তৃপ্তির আভাটুকু এখনও মুখের আদল থেকে মুছে যায়নি
পথের লেংটা শিশুগুলো যখন খাবার পেয়ে মুগ্ধকর হাসি দিলো
আমার খাবারটুকুই ওদের দিলাম , এক বেলা না-ই খেলাম
ওদের কাছে খাবারগুলো গিয়ে আরও যেন ওগুলোর গুরুত্ব বেড়ে গেছে ।
আমি চাইছিলাম এমন কিছু করতে যাতে একটা পরিবর্তন আসে
আমি এমন কিছু করতে চাইলাম যাতে কেউ অবাক না হয়
ঐ শিশুগুলোও কেউ অবাক হয়নি যেমনটা হয়তো কেউ ভাবতেও পারবে না ।
আমি আসলে চঞ্চল ঐ শিশুগুলোর মাঝে প্রাণের ছোঁয়া পেয়েছি
যান্ত্রিক এই জীবনে আমরা যে প্রাণটুকু হারিয়ে ফেলতে বসেছি
নতুন প্রাণের ছোঁয়া ঠিক তেমন নতুন সূর্যের কিরণের মতই
যেখান থেকে আলোগুলো বারবার চলে চলে আসছে
সেগুলো ফিরে যাবে বলে মনের গহিনে শঙ্খার সৃষ্টি হচ্ছে
যতটুকু পাওয়া হয়েছে তার বেশি পাওয়া সম্ভবও না ।
অনেক সময়ই চুপ থেকে পরে বলার আর কিছু থাকে না
মনের কথাগুলো অব্যক্তই থেকে যায় কখনো কখনো সারাজীবন
জীবনের এই পর্যায় ঠিক তখন পাংশুটে মনে হবে সহজেই
তখন সান্ত্বনা দেবে কেউ এমন সাহস করে এগিয়ে আসবে না
আত্মার আত্মীয়ও তাই সেদিন কাজে আসবে না , অন্তর কলুষিত থাকলে
তাই ভেবেই তো আমি মনের পরিশুদ্ধির উপর জোর দিতে চাইছি ।
আমি জানি এই পথশিশুগুলোও একদিন অন্য কারো মুখে হাসি ফুটাবে
আলোকিত করবে এই দূষিত অন্ধকারময় সমাজকে, জাতিকে
তাদের ছোঁয়ায় তখন লোহাও সোনা হয়ে যাবে , যেন তা স্বর্নালী ছোঁয়া
সেদিন হয়তো আমি তা দুচোখ ভরে দেখতে পারবো না
কিন্তু সত্যিই আমার আফসোস থাকবে না তখন ।
কখনো কখনো মনে হয় যে আমি হয়তো কেউই না
আবার আমার কাছে আমি মহানায়ক, সবসময় , সবক্ষেত্রেই
নিজের কাছে পরিতৃপ্তির যা শান্তি তা দুনিয়ার আর কোথাও নেই , আমি জানি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৫