কাগজটা ফেলে দিলাম। এই নিয়ে ৯ বার হল। একটা চিঠিও লিখতে পারি না আমি
ঘটনা হচ্ছে আমার একটা চিঠি লিখতে হবে। যে সে চিঠি না। যাকে বলে প্রেমপত্র ! আমি কখনো প্রেমপত্র লিখিনি। লিখতে গেলেই অন্য কবিদের কবিতা চলে আসে। কিন্তু আমার উপর কড়া নির্দেশ ( !! ) চুরি করা কবিতা দেওয়া যাবেনা। তাই গত ২ দিন টানা চেষ্টার পরও চিঠিটা শেষ করতে পারিনি। এদিকে আর সময়ও নেই। আজই চিঠি দিতে হবে। সুন্দর না হলে নাকি আমার সাথে সে প্রেম করবে না। কি একটা সমস্যায় পড়লাম। যাই লিখি না কেন, আমার মন মতো হচ্ছে না।
বেইলি রোডে যখন পৌঁছালাম তখন সকাল ১১ টা। তার সাথে আজ যেখানে দেখা হবে সেখানে যেতে হলে বেইলি রোড দিয়ে যেতে হয়।ফুলের দোকান দেখে ফুল কিনতে গেলাম। অবশ্যই সবচেয়ে লাল গোলাপটা। কিন্তু গোলাপ কিনার পর থেকে দোকানের বাকি গোলাপগুলো আরও লাল মনে হচ্ছে!!
রিকসায় করে আবার রওনা দিলাম। কত কথা যে মনে আসছে এখন। বিশেষ করে “তার” সাথে পরিচয়ের কথা। ওহ, সে যে কে তাই তো বলিনি!!! তার নাম মৃত্তিকা।
মুঠোফোনে একটা বার্তা আসলো। অবশ্যই মৃত্তিকার। সে আমার জন্য ‘সেই’ গাছটির নিচে দাড়িয়ে।কিছুক্ষন পর দূর থেকে তাকে দেখতে পেয়ে রিকশা ছেড়ে দিলাম। ও আমাকে এখনও দেখেনি।..................অতঃপর দুরু দুরু বুকে, ভীরু ভীরু পায়ে, হাতে গোলাপটি নিয়ে আমি তার দিকে হাঁটতে লাগলাম...............
“তারপর কি হল?” প্রশ্ন করলো ব্রীহি।
“কিছুনা, আর বলতে ইচ্ছা করছেনা আমার” হাসিমুখে জবাব দিলাম আমি।
ব্রীহি রাগে লাল হয়ে গেলো। লাল হলে ওকে বেশ ভালো লাগে। আর তাকে ভালমতো রাগানোর উপায় হচ্ছে আমার ছোটবেলার ভালোবাসার কাহিনীটা বলা। সে পুরোটা শুনতে চায়। কিন্তু আমি বলিনা। আমি বলা শুরু করলে সে আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে সমাপ্তি শুনার জন্য । কিন্তু আমার বলতে ইচ্ছা করেনা পুরোটা। কেমন জানি কষ্ট লাগে।কেন লাগে, তাও বুঝিনা। হয়তো বুঝার চেষ্টা করি না। সবকিছু যেন কেমন অসমাপ্ত অসমাপ্ত লাগে.................................