somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ষড়যন্ত্রের ইন্দ্রজাল ছিন্ন করে জনতার তারেক জিয়া ফিরে আসবেই জনতার মাঝে

২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


তারেক রহমানকে নিয়ে আ্যালার্জির শেষ নেই এমন ব্যাক্তি ব্লগে, মিডিয়াতে ও সুশীল পাড়ায় অভাব নেই। তাই যেখানেই যাই তারেক কে নিয়ে কথা বললে কেউ কেউ নাক সিঁটকান, কেউ কেউ উচ্চমার্গের বক্তব্য দেন, কেউ দেন হেদায়েতি ভাষন, কেউ সততা ও দূর্নীতির উপর চানক্যবাদী উপদেশমূলক লেকচারও শুনাতে দ্বিধা করেন না। বিষয়টা এমন যে তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতির দলিত বা অচ্যুৎ সম্প্রদায়ভুক্ত করার জন্য বিশেষ মহল উঠে পড়ে লেগেছে। যেনো কোন রকমে তারেক রাহমানের গায়ে চুনকালি মাখিয়ে দিতে পারলেই তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারে। এবং এক্ষেত্রে তারা অনেক খানি সফলও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন আসে কেনো এই প্রচেস্টা? কেনো তারেক কে নিয়ে এতো আ্যালার্জি এবং এরা কারা?? তাদের উদ্দেশ্য কি?



সম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিকের নাম তারেক রহমান। তারেক রহমান কে নিয়ে আলোচনা হয়না এমন কোন ঘর বাংলাদেশে নেই। তারেক রহমান কে নিয়ে আফসোস করেনা এমন কোন সচেতন মানুষ বাংলাদেশে পাওয়া যাবে না। এই তারেক রহমানকে কলংকিত করার জন্য কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দি দীর্ঘ দিন ধরে এক অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে। রাজনীতির এ অশুভ খেলা কেবল মাত্র হিংসা আর বিদ্বেষই ছড়াচ্ছে, এ খেলা ভালো কিছু যে এখনো বয়ে আনতে পারেনি তাও সবাই ইতোমধ্যে অবলোকন করেছেন। প্রতিদ্বন্দি রাজনৈতিক ব্যাক্তির সাথে মনন ও আদর্শের লড়াইয়ে না পেরে তাকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার পুরোনো এ খেলা আমাদের এ পৃথিবীতে শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এতে করে ব্যাক্তিকে শেষ করে দেয়া যায় তবে তার আদর্শ, চিন্তা, চেতনা কে শেষ করা যায়না। আর তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান তার উপর নির্যাতন আর নীপিড়ন সহ্য করে আজো ঋজু দেবদারুর মতো দাঁড়িয়ে আছেন বাংলাদেশের তরুন প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে।

লিগাসী অফ তারেক রহমান

তারেক রহমানের রাজনীতির হাতে খড়ি তার পরিবার থেকেই। বাবা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক পরে রাস্ট্রপতি। মা বাংলাদেশের প্রথম মহিলা রাস্ট্র প্রধান হওয়ায় তিনি ঘরে বসেই শিখে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও দেশ পরিচালনার অনেক খুঁটিনাটি। বাকি থাকলো জনগনের সাথে সম্পর্ক যেহেতু শহীদ জিয়ার সন্তান সেহেতু মাটির সাথে, মানুষের সাথে তার নিবিঢ় সম্পর্ক থাকবেই। তাই তিনি সেই টানে শুরু করলেন বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জ চষে বেড়ানো। শুরু করলেন তৃণমূলের নেতা কর্মীদের সাথে যোগাযোগ। বাংলাদেশের মাটিও তাকে বরন করে নিলো। বরন করে নিলো সৌভাগ্যের রাজপূত্রকে। পরম মমতায় স্থান করে দিলো বুকের ভিতরে, ভালোবাসার মালা পড়িয়ে কাছে টেনে নিলো তাকে। পরিনত হলেন বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দনে। তাই তাকে নিয়ে শংকিত হলো বিরোধী পক্ষ যাদের রাজনীতি হচ্ছে ফ্যাসিজম, সংবাদ পত্রের টুঁটি চেপে ধরা, প্রপাগ্যান্ডা আর হিটলারের নাৎসীজম মতো ঘৃন্য। বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরতান্ত্রিক সরকার বাকাশালের প্রেতাত্মারা হীন সব ষড়যন্ত্র আর বিদেশী শক্তিকে নিয়ে মেতে উঠলো তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরোদ্ধে বিনাশী এক খেলায়। আতংকগ্রস্থ হলো বিদেশী পরাশক্তিরাও। কারন আমাদের সবচেয়ে নিকটবর্তি নব্য সম্রাজ্যবাদের দালাল ও মনে মনে বনে যাওয়া সাউথ এশিয়ার মোড়লের জন্য তারেক রহমান নিংসন্দেহে এক বিরাট সমস্যার নাম। কারন তারেকের মতো নতুন নেতৃত্ব বাংলাদেশে কায়েম হলে তাদের অনেক কুইচ্ছা ই আর কোন দিন বাস্তবায়ন হবেনা। তাই তারেক কে নিয়ে বানানো হলো কন্সপাইরেসী থিওরী।

ষড়যন্ত্রের শিকার একজন তারেক রহমান

এ মূহুর্তে আপনি যদি গুগলে একটা সার্চ দেন তাহলে দেখবেন তারেক রহমানের দূর্নীতি, তারেক রহমানের দূর্নীতি নামে অনেক রিপোর্ট, এই রিপোর্ট গুলোর মধ্যে বিস্তর অভিযোগ পাবেন তারেক রহমানের নামে।আজ ৫/৬ বছর ধরে আপনি আমি সেই সব অভিযোগই কেবল শুনেছি কিন্তু কোন প্রমান আজো পেলাম না। আভিযোগের পাল্লা তার নামে ভারি হয় দিন দিন এবং তার চেয়েও জোরে শোরে চলে প্রচারনা, হলুদ সাংবাদিকতার ধারক বাহকেরা মিথয়া রিপো্র্ট আর বানোয়াট কাহীনি বানিয়ে প্রথম পাতায় বড় বর অক্ষরে ছাপায় নির্লজ্জের মতো (চ্যানেল ফোরের আন্ড্রু গিলিগানের মতো পেইড সাংবাদিকেরতো আর অভাব নেই বাংলাদেশে) কিন্তু আজ পর্যন্ত তারেক রহমানকে চাক্ষুষ প্রমান সহ কোন দূর্নীতিতে ধরতে দেখলাম না। তারেক রহমানকে বাকশালবাদীরা বলে মি.১০%. এই নামটাও ভাড়া করা আজ পর্যন্ত কেমন কোন পিতার সন্তান নেই যে সে বলতে পারবে তারেক তার কাছ থেকে ১০ পারসেন্ট কমিশন নিয়েছে ব্যবসা পাইয়ে দেবার নামে। তার বিরোদ্ধে অভিযোগ গুলো সাজানো ও মিথ্যা তার প্রমান আজ জনগনের সামনে। নিচের ভিডিওটা দেখুন অনেক কিছুই জানতে পারবেন।



মজলুম জননেতা তারেক রহমান

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্যাতিত নেতার নাম তারেক রহমান। অকথ্য নির্যাতন সহ্য করে এখনও টিকে আছেন এটা আল্লাহ তায়ালার এক রহমত তার পিতা-মাতার উত্তম কাজের জন্যই আজো তারেক রহমান বেঁচে আছেন। তারেক রহমান বেঁচে আছেন মানুষের ভালোবাসায়, তারুন্যের চেতনায়। তারেক রহমানের উপর বায়বীয় অভিযোগ আর জোর করে করানো মিথ্যা মামলায় তাকে যে নির্যাতন করা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। তার উপর যে বর্বরতা ও নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে তারেক রহমান কে পিটিয়ে তার মেরুদন্ড ভেংগে দেওয়া হয়েছে। একজন জাতীয় নেতাকে এভাবে পিঠানোর বেদনাদায়ক এ ইতিহাস পাকিস্তানী বর্বরতাকেও হার মানায়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে রাজনীতিবিদ তারেক রহমান কি এতোই খারাপ ছিলেন যে তার মেরে মেরুদন্ড ভেংগে দিতে হবে? না আসলে তা নয়, তার উপর নির্যাতনের মূল কারন হচ্ছে তাকে চিরতরে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। তারেক রহমান কি রক্ষী বাহীনির মতো কোন বাহীনি বানিয়ে মানুষকে দিন দূপুরে অথবা রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গুম করেছন? তারেক রহমান কি মুজিব পুত্রদের মতো কোন নারীর ইজ্জত সম্মানের হানি ঘটিয়েছেন? তারেক রহমান কি মুজিব পূত্রদের মতো বন্ধুক সাথে নিয়ে চলা ফেরা করতেন? তারেক রহমান কি মুজিব পূত্রদের মতো ব্যাংক লুটের মতো কোন অপকর্ম করেছেন? তারেক রহমান কি স্বৈরাচার এরশাদের মতো সেনাবাহীনি লেলিয়ে দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মী হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন? তারেক রহমান কি দূর্নীতির মাধ্যমে কোন জনতা টাওয়ারের মালিক হয়েছেন? তারেক রহমান কি জনগনের সম্পদ লুট করেছেন?? না, এমন কোন প্রমান আজো কেউ তারেক বিরোদ্ধে দাখিল করতে পারেনি। তবুও তারেকের বিরোদ্ধেই ক্যানো এতো আক্রোশ? এই আক্রোশের পিছনে রয়েছে দেশী বিদেশী পরাশক্তির ইন্ধন। আজ যখন জনতা জেগে উঠেছে খালেদা জিরা নেতৃত্বে তখন তার উপর নির্যাতন কারীরা বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এতেই প্রমান হয় তিনি একজন সজ্জন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, তার বিরোদ্ধে অভিযোগ গুলো মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই তিনি এ যুগের মাওলানা ভাসানী, তিনি মজলুম।

ঊইকিপিডিয়া বলছে:
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগগুলো এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে আছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ আনা হলেও পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় যাবৎ আইনী লড়াই চালিয়েও কোন কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে দূর্নীতির প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক সন্দেহ পোষণ করেছেন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ অনেকাংশেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল কিনা।

প্রত্যাহার আবেদনে মুফতি হান্নান : লোমহর্ষক নির্যাতনে তারেককে জড়িয়ে জবানবন্দি নেয়া হয়

শেষে শুধু বলতে চাই। তারেক রহমানের বিরোদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ গুলোর সত্যতা না থাকায় জনমনে যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে তা আজ জনপ্রিয়তায় রূপান্তরিত হচ্ছে। তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা দিন ডিন বেড়েই চলছে। তরুন সমাজ বুঝতে পেরেছে তারুন্যের অহংকার তারেক রহমান ছাড়া বাংলাদেশের বিকল্প কোন নেতা নেই। তাই তরুনসমাজ সহ গোটা দেশ বাসী একজন তারেক রহমানের প্রতীক্ষায় দিন গুনছে। জনতার নেতা তারেক রহমান শীঘ্রই জনতার মাঝে ফিরে আসবেন। বিএনপি মহাসচিব সর্বজন শ্রদ্ধেয় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের তরুন সমাজকে ডাক দিয়েছেন দ্বায়িত্ব নেওয়ার জন্য এই ডাকে আমার বিশ্বাস আমার মতো কোটি তরুন তারেক রহমানের নেতৃত্বে বেগম জিয়া ও মির্জা আলমগীররের নির্দেশনায় দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসবে। কারন আমরা করবো জয়, আমাদের বুকেই আছে দেশ গড়ার প্রত্যয়।
৩৪টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×