মানুষের জীবনে মানুষেরই অবদান বেশী । সেখানে ঈশ্বরের অবদান শূন্য । তবু মানুষের কথা ভুলে ঈশ্বরের কথাই বেশী ভাবি।
মানুষের জীবনে মানুষের অবদান আছে। মানুষের জীবনে ঈশ্বরের অবদান শূন্য। ঘুম থেকে উঠে রাতে শুতে যাওয়া পর্য্যন্ত একজন মানুষের পাশে মানুষই থাকে,সেখানে কোন ঈশ্বর এসে সাহায্য করে না।আমি যখন খাবার খেতে চাই,তখন মানুষের কাছে খাবার চাই। ঈশ্বর এসে খাবার দেয় না। ঝড়ে যখন আমার ঘর ভেঙে যায়,মানুষ এসে সাহায্য করে আমার ঘর মেরামত করতে। আমি বিপদে পড়লে মানুষ পাশে এসে দাঁড়ায়।
নদীতে যে সেতুটি আছে সেটি মানুষের তৈরী।যানবাহন সবই মানুষের তৈরী। চাষবাস মানুষই করে।রেডিও,টিভি,সিনেমা,কম্পিউটার,মোবাইল,উড়োজাহাজ সবই মানুষের তৈরী।ওষুধ সেওতো মানুষের তৈরী। সর্বক্ষেত্রে মানুষের অবদান। মানুষের কোন কাজের মধ্যে ঈশ্বরের কোন অবদানই নেই। আমি যখন মারা যাবো তখন আমার পাশে থাকবে মানুষ। আমার মরার সময় আমার পাশে ঈশ্বরও থাকবে না। ঈশ্বর যদি থাকবে তাহলে ঈশ্বর কেন পারে না বন্যায় ভেসে যাওয়া নিরীহ শিশুগুলোকে বাঁচাতে ? ঈশ্বর যদি থাকে তাহলে মানুষকে ঈশ্বর বলতে হয়। সব ভাবনা মানুষকে নিয়ে। মানুষ বাদ দিয়ে আলাদা করে কোন ঈশ্বর নেই। একজন পুরুষের কাছে ঈশ্বর হলো নারী। একজন নারীর কাছে ঈশ্বর হলো একজন পুরুষ মানুষ। বাস্তব সত্যকে উপেক্ষা করে অবাস্তবের দিকে ছুটে চলি তাই আমাদের এত কষ্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৪