৩৪ তম বিসিএস আর কিছু দিক না দিক ছোট একটা বিভাজন রেখা টেনে দিয়ে যাবে একথা স্বীকার করতে হবে , যেমন করেছে শাহবাগ চত্বর ।
প্রিলি রেজাল্ট দেয়ার পর পর ই শুরু হয়ে গেল তুলকালাম কান্ড । কিছু সংখ্যক মেধাবী নাকি ৮৯-৯০ পেয়ে ও টিকে নাই আবার কোটা ওয়ালারা নাকি ৫৫ পেয়ে টিকে গেছে ।প্রচলিত কোটা মুক্তিযোদ্ধা , নারী ,জেলা, উপজাতি ও প্রতিবন্ধী এই পাঁচ ধরনের হলেও মূলত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধ কোটা । মুক্তিযুদ্ধ কোটার ব্যাপারে মেধাবীদের ধারণা এই যে , মুক্তিযোদ্ধারা সন্মানিত কিন্তু তাদের কোটা দেয়া যাবে না বরং সন্মানী (ভিক্ষা) বাড়ানো হোক । প্রসঙ্গত মুক্তিযোদ্ধ কোটা রাষ্ট্র প্রদেয় সন্মান এটা মুক্তিযোদ্ধারা জোড় করে কিংবা চুরি করে নেয়া না । তারপর ও ইনিয়ে বিনিয়ে মেধাবীরা বলার চেষ্টা করছে এত সন্মান দেয়া ঠিক হয় নাই , মেধা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ।
যখন বিসিএস এর ভাইভা নাম্বার ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হলো মেধাবীরা তখন কোথায় ছিল ? নাকি বিশেষ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রাক্তন ছাত্র , বর্তমান শিক্ষকরা ভাইভা বোর্ডে থাকে , বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সুবিধা পাওয়ার আশায় তখন চুপ ছিল ? ভাইভা মানে তো অনিয়মের আখড়া । এখানে সব মেধাবী এখনো নিরব । প্রসঙ্গত লক্ষ লক্ষ যুবক ছেলে বেকার থাকার পর ও সরকারী চাকূরিজিবীদের উর্দ্ধ সীমা ৫৭ থেকে বাড়তে বাড়তে ৬২ করা হলেও মেধাবীদের মেধায় আঘাত লাগে না ।
এই সরকারের প্রথম এমন আন্দোলন শুরু হলে তখন "আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান " নাম একটা পাল্টা সংগঠন থেকে পাল্টা আন্দোলনের ডাক দেয়া হয় । সেখানেই থেমে যায় আন্দোলন । সরকারের শেষ সময় আবার একই বিষয়ে আন্দোলন কিছুটা আলামত আগের মত । আবার হয়ত মাঠে আসবে "আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান " সংগঠন ।
এর ভিতর বিরোধী দল , বিশিষ্ট ব্যক্তি আকবার আলী খাঁনদের মত বিজ্ঞরা ও রাজনীতি টানার চেষ্টা করছে । বিরোধী দল এর মধ্যে বাকশাল এর গন্ধ পাইছে । আর যখন এই দল ক্ষমতায় ছিল তারা কি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দিছিল ? সামনে ক্ষমতায় গেলে কি বাদ দিবে ? না , বড় ভাগ নেয়ার জন্যে সস্তা নোংরামি করছে ? আর একবার আলী খান ও তো ক্ষমতায় ছিল , তখন কিছু না বলে এখন সুশীলগিরি । পৃথিবীর কোন অসভ্য দেশে কি আছে কি নাই তা নিয়ে টানা তানি শুরু করে দিছে ।
কোটা অবশ্যই সাড়া জীবন চলতে পারে না । কমিয়ে আনতে হবে ধীরে ধীরে । এটা জাতীয় ইস্যু । সবাই ঐক্যমতের ভিত্তিতে কোটা কমিয়ে আনলে দেশ তথা সবার উপকারে আসবে । চায় জাতীয় নীতিমালা । বিভাজন না বাড়িয়ে কমিয়ে আনা হোক । মেধাবীদের প্রাপ্য সুযোগ ও মুক্তিযুদ্ধাদের সর্বোচ্চ সন্মান নিশ্চিত করা হোক ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৪