somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শ্রীশ্রী মা কালীর রূপের আধ্মাতিক বর্ণনা

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকাঃ

মা কালী সম্পর্কে ছোটবেলা অনেক গল্প শুনতাম। বড়রা বলতো মা কালী নাকি অসুর দমন করার জন্য খড়গ হাতে অবতরণ করেছিলেন। গল্পটা কিছুটা এমন – একবার অসুরগণ যখন দেবতাদের খূব অত্যাচার করছিল তখন মা কালী খড়গ হাতে অবতরণ করেন এবং অসুরদের দমন করতে থাকেন। অসুর দমন করতে করতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি। একের পর এক অসুর দমন করেই যাচ্ছেন। কোন ভাবেই মা শান্ত হচ্ছেন না। দিক-বিদিক জ্ঞান শূণ্য মা সকল কিছু ধ্বংস করে দিচ্ছেন। মা যে যুদ্ধ করতে করতে বিবস্ত্র হয়ে পড়েছেন তাও তিনি লক্ষ্য করেননি। অসুর দমন করে তাদের মুন্ডু দিয়ে মালা গড়ে মা সেই মালা নিজের গলায় পড়লেন। অসুরের ছিন্ন মুন্ডু হাতে নিয়ে রক্ত পান করতে করতে মা যুদ্ধ করছেন। তার ক্রোধে পৃথিবী ধ্বংসপ্রায়। দেবতারা দেখলেন এ মহাবিপদ। মাকে শান্ত করতে না পারলে যে আর বিশ্ব-ভ্রমন্ড রক্ষা করা যায় না। তাই তারা ছুটে গেলেন কালীপতী ভোলানাথ শিবের কাছে। সব কথা শুনে ভোলানাথের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। তিনি তৎক্ষনাৎ ছুটে যান সেই যুদ্ধক্ষেত্রে। গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী বিবসনা হয়ে গলায় মুন্ডুমালা ঝুলিয়ে রক্তাক্ত খগড় হাতে যুদ্ধে লিপ্ত। এই দেখে মহাযোগেশ্বর বাহ্যিক জ্ঞান হারিয়ে ভুমিতে লুটিয়ে পড়লেন। মা কালী তখনও যুদ্ধে লিপ্ত। অসুর দমন করতে করতে মা এগিয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় হঠাৎ তার পা গিয়ে পড়ল ভুমিশায়িত শিবের উপর। অমনি মা জিহ্বা কামড়ে ধরলেন। সেই থেকে যুগ যুগ ধরে মা কালীর এই রূপেরই পূজো করছি আমরা। কিন্তু কেন? মায়ের অসুর দমন যদি সেই শত-সহস্র যুগ আগেই থেমে যেত তো আমরা কেন আজও মায়ের পূজো করি? স্বর্গের অসুর দেবতার মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল সেই যুদ্ধ কি আমাদের জাগতিক যুদ্ধের মতই ? তার মহীমা কি সেই যুদ্ধ জয় পর্যন্তই? সে যুগে স্বর্গে যে যুদ্ধ হয়েছিল তাতে আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কি আছে ? কি মায়ের সেই রূপের আধ্মাতিক বর্ণনা ? আসুননা একটু আলোচনা করি।


প্রাথমিক আলোচনাঃ

সেই যুদ্ধ যদি জাগতিক যুদ্ধের মতই হতো তো মায়ের চোখে থাকতো হিংসা, ক্রোধ কিন্তু নিচের ছবিটির দিকে তাকিয়ে দেখুন। মার চোখে কি কোন হিংসা আছে ? এতটুকুও না। মায়ের মুখে কত সুন্দর মিষ্টি হাসি। মা যদি হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে যুদ্ধ করতেন তবে এই হাসি মা কোথায় পেলেন। মা নাকি রক্তপান করছিলেন। যদি তাই হতো তো মায়ের দাতেঁ কি রক্ত লেগে থাকতো না ? মার ঠোঁট বেয়ে কি রক্তের ফোটা ঝরতো না ? অথছ মায়ের দাঁতগুলো ধপধপে সাদা, ঠোঁটে এক ফোঁটা রক্তের চিন্হও নেই। তার মানে সেই যুদ্ধ জাগতিক যুদ্ধের মত নয়। এবার আলোচনায় আসি মায়ের সেই আধ্মাতিক রূপ নিয়ে। আধ্মাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে মায়ের সেই রূপ আলোচনা করি।


কতিপয় প্রশ্নঃ

কেন মা বিবসনা ? কেন তার হাতে খড়গ ? কেন তিনি জিহ্বা কামড়ে আছেন ? সেই জিহ্বা এত লাল কেন? কেন তিনি একটি ছিন্ন মস্তক হাতে ধরে আছেন ? কেন তিনি মুন্ডুমালা গলায় পড়লেন ? কেন মহাকাল শিবের বুকে তার পদচিহ্ন ? – আসুন আধ্মাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজতে আরেকটু বিষদ আলোচনায় প্রবেশ করি।


মা কালীর নামের উৎসঃ

কেউ কেউ বলেন গায়ের রং কালো বলে মায়ের নাম কালী। এটা ভুল ধারণা। সমস্ত বিশ্বভ্রম্মান্ড তিন কালের আবর্তন চক্রে ঘুরছে। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। আর এই তিন কালের নিয়ন্ত্রা মহাকাল শিব। কিন্তু মা কালী এই তিন কালের উর্দ্ধে। তিনি কালকে জয় করেছেন। কালকে জয় করেছেন বলেই তিনি কালী। মহাকালের বিজয়ীতা বলেই তিনি মহাকালী। যে কাল সর্ব্বজীবের গ্রাসকারী, সেই কালেরও যিনি গ্রাসকারিণী, মহানির্ব্বাণতন্ত্র বলেন- তিনিই কালী - আদ্যা-শক্তিস্বরূপিনী।


মায়ের গায়ের রং তবে কাল কেন ?

জেদি ঋষি সন্তান ধ্যান মগ্ন। মায়ের দর্শন তার চাই চাই। কিন্তু মা কি আর এত সহজে ধরা দেন? ঋষি সন্তানও তেমনি জেদি। মায়ের দর্শন ছাড়া সে ধ্যান ভঙ্গ করবেন না। দিন-মাস-বছর পেরিয়ে যুগ পেরিয়ে গেলো। শেষে মায়ের দয়া হল সন্তানের প্রতি। এবার সেই ঋষি সন্তান মায়ের রূপ অনুভব করলেন। তিনি অনুভব করলেন মা সমস্ত কিছুর আধার। সমস্ত শক্তি, সমস্ত রূপ, সমস্ত রংয়ের আধার। সমস্ত কিছুই মা তার মধ্যে সংবরণ করে নেন। তাই তার কোন রং নেই। যেখানে কোন রং থাকে না সেখানে কালো দেখায়।


মা কি তবে নির্লজ্জা নন ?

এ আবার কেমন কথা? আচ্ছা আমি যদি জানতে চাই সদ্য প্রসবিত শিশু, যে এই মাত্র মায়ের দেহ থেকে ভুমিষ্ট হলো তার কাছে মায়ের লজ্জাই বা নিলজ্জতা বলতে কিছু আছে কি ? হয়তো ভাবছেন আপনি তো আর সদ্য প্রসবিত শিশু নন, কত বড় হয়েছেন, কত জ্ঞান অর্জন করেছেন, তবে কেন আমি এই সদ্য প্রসবিত শিশুর সাথে আপনাকে তুলনা করছি। একটু ভেবে দেখুন, আপনি বড় হয়েছেন হয়তো বয়স পঞ্চাশোর্ধ হয়েছে কিন্তু এ কি খুব বেশি সময় যখন আপনি অনন্তবর্ষী, কালজয়ী মায়ের সাথে তুলনা করবেন। অনাদির আদি মাতার সাথে তুলনা করলে আপনি কি এই জাগতিক মায়ের সাথে তুলনায় সদ্য ভূমিষ্ট শিশুসন্তানের চেয়েও অনেক ছোট নন? তবে আপনার কাছে মায়ের আবার লজ্জা কি, সে তো আজ আপনার চিন্তায় চিন্তিত। জাগতিক মা যেমন সদ্য প্রসবিত শিশুর চিন্তায় নিজের কথা ভুলে যান, জগৎমাতাও তেমনি আপনা চিন্তায় নিজের কথা ভুলে আছেন কারণ তার কাছে আপনি সদ্যপ্রসবিত, সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতই ছোট।


মা যদি দিক-বিদিক জ্ঞানশূণ্য নাই হবেন তবে কেন তিনি বিবসনা ?

ঋষি যখন মাকে অনুধাবন করলেন তখন তিনি বুঝতে পারলেন মা সমস্ত বিশ্ব-ভ্রমান্ডকে আবৃত করে রেখেছেন। তবে তাকে আবৃত করবেন কিসের দ্বারা। বিশ্ব-ভ্রমান্ডে এমন কিছুই নেই যার দ্বারা মাকে আবৃত করা সম্ভব। তাইতো মা অনাবৃতা।


মা যদি যুদ্ধ না করবেন তো তার হাতে খড়গ কেন ?

আমি যখন ছোট ছিলাম তখন দুষ্টোমী করলে আমার মা লাঠি হাতে ছুটে আসতেন আমায় শাসন করতে। কখনো লাঠি দেখিয়ে শাসন করতেন আর কখন প্রয়োজনে আঘাত করতেন। তখন বুঝতাম না এখন বুঝি সেদিন মা আমায় আঘাত করেননি। করেছিলে আমার ভিতর যে অশুভ শক্তি আমায় ভুল পথে নিয়ে যেতে চাইত তাকে। শুধু আমার মা নয় সব মা-বাবাই তার সন্তানের ভালোর জন্য শাসন করে, আঘাত করে, সন্তানের স্বার্থে অনেক সময় অনেক কঠিন আচরন করে। মা কালীও তাই খড়গ হাতে এসেছেন আমাদের ভিতরের অশুভ শক্তিকে দমন করতে। প্রয়োজনে মা আঘাত করেন। আঘাত করেন আমাদের ভিতরকার রজগুণকে। তাই তো মায়ের খড়গ রজগুনের প্রতীক রক্তাক্ত লাল রংয়ে রঞ্জিত।


মা কালীর অনেকগুলো রূপ আছে আমরা জানি। কিছু কিছু রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। কেন তবে মা এই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেন ?

আমরা বুঝার সুবিধার্থে আবার জাগতিক বিষয়ে আমার ফিরে আসি। আমি যখন বাইরে কোন অপকর্ম করি তখন আমার মনে আসে যে ঘরে ফিরে গেলে আমার মা যদি এই অপকর্মের কথা জানেন তো আমায় খুব শাসন করবেন। তখন আমার মায়েরও একটা নির্মম রূপ আমার চোখে ভাসে। আমি বুঝতে পারি এই অপকর্মের কথা শুনার পর আমার প্রতি মায়ের কোন মমতা থাকবে না। সে অত্যন্ত নির্মমভাবে আমায় শাসন করবে যেন আর এমন কাজ করতে আমার প্রবৃত্তি না হয়। তখন সেই রূপ কল্পনা করে আমি অপকর্ম থেকে বিরত থাকি। শ্রীশ্রী মা কালীর এই ভয়ঙ্কর রূপ আমাদের সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। কারণ আমরা যাই করি না কেন, অন্তিমে মায়ের কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। আমরা যদি এখন অপকর্মে লিপ্ত থাকি তো মায়ের কাছে গেলে আমরা মায়ের সেই নির্মম ভয়ঙ্কর রূপ দেখতে পাবো। তাই আমাদের এখন থেকেই সাবধান হওয়া উচিত যেন আমরা অন্তিমে মায়ের কাছে ফিরে গিয়ে মায়ের মমতাময়ী কোমল সিগ্ধ রূপ দর্শন করতে পারি। যেন মায়ের সেই ভয়ঙ্কর রূপ আমাদের দেখতে না হয়।


মা যদি শুধু শাসন করতেই আসবেন তো তার হাতে ছিন্নমুন্ডু কেন ?

ছিন্নমুন্ডু। ছিন্নমুন্ডু কি নিদের্শ করছে। ভাল করে লক্ষ্য করে দেখুন মা শক্ত হাতে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে আছেন মুন্ডুর কাল কেশ, অপর প্রান্তে লাল রক্ত নিশেষিত হচ্ছে। এই কাল রং তমঃগুণের প্রতীক, রক্তাক্ত লাল রজ গুণের প্রতীক, আর মস্তক জ্ঞানের আধার। তো অর্থ কি দাঁড়ালো। মা শক্তহাতে আমাদের তমঃগুণকে ধরে আছেন যেন তমঃগুন আমাদের তামসিক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে না পারে।অপর দিকে রজঃগুনকে যদি আমরা আমাদের ভেতর থেকে নিষেশিত করতে পারি তো আমাদের জ্ঞানের আধারে থাকছে শুদ্ধজ্ঞান, স্বতত্তিক গুন। ছিন্ন মুন্ডু দ্বারা মা আমাদের এই নির্দেশই দিচ্ছেন।


ছিন্নমুন্ডুর অর্থ যদি এই হয় তো মায়ের গলায় মুন্ডু মালা কেন ?

পৃথিবীর তাবৎ পদার্থ নশ্বর। আজ যা আছে কোন কালে তার উৎপত্তি হয়েছিল, আজ তা বর্তমান আছে আবার সুদূর বা অদূর ভবিষ্যতে তার বিনাশ হবে এটাই সত্যি। সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয় হল অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যত এই তিন কালের তিনটি ছন্দ। অর্থাৎ সকলকেই কালের গর্ভে নিমজ্জিত হতে হবে। সংহারিণী কালী অন্তিমে সকল প্রাণীকেই আপন আধ্যাত্ম সত্তাভিমুখে সংহরণ বা আকর্ষণ করে নেন, তাই তাঁর গলে মুন্ডুমালা।


মা যদি রক্তপিপাসী না হবেন তো তার জিহ্বা রক্তাক্তলাল কেন, কেন তিনি দাঁত দিয়ে জিহ্বা কামড়ে আছেন ?

পূর্বের বলেছি মায়ের জিহ্বা রক্তাক্ত লাল হলেও তার দাঁত ধপধপে সাদা। আর আমরা জানি রক্তাক্ত লাল রং রজঃগুন আর ধপধপে সাদা রং স্বত্তঃগুনের প্রতীক। জিহ্বা কামড়ে ধরে মা এটাই বুঝাচ্ছে যে, স্বত্তগুণ দ্বারা আমাদের রজগুণকে এভাবেই দৃঢ়ভাবে আটকাতে হবে যেন কোন অবস্থাতেই রজঃগুণ আমাদের ভিতর প্রবেশ করতে না পারে। এখনে রক্তপানের কোন বিষয় নেই, বিষয়টা হল স্বত্তঃগুণ দ্বারা রজঃগুণকে দমন করার।



তবে কেন শিবের বুকে মায়ের পদচিহ্ন ?

আগেই আলোচনা করা হয়েছে যে শ্রীশ্রী মা কালী বিবর্তমান কালের অতীত। ভূত-বর্তমান-ভবিষ্যত সর্বকালের উর্দ্ধে মায়ের স্থান। আর এই কালের নিয়ন্ত্রা হচ্ছেন মহাকাল শিব। এ থেকে এটাই স্পষ্ট যে মহাকাল শিবের উর্দ্ধে মা কালী স্থান। তাইতো মহাকালীর পায়ের নিচে শায়িত মহাকাল।

এখানে আরেকটা বিষয়ের নির্দেশ পাওয়া যায়। আমরা জানি শিব প্রলয়ের দেবতা, ধ্বংসের দেবতা। অপর দিকে মাও এসেছেন প্রলয় ঘটাতেই। তারপর তিনি তার প্রলয়কারী শক্তিতে নিজের পায়ের নিজে দমন করে বুঝিয়েছে যে শক্তি থাকলেই তা প্রয়োগ করা উচিত নয়, নিজের শক্তিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ চাই। তাই আজও বিশ্ব-ভ্রমান্ড টিকে আছে, নয়তো তা কবেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হতো। যার অর্থ দ্বারায়, আমাদের যত শক্তিই থাক সেই সাথে সেই শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তিও চাই। আমরা যেন আমাদের নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার না করি। আমাদের ধ্বংসাত্মক শক্তি যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়।


আমাদের করণীয়ঃ

এতক্ষন আমরা মায়ের রূপের আধ্মাতিক সম্পর্কে জানলাম। এবার আমাদের করণীয় কি তা নিয়ে আর কিছু আলোচনা করার মত নেই। তবুও একটা বিষয়ের দিকে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। তা হলো মায়ের অঞ্জলী। আমরা জানী মা কালী রক্তজবা পছন্দ করেন। তাই আমরা মায়ের পায়ে রক্তজবা দিয়ে অঞ্জলী দিয়ে থাকি। কিন্তু এই রক্তজবার আধ্মাতিক রূপ কি ? পূর্বেই আলোচিত হয়ে যে রক্তাক্ত লাল রং রজঃগুনের প্রতীক আর এই রক্তজবার রংও রক্তাক্ত লাল। অর্থাৎ রক্তাজবা অঞ্জলী দেয়া মানে হচ্ছে আমাদের ভিতরকার রজঃগুনগুলোকে মায়ের পায়ে অঞ্জলী দেয়া।

পরিশেষেঃ
পরিশেষে পাঠকদের বলতে চাই, উপরের আলোচনাটি কয়েকটি বইয়ের সাহায্য নিয়ে সংক্ষিপ্তরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি জানি এ আমার দুঃসাহসিক প্রচেষ্টা। শ্রীশ্রী মা কালীর আধ্মাতিক রূপ পূর্ণাঙ্গভাবে উপস্থাপন করার কোন যোগতাই আমার নেই। তবুও আমি যতটুকু অনুধাবন করতে পেরেছি তা সংক্ষিপ্তরূপে এখানে উপস্থাপন করলাম। যদি কেউ এ বিষয়টি নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গরূপে জানতে চান তো শ্রীশ্রী মা কালীর উপর লেখা বিজ্ঞ লেখকদের বইয়ের সাহায্য নিতে পারেন। আমি এখানে শুধুমাত্র প্রাথমিক একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করেছি। এখানে ভাষাগত, ভাবগত, ছন্দগত অনেক ভুল থাকতে পারে যা আমার জ্ঞানের স্বল্প এবং লেখনির অনভিজ্ঞতার কারণে হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করবো পাঠকবৃন্দ আমার এসব ভুল নিজগুনে ক্ষমা করবেন এবং মুল বিষয়বস্তুটার প্রতি অধিক মনোযোগী হবে।
********জয় মা কালী।***********
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে দেখা - ১৩ মে

লিখেছেন জোবাইর, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:০৩

১৩ মে ২০০৬


দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×