হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জয়ন্ত নারায়ণ সাহার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গত ২৯ জুন শ্বাসকষ্টের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। মঙ্গলবার পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। জয়ন্ত নারায়ণ সাহা বলেন, ডায়ালাইসিস চলার এক পর্যায়ে তার দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।
১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসাম রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ভূপেন হাজারিকা। মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই গান লিখে সুর দিতে থাকেন। বাংলা ও হিন্দি- দুভাষাতেই আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা পায় তার গান। তার দরাজ কণ্ঠের গানগুলো বাংলাদেশের মানুষের হূদয়েও স্থান করে নেয়। কয়েক বছর আগে ঢাকায় এসেও ভক্ত-শ্রোতাদের মাতিয়ে যান তিনি। তবে কয়েক বছর আগে হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভক্তদের মাঝে বিতর্কিত হন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগে পিএইচডি করা এই শিল্পী।
ভারতীয় চলচ্চিত্র ও সংগীতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সালে ভারত সরকারের পদ্মশ্রী ও ২০০১ সালে পদ্মভূষণ খেতাব এবং ১৯৯২ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন ভূপেন হাজারিকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
ভূপেন হাজারিকার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার গান মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এই শিল্পীর সঙ্গীত স্বাধীনতাকামী জনগণকে যে আশা জুগিয়েছিলো তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ভূপেন হাজারিকার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। এছাড়ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়াও শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৫