somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

না হাসলে পয়সা ফেরৎ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

:)
সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন।
মাধ্যাকর্ষন সম্পর্কে বুঝাচ্ছেন।


তিনি বললেন, কোন কিছু যত উপরেই ছুঁড়ে দেয়া হয় না কেন তা আবার মাটিতে এসে পড়বে।

হঠাৎ এক সৈনিক দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্যার মাটিতে না পড়ে যদি পানিতে পড়ে তাহলে?

ক্যাপ্টেন: ওটা নৌবাহিনীর ব্যাপার তোমার না জানলেও চলবে।
=============================================
:)
কুমির উড়তে পারে!


ক্যাপ্টেন সৈনিকদের ক্লাশ নিচ্ছিলেন, একজন সৈনিক দাঁড়িয়ে বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?


ক্যাপ্টেন বললেন, না, কুমির উড়তে পারেনা।

ক্যাপ্টেন ক্লাশের পড়ানোয় মন দিলেন। সৈনিকটি দাঁড়িয়েই রইলো। কিছুক্ষণ পর আবার বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?

ক্যাপ্টেন একটু বিরক্ত হয়ে বললেন, যাদের বুদ্ধি হাটুতে তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।

যথারীতি ক্যাপ্টেন পড়াচ্ছেন আর সৈনিক দাঁড়িযেই আছে। আবার একটু পর সৈনিক বললো, স্যার কুমির কি উড়তে পারে?

ক্যাপ্টেন এবার রেগে গিয়ে বললেন, যাদের মাথায় গোবর ভরা তাদের জন্য বলছি, কুমির উড়তে পারে না।

এবার সৈনিকটি বললো, কিন্তু স্যার, জেনারেল স্যার যে বলছিলেন, কুমির উড়তে পারে!
ক্যাপ্টেন এবার কয়েক মূহুর্ত ভেবে বললেন, ও জেনারেল স্যার বলেছেন নাকি? তাহলে কুমির উড়তে পারে তবে খুব নিচ দিয়ে!
:)
=============================================
:)
যেমন জেনারেল, তেমন সৈন্য


এক সৈন্য ভুল করে তার মগ উলটে রেখে গেলো টেবিলে।
জেনারেলের তেষ্টা পেয়েছে, পেয়াদাকে হুকুম করলেন পানি আনার জন্য।


পেয়াদা অনেক ক্ষন দেখে ফিরে এসে রিপোর্ট করলো
স্যার পানি আনতে পারবো না, মগের কোনো মুখ নেই।

জেনারেল গেলেন টেবিলের কাছে অনেক ক্ষন গবেষনা করে বললেন
কি আশ্চর্য এটার তো তলাও নেই।
:)
=============================================
:)
মৃত্যু সংবাদ


ক্যাপ্টেন গফুর দরাজ গলায় হাঁক পাড়লো, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী বরকতের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো।”


সার্জেন্ট জলিল সমবেত সিপাহী জনতার সামনে গিয়ে বললো, “রমজান, মেস হলের হাল হকিকত এক্ষুণি আমাকে রিপোর্ট করো। বাশেদ, দপ্তরের কেরাণীকে এক্ষুণি ক্যান্টনমেন্টের ফাইলগুলো পাঠাতে বলো। আর বরকত, ভালো কথা, তোমার আম্মা মারা গেছে। তুমি স্যারের সাথে গিয়ে দেখা করো।”

সেদিন সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন গফুর, সার্জেন্ট জলিলকে বললেন, “দ্যাখো জলিল। এমন একটা মানবিক ব্যাপার তুমি এমন আবেগহীন ভাবে সোজাসাপ্টা কীভাবে বললে! এইসব বিষয়ে…মানে বুঝলে তো- আরেকটু কৌশলী হলেই পারো।”

“ইয়েস স্যার।” পায়ে মেঝে ঠুকে, স্যালুট মেরে বললো সার্জেন্ট।

কিছু সপ্তা পর ক্যাপ্টেন গফুরের ফের দরাজ কণ্ঠ, “সার্জেন্ট জলিল। একটু আগেই একটা টেলিগ্রাম পেলাম, সিপাহী শমসেরের আম্মা নাকি মারা গেছে। তাকে গিয়ে দুঃসংবাদটা জানাও আর আমার সাথে দেখা করতে বলো। তবে রোসো, একটু কৌশলে।”

সার্জেন্ট জলিল আবারো সিপাহী জনতার সামনে এসে দাঁড়ালো।

“সমাবেশ! ফল ইন করো।” চড়া গলায় বললো সার্জেন্ট। “এবার, যাদের যাদের আম্মা জিন্দা আছে, তারা সবাই দুই কদম এগিয়ে এসো। শমসের, তুমি বাদে।”
:)
=============================================
:)
লেফটেন্যান্ট তার কার্যকাল শেষে বড়কর্তার কাছে রিপোর্ট করছে,

- “কমরেড কর্ণেল, আমার প্যাট্রলিঙের সময় বলার মতো তেমন কিছুই ঘটেনি, শুধু স্কোয়াডের কুকুরটা মারা গেছে।”

-”কুকুরটা কেন মরলো?”

-”ঘোড়ার গোশত অতিরিক্ত খেলে মরবে নাতো কি?”

-”কিন্তু, ঘোড়ার গোশত সে পেলো কোত্থেকে!”

-”আমাদের ওই খয়েরী খোজা ঘোড়াটাকে গুলি করতে হয়েছিল।”

-”কিন্তু কেন?”

-”কারণ ওটা এমনিতেই মরতে বসেছিল।”

-”মরতে বসেছিল? এই তাগড়া ঘোড়াটার আবার হঠাৎ করে কি হয়েছিল?”

-”তেমন কিছু না। মাত্রাতিরিক্ত ভারবহনের কারণে এমনটা হয়েছিল। “

-”অতিরিক্ত ভার? কেন?”

-”আমরা বড় বড় পিপায় করে নদী থেকে জল আনছিলাম। ওই খোজা ঘোড়াটা একটু বেশিই জল বয়েছিল।”

-”কিন্তু, নদী থেকে এত জল আনার প্রয়োজন পড়লো কেন!?”

-”কারণ, আগুন ধরেছিল। পুরা ব্যারাক পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে।“

এবার ক্রোধান্বিতই হলেন কর্ণেল।

-”কী! তুমি এই কথাটা পয়লা বলোনি কেন?”

-”আপনার ডেপুটিকে এটাই প্রথমে বলেছিলাম। কিন্তু সে যে হার্টফেল করে মারা গেল…”
:)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×