে সহজে শোনা গিয়েছে বলে হয় না ।এ ক্ষেত্রে খুব সহজে শব্দটি উচ্চারণ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারেন ।হবে হয়তো একসময় ওপক্ষের সরকারের মুখোমুখি জনগণের এ পক্ষে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন বলেই তাঁর এই সহজ উচ্চারণ । এটাও একসময়ে জনগণের পক্ষের লোকদের তাঁদেরই ভাষায় ‘জনগণের বিপরীত’ পক্ষে চলে যাওয়ার পর জনগণকে দেওয়া কম বড় উপহার নয় ।এখন শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ফিরে গিয়ে বলা যায় তাঁর এ বক্তব্যই এ ধরনের পরীক্ষার যেৌক্তিকতার প্রশ্ন টেনে নিয়ে আসে । তাঁকে এ ধরনের পরীক্ষার যেৌক্তিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন না করতেই পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন তাঁর এ বক্তব্যই প্রমাণ করে জনমনে এসব পরীক্ষার যেৌক্তিকতার মীমাংসা এনও হয়নি । এস. এস. সি , এইচ. এস. সি বা অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রেতো ‘পরীক্ষার’ সুফল নিয়ে কথা বলতে হয় না?
এবার শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করা যাক ।তিনি বলেছেন এ ধরনের পরীক্ষা ‘ঝরে পড়া’ কমাবে । প্রশ্ন আসতেই পারে , কেন ? শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার কারণ কি? এর কারণ কি এই যে , এসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা অসচেতন ? এসব শিক্ষার্থীরা অবাধ্য , তারা লেখাপড়া করতে চায় না ? এক সময় শিক্ষামন্ত্রীর এসব প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল ।আজ নতুন অবস্থানে গিয়ে তিনি হয়তো ভাবছেন তাঁর আগের অবস্থান থেকে পাওয়া এসব প্রশ্নের উত্তর নিতান্তই পুরোনো । পরীক্ষায় শিক্ষার হার বাড়ার এই অদ্ভুৎ হিসাবটি মিলিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ঠ লোকেরা যুক্তি দেখাচ্ছেন , জে. এস.সি পরীক্ষায় যে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে তার আশায় শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়বে না ।ফলে শিক্ষার হার বাড়বে এবং বেড়ে যাচ্ছে । এই যদি হয় শিক্ষার হার বাড়ানোর কেৌশল তাহলে প্রথম শ্রেণী থকে শুরু করে প্রতিটি শ্রণীতেই জাতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করলেইতো শিক্ষার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে ! একটি দেশের শিক্ষার হার বাড়ানোর কত সহজ পথ !!এ এক ‘জাতীয় আত্নপ্রতারণা’ ।
এ ধরনের যুক্তি দেওয়া গরীব মানুষের দারিদ্র্য , অনেক বঞ্চনার ফলে সৃষ্ট তাঁদের অক্ষমতাকে ঠাট্টা- তামাশা করা ,তাঁদেরকে অসন্মান করা । ভাবখানা এমন যে, এসব গরীব মানুষের লোভ অনেক এবং তাঁদের সামনে সার্টিফিকেটের মত একটি আকর্ষণীয় বস্তুর মুলো ঝুলিয়ে দিলেই সেই লোভে তাঁরা তাঁদের সন্তানদের শিক্ষাক্ষেত্র থেকে তুলে নেবে না । কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী এখানে একটি ভুল করে বসেছেন । পূর্বের অবস্থানগত কারণে তিনি অত্যন্ত সত্য কথাটি বলে ফেলেছেন । ‘ঝরে পড়া’ শব্দটি তিনি উচ্চারণ করেছেন । বৃক্ষের শরীর থেকে যখন সব জল শুকিয়ে যায় , মাটিতেও আর কোন জল থাকে না তখন তার সকল ফুল-ফল বৃন্তচ্যুৎ হয় , ঝরে যায় । এ অবস্থায় আকাশে যত ঘন মেঘই থাকুক না কেন সেই জলের আশায় বৃক্ষ তার ফুল-ফল ধরে রাখতে পারে না । ঠিক তেমনিভাবে একটি পরিবারের সকল উপায় শুকিয়ে মরলেই কেবল তার শিক্ষাবৃন্ত থেকে তার সন্তানের চ্যুতি ঘটে । গরীব মানুষকে অসন্মান করা এবং তাঁদের ওপর দোষ চাপানো ছাড়া পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার হার বাড়ানোর যুক্তি আর কিছুই নয় ।
এবার আসা যাক শিক্ষার মান বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ।এসব পরীক্ষাতো বটেই এমনকি অনেক আগে থেকেও যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে তার কোনটিতেই শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেতে পারে না ।শিক্ষার মান নির্ভর করে শেখানোর বিষয়বস্তু ,শেখানোর পদ্ধতি ,শেখানো বা শেখার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ,শিক্ষার্থীর প্রতিদিনের চিন্তা ও কাজের আন্তরিক গভীর পর্যবেক্ষণ এবং অবকাঠামোর ওপর ।সমাজ, রাষ্ট্র ও সময় প্রভৃতির বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রচলিত ধরনের পরীক্ষা নিতে হয় ।সমাজ , রাষ্ট্র এবং সর্বপরি মানব সমাজের মধ্যে সংহতি ও সমন্বয় যে মাত্রায় উত্তীর্ণ হবে প্রচলিত ধরনের পরীক্ষাও সেই মাত্রায় কমে যাবে । এ দিক দিয়ে প্রচলিত ধারার পরীক্ষা শিক্ষার মানের বিপরীত ।যদি ধরেই নেওয়া হয় যে,জ্ঞানে ,প্রজ্ঞায় এবং মানে আমরা সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি তবে পরীক্ষার সংখ্যা না বেড়ে বরং কিছু কিছু ক্ষেত্র কমার কথা ।আর যদি ধরা হয় ওপরের চাকচিক্য আর ভড়ং ছাড়া জ্ঞানে , প্রজ্ঞায় , মানে ,বিচারে ,বিশ্লষণে আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় আমাদের শিক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে তবে তাকে আরো অনেক কারণের মধ্যে নামে –বেনামে , প্রতিষ্ঠানের ভিতরে –বাইরের অসংখ্য পরীক্ষার সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে ।আমাদের শিক্ষানীতি বলতে যা’ দেখা যায় সেখানে শিক্ষার চালিকাশিক্তরূপে প্রতিযোগিতা ,শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অংশকে পুরষ্কৃত করা এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ।বাইরে অন্তঃসারশূন্য অনেক বাগড়ম্বরপূর্ণ কথা বলা হলেও শিক্ষার লক্ষ্য হিসাবে সমষ্টির চেয়ে ব্যাক্তির উন্নতি এবং উৎকর্ষতার বিষয়টিই গুরুত্ব পেয়ে থাকে । প্রচলিত ধরনের সকল পরীক্ষার মাধ্যমে তারই পরিমাপ খুবই প্রান্তিকভাবে করা গেলেও সামগ্রিকভাবে শিক্ষার সামষ্টিক মান নির্ধারণের জন্য এ পদ্ধতি অকেজো ।কাজেই এ ধরনের পরীক্ষার সংখ্যা যত বাড়ে ততই ‘তোতা’ হিসাবে এক ধরণের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলেও জ্ঞান , প্রজ্ঞা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা বাড়ে না বরং ‘তোতা’ হিসাবে বিকাশের সাথে সাথে এসব কমেই যায় ।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সীলেবাস থাকতে হয় সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে । যত ভাল সীলেবাসই হোক না কেন তার সীমাবদ্ধতা থাকতে বাধ্য । কাজেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মান নির্ধারণের এবং পরিপূর্ণতার গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার একটি সংস্কৃতি তৈরী করতে পারে । একটি দেশে শিক্ষার মান কতখানি বৃদ্ধি বা হ্রাস পেল তা নির্ভর করে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি মাত্রায় শিক্ষার সংস্কৃতি বৃদ্ধি বা হ্রাস করল তার ওপর ।সামগ্রিকভাবে শিক্ষার লক্ষ্য যদি গণমানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট না হয় তবে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার সংস্কৃতি সৃষ্টি করা সম্ভব নয় ।
প্রাথমিক এবং নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে জাতীয় পর্যায়ে যে দুটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে নীতিনির্ধারকদের অন্য যে কোন উদ্দেশ্যের যাই হোক এর মাধ্যমে শিক্ষার হার ও মান কোনটিরই বৃদ্ধি হবে না । এসব পরীক্ষার ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ এবং আলোচনা হওয়া প্রয়োজন ।


৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×