somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইরান বনাম ইসরাইল, মিয়ানমার বনাম বাংলাদেশ

০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চারিদিকে গুজব চলছে ইরানের উপর সম্ভাব্য ইসরায়েলী হামলা নিয়ে। এটা কে বলা হচ্ছে Preemptive strike on Iran's nuclear facilities. ইসরাইল যেমন ইরানের উপর হামলা কে খুব ই সম্ভাব্য বলতেছে, একি ভাবে ইরান ও ইসরাইলের এ হুমকি কে একটু কম ই গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এ অঞ্চলে আরেকটা যুদ্ধ আসলেই হবে কিনা, তা নিশ্চিত না, কিন্তু যদি হয়, তা কি আসলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে ? আমার মত মানুষ যারা যুদ্ধের ইতিহাস পড়ে উত্তেজনা বোধ করি, কিন্তু সত্যিকার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চাই না, তাদের জন্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সামান্যতম সম্ভাবনা ও কিছুটা চিন্তার কারণ। তবে এ ২ দেশ ই অনেক দিন ধরে নিজেদের প্রস্তুত করছে।বছরের পর বছর ধরে নিজেদের প্রস্তুত করছে, আরো উন্নত করছে। সামনের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আণবিক কমিশনের রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই হয়ত বিশ্বশক্তি তাদের পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করবে।

আমার এ আলোচনার কারণ আসলে ইরান-ইসরাইল না, আসল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ- মিয়ানমার যুদ্ধ সম্ভাবনা র উপর ।

২০০৮ সালে এবং ২০০৯ সালেও বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার প্রায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল।

যতদূর জানা যায় , বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার বিশাল সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করায় আর বাংলাদেশের অমীমাংসিত সমুদ্রব্লকের অদূরেই অবস্থান নেয় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ একিসাথে সামরিক এবং কুটনৈতিক ততপরতা শুরু করে। সীমান্তে ততকালীন বিডি আর, আর ভেতরে ভেতরে মিলিটারি প্রিপারেশন আর সমুদ্রে বাংলাদেশের ৩ টা ফ্রিগেট প্রবেশ করে।



বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা র সাথে আলোচনায় বসে এবং এতদঞ্চলে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে চীন গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এরপর আরো ৩ টা বছর পার হতে চলল। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘেটে জানা যায়, সামনে যুদ্ধ লাগতে পারে, এই আশংকায় ২ দেশ ই তাদের সামরিক, বিমান এবং নৌ সক্ষমতা বাড়াতে থাকে। মিয়ানমার সম্পর্কে জানা যায় তারা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় বাংকার খোড়া শুরু করেছে প্লান মাফিক, এমন কি তারা অনেক গ্যারিসন ও সম্ভবত সরিয়ে আঞ্ছে এদিকে। একি সাথে উত্তর কোরিয়া এবং চীনের সহায়তায় পাহাড়ের ভিতরে পারমাণবিক চুল্লী তৈরি শুরু করেছে বলেও জানা যায়। বিমান সংগ্রহের দিকে ও আছে তাদের নজর।

পক্ষান্তরে দেখা যায় বাংলাদেশ তাদের নৌবাহিনী কে শক্তিশালী করতে চায়। এজন্য হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্লেন, ২০২০ সালের মাঝে সাবমেরিন যুক্ত করার পরিকল্পনা, এর মাঝে ব্রিটিশ ৩ টা পুরানো জাহাজ কে সংগ্রহ করে ঘষামাজা করে উপযুক্ত করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী র জন্য উপযুক্ত করে নেয়া , আরো অনেক কাজ চলছে।






শান্তি মিশনে কাজ করার কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ সরকার অনেক বৈদেশি মুদ্রা অর্জন করছে ঠিক ই, বাংলাদেশের অনেক জাহাজ রক্ষনাবেক্ষন ও এই টাকায় করা হচ্চে হয়ত, বাংলাদেশের নৌবাহিনী সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অনেক অত্যাধুনিক জিনিস চালাতে পারছেন তো ঠিক ই, কিন্তু বাংলাদেশ আসলে কি সামরিক দিকে দিয়ে এখনো শক্তিশালী ?

এছাড়া ওই সময়ে আরো দেখা গেছে, বৈদেশিক নীতিতে আমাদের অবস্থা "ধরি মাছ না ছুঁই পানি" র কারণে যুদ্ধের সময় আমদের সত্যিকার বন্ধু রাষ্ট্র একজন ও নেই। এমনকি আমাদের দেশের অবস্থান একেবারে নিম্নভূমি বা সমতল ভূমিতে হওয়ার কারণে শত্রু বিমান বা মিসাইলে আঘাতে প্রচুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবার যুদ্ধ যদি আমরা ফুল স্কেল এ করি , তাহলে সে যুদ্ধ আমাদের কতদিন চালানোর সামর্থ্য আছে সেটা ও একটা ব্যাপার।



আমি রাষ্ট্র নেতা ও না, বিরোধী দলীয় নেতা না, সামরিক বিশেষজ্ঞ বা এনালিস্ট ও না, তবে এসব ব্যাপারে কৌতুহলী। আর যেহেতু বাংলাদেশ ২০০৮ সালে একেবারে মিয়ান্মারের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল, আমি ভরসা রাখতে চাই, আমাদের গর্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর এবং বাংলাদেশ থিংক্ট্যাংকের উপর।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৭
১৬টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×