ঘটনা-১
বাইসাইকেলের ব্রেক ঠিকমতো কাজ করে না। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে চালানো হচ্ছে। উদ্দেশ মোহাম্মদপুর থেকে কাকরাইল। পথিমধ্যে কোনো সমস্যা হলো না। সাইন্সল্যাবের কাছাকাছি আসতেই ল্যাব এইডে রাস্তার পাশে পার্ক করা একটি গাড়ি বের হয়ে রাস্তার মাঝখানে আড়াআড়িভাবে দাঁড়াল। ওই গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে ব্রেকহীন সাইকেল রাস্তার পাশে পার্ক করা আরেকটি গাড়ির চাকার কিছুটা পাশে ধাক্কা দিল।
মালিকের বুঝি বেশ লাগল। এসে সাইকেল চালককে ধাক্কার কারণ জানতে চাইল। কারণ জানালও চালকটি। কিন্তু গাড়ি মালিকের খিস্তি খেউর থামে না। সাইকেল চালক গাড়ির তেমন কিছু না হলেও দুঃখ প্রকাশ করল। কিন্তু গাড়ি মালিকের দাবি কিছু হলে পিটিয়ে রাস্তায় শুয়ে দিত।
সাইকেল চালক কথা না বাড়িয়ে চলে যেতে লাগলে গাড়ির মালিক তার গেঞ্জি ধরে টান দিল। কেন গায়ে হাত দিলেন জানতে চাইলে এবার গালে দুইটা চপেটাঘাতও দিল। প্রথম ঘটনার এখানেই শেষ।
ঘটনা-২
শাহবাগের মোড়। যাদুঘরের সামনে বেশ ট্রাফিক জ্যাম। পাবলিক লাইব্রেরির সামনে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। গাড়ির ডানদিকে বেশ ফাঁকা, কিন্তু সামনে পেছনে জায়গা নেই। ওই ফাঁকা জায়গায় একটি মোটরসাইকেল এসে দাঁড়াতেই দরজা খুলে গাড়ির ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে চাইল যাত্রী। ফলাফল, দরজার আচমকা ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুজন যাত্রী চিৎপটাং।
কিন্তু গাড়ির দুজন তাজা যাত্রীর কোনো বিকার নেই। মনে হলো তারা গাড়ি থেকে বের হবে এটাই স্বাভাবিক, তখন যদি তার ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল পড়ে যায় তাদের কী আসে যায়? আর বেচারা দুই মোটর যাত্রী কিছুই বলতে পারল না।
পৃথিবীর মানুষের মানসিকতা বড়ই বিচিত্র। ঘটনার পুরো উল্টো চিত্রই ঘটে গেল। জোর যার মুল্লুক তার........... এ প্রবাদ হয়তো চলতেই থাকবে। নদীর স্রোতপ্রবাহ থেমে যাবে, কিন্তু এর শেষ নেই।