somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা গান এর অন্যএক ধারার নাম “জেমস” (জেমস এর অজানা অধ্যায়)

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন আগের কথা তখন আমি ২য় শ্রেণীতে পড়ি। আমার ছোট মামা একদিন একটি সাদা রঙের কভারের একটি অডিও ক্যাসেট নিয়ে ঘরে ফিরলেন যেটি সেদিন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো। আমি ক্যাসেটটি হাতে নিয়ে দেখতে লাগলাম । সেখানে ছিল একজন মানুষের ছবি আকা যে দাঁড়ানো অবস্থায় আছে এবং এর নিচে লিখা “অনন্যা- জেমস “। আমি মামাকে জিজ্ঞেস করলাম “মামা এটা কার ক্যাসেট”? মামা বললেন “জেমস এর ক্যাসেট”? আমি নাম শুনে আবার জিজ্ঞেস করলাম “ও এটা ইংরেজি শিল্পীর গান”? মামা বললেন “নারে! এটা বাংলা শিল্পীর গান”। আমি মামার কথায় তখনো বিশ্বাস করেনি,তাই বললাম “ তুমি জানো না, এইটা ইংরেজি শিল্পীর গান, না হলে নাম ‘জেমস ‘ হতো কেন”? মামা এবার বিরক্ত হয়ে বললেন “বাপ! আমারে মাপ কর তুই! তুই থাকলে থাক ,না থাকলে ভাগ! আমি ক্যাসেটটা শুনি, বিরক্ত করিস না”! মামার ঝাড়ি খেয়ে আমি চুপচাপ মামার পাশে বসে সেই ক্যাসেটের গান শুনতে লাগলাম। সেই থেকে পরিচয় এক অদ্ভুত কণ্ঠের সাথে! যার গান আজো মুগ্ধ করে যায় অবিরত। হ্যাঁ বন্ধুরা, আমি আমাদের প্রিয় “জেমস” এর কথা বলছি। যার পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। তাঁর বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরেজীবি, সেই সুত্রে ছোট বেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর বাবা যখন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান ছিলেন তখন সেই চট্টগ্রাম থেকেই তাঁর সঙ্গীতের পাগলামি শুরু মানে সেখান থেকেই তারে সবাই চিনতে শুরু করে। ৯ম শ্রেণী পড়া অবস্থায় বাবা তাঁর বখে যাওয়া সন্তান টিকে একদিন ঘর থেকে বের করে দেয় পড়াশুনায় মনোযোগ না থাকায়। সেই সময় চট্টগ্রামের “আজিজ বোর্ডিং” হয় তাঁর গানের কারখানা । যে “আজিজ বোর্ডিং “ নিয়ে সম্পূর্ণ একটা গান তিনি পরে গেয়েছিলেন। “আজিজ বোর্ডিং” এর সব গুলো কথা তাঁর সৃতিময় সেই দিনগুলো থেকে নেয়া যা সব সত্যি ঘটনা। তাঁর উপর ক্ষুব্ধ থাকা তাঁর সেই স্বর্গীয় পিতা নিশ্চয় আজ স্বর্গ থেকে ছেলের সফলতা দেখে খুশী মনে আছেন! তিনি যাকে শিক্ষিত করে তাঁর মতো বড় কোন সরকারী কর্মকর্তা বানাতে চেয়েছিলেন আজ হয়তো তাঁর সেই দুঃখ নেই। কারন তাঁর ছেলে যে আজ বাংলাদেশের সঙ্গীতের অভিভাবক হয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
১৯৮৭ সালে বের হয় জেমস এর প্রথম একক অ্যালবাম “অনন্যা”। যার সবগুলো গান ছিল আসলেই অনন্যা ও ব্যতিক্রম। আজ যদি কেউ সেই অ্যালবাম প্রথম শুনে তাহলে তারও বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে যে গানগুলো জেমস এর গাওয়া। এর মূল কারন সেই গানগুলোতে ছিল সদ্য টগবগে এক তরুনের মিষ্টি মধুর পরিশীলিত সুর। আজ জেমস এর মাঝে খুব কম গানে পাওয়া যায়। ১৯৮৮ সালে আসাদ, ফাণ্টী ও বুলবুল কে নিয়ে জেমস গড়ে তুলেন “ফিলিংস” ব্যান্ড যাদের অনুশীলন থেকে শুরু করে থাকা ,খাওয়া সব হতো সেই “আজিজ বোর্ডিং” এর এক কামরায়। সেই কামরায় তাঁদের কত বিনিদ্র রাত কেটেছে শুধু গান তৈরির নেশায়। ১৯৮৯ সালে বের হয় “ফিলিংস’ এর ১ম অ্যালবাম “স্টেশন রোড”। যেখানে সেই “অনন্যা জেমস” আবারো একইরকম অন্য কিছু ভালোলাগা নিয়ে হাজির হয়। সেই অ্যালবাম এর “ঝর্না থেকে নদী”, “স্টেশন রোড” “দুঃখ কেন কররে মন” “আমায় যেতে দাও” “রুপসাগরে ঝলক মারিয়া” “সত্যই সুন্দর” সহ সবগুলো গানই ছিল অপূর্ব। যেখানে জেমস এর নীরব হাহাকার, প্রেমের আকুতি,অন্যায়ের প্রতিবাদ সব কিছু ফুটে উঠেছে এক অদ্ভুত সুন্দর ভাবে। বাংলাদেশের মানুষকে “জ্যাজ মিউজিক” এর সাথে সুন্দর ভাবে পরিচয় করিয়ে দেয় তাঁরা। সেদিন বাংলাদেশের মানুষ ও বুঝতে পারলো আমাদের ছেলেরাও কঠিন “জ্যাজ মিউজিক” করতে জানে। এরপর টানা ৯০-৯২ জেমস এবং ফিলিংস এর কোন নতুন খবর তাঁদের ভক্তরা পায়নি। এর মধ্যে ৯২ সালে জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন মডেল ও পরবর্তীতে অভিনেত্রী ও রথি কে (১৯৯২ সালে নায়ক আমিন খান এর সাথে জুটি হয়ে “অবুজ দুটি মন” ছবিতে অভিনয় করেন যা ছিল তাঁর একমাত্র ছবি ও সুপারহিট) বিয়ে করেন। যিনি পেশগত ভাবে একজন শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৩ সালে আবার চুপচাপ থাকা জেমস ও “ফিলিংস” শ্রোতাদের সামনে নিয়ে আসেন “জেল থেকে বলছি “ অ্যালবাম। মুলত এই অ্যালবাম দিয়ে নতুন দশকের শ্রোতাদের কাছে জেমস ও ফিলিংস এর পরিচয় ঘটে। তখন এই অ্যালবামটি কিছুদিন আগে বাজারে আসা এল.আর.বি এর প্রথম ২টা অ্যালবাম এর জনপ্রিয়তায় ভাগ বসায় এবং অডিও বাজারে একটা বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেয়। যার ফলে ১ম অ্যালবাম দিয়ে চুপ করে থাকা “মাইলস” তাদের প্রত্যাশা অ্যালবাম প্রকাশ করে সেই ঝাঁকুনিটা আরও বাড়িয়ে দেয়। শ্রোতারা তখন একসাথে ৪ টি অ্যালবাম (হকার, ঘুম ভাঙা শহরে (এল.আর.বি), জেল থেকে বলছি (ফিলিংস), প্রত্যাশা (মাইলস) নিয়ে দিশেহারা হয়ে যায়, কোনটা রেখে কোনটা শুনবে এই ভেবে। আর অডিও বাজারও তখন চরম সফলতার যুগে প্রবেশ করে। সেই “জেল থেকে বলছি’ এক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর করুন অনুভুতি ও আর্তনাদ নিয়ে জেমস তাঁর আসন পাকাপোক্ত করে নেন। তখন ব্যান্ড এর কন্সার্ট এ জেমস কে পাওয়া মানে শ্রোতাদের অন্যরকম উম্মাদনা। ১৯৯৪ সালে বের হয় জেমস এর ২য় একক অ্যালবাম “পালাবে কোথায়” যেটি ছিল এক প্রেমিকের প্রেমিকার প্রতি কঠিন প্রশ্ন ! যে তাঁর ভালোবাসার অস্রু ও সুখময় সৃতি দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে বেঁধে রাখতে চায়। এই অ্যালবাম টিও তখন শ্রোতা প্রিয়তা পায়। জেমস তখন হয়ে যায় “গুরু জেমস”। যেন নতুন যুগের এক কাণ্ডারি যে কিনা যেমন নাচাতে চায় শ্রোতারাও তেমনি নাচে। একই বছরে বের হয় প্রিন্স মাহমুদের প্রথম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম “শক্তি” যেখানে জেমস এর গান ২টি ছিল শ্রোতাদের আকাশের চাঁদ হাত পাওয়ার মত। একই বছরে মিক্সড ও একক অ্যালবাম এর মাধ্যমে জেমস শ্রোতাদের কাছে এক উম্মাদ ঝড়ের নাম হয়ে উঠে। চারিদিকে তখন ২টা পক্ষ “জেমস এর ভক্ত” ও “জেমস এর বিরোধী” স্পষ্টত মুখোমুখি অবস্থান নেয়। হয়তো এই অনিবার্য সংঘাত এড়ানোর জন্যই তখন জেমস ও ফিলিংস নিয়ে আসে “লেইস ফিতা লেইস” অ্যালবামটি (যেটি ছিল ফিলিংস নাম নিয়ে সর্বশেষ অ্যালবাম) । যে অ্যালবাম এ “পথের বাপ” “বায়স্কোপ” “সিনায় সিনায়” “হাউজি” “পুবের হাওয়া” “দে দৌড়” “নিরান্নব্বই নামে তিনি” সহ সবগুলো গান চরম শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। যার ফলে “গুরু” নামটি জেমসের সাথে পাকাপোক্ত ভাবে বসে যায়। তখন জেমস ছিল অবাধ্য ও বিশৃঙ্খল তরুণদের শান্ত করার এক যাদুকর। জেমস কন্সার্টে আসা আগ পর্যন্ত যে তরুণরা তাকে দেখার অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে থাকতো তাদের উদ্দেশে মঞ্চে উঠেই জেমস বলতেন” তোরা শান্ত হয়ে যা! আমি এসে গেছি!” ব্যস, সবাই সেই যাদুকরের কথায় শান্ত হয়ে যেত আর তাঁর গানগুলোতে ঠোঁট মিলিয়ে গাইত। “লেইস ফিতা লেইস “অ্যালবাম দিয়ে জেমস তাঁর বিরোধী শিবিরে যে আঘাত এনেছিলেন তাঁর শেষ আঘাত দিয়ে বিরোধী শিবির কে একেবারে নিশ্চিনহ করতে তিনি নিয়ে আসেন তাঁর একক অ্যালবাম “দুঃখিনী দুঃখ করোনা”। যা দিয়ে তিনি তাঁর বিরোধী শিবির কে একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দেন। সেই অ্যালবাম এর সবগুলো গান এতোটাই জনপ্রিয় হয় যে তাঁর বিরোধী শিবির এর লোকেরাও সবাই তাঁর ভক্ত হয়ে যায়। বিশেষ করে “যদি কখনও ভুল হয়ে যায়” গানটি জেমস এর সর্বকালের সেরা একটি গানে পরিণত হয়। যে গানে জেমস এর আবেগ এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে কোন মানুষ এর চোখে জল আনতে বাধ্য করতো। সেই ফেলে আসা ৯০ দশকে জেমস আরও একটি চমৎকারউপহার ছিল তাঁর ব্যান্ড (ফিলিংস) এর নতুন নামে প্রকাশ “নগর বাউল” এর প্রথম অ্যালবাম যেখানে “মান্নান মিয়ার তিতাস মলম” , “আমি এক নগর বাউল”, “আমি তারায় তারায় রটিয়ে দিবো”, “নাগ নাগিনির খেলা” “হুমায়রা নিঃশ্বাস চুরি হয়ে গেছে” গানগুলো। তাঁর আগে আরেকটি কথা না বললেই নয় তখনকার সমান জনপ্রিয় এল.আর.বি এর সাথে ফিলিংস এর পরপর ২ টি যৌথ অ্যালবাম “ক্যাপসুল ৫০০ এম.জি” এবং “স্ক্রু ড্রাইভার” নামক অ্যালবামগুলো। যা শ্রোতাদের কাছে আজো একটি লোভনীয় অ্যালবাম হিসেবে পরিচিত। গত দশকে এই গুরু জেমস কে আমরা যেভাবে পেয়েছিলাম এই দশকে তাঁর কোন ছিটেফোঁটাও আজো পাইনি। বিশেষ করে সেই দশকে জেমস এর ফিলিংস,নগরবাউল ও একক অ্যালবাম ছাড়াও প্রতিটি মিক্সড অ্যালবাম এ গাওয়া গানগুলো অসাধারণ! বিশেষ করে প্রিন্স মাহমুদের সুর ও সঙ্গীতের মিক্সড অ্যালবাম এর “ জানালা ভরা আকাশ”(শক্তি),”আমি ও আঁধার” (শক্তি),”শেষ দেখা “(শেষ দেখা),”মা”(এখনও দু চোখে বন্যা), “ফুল নিবে না অস্রু নিবে” (দেয়াল),”মন আমার পাথরের দেয়াল তো নয়” (দেয়াল),"কিছু ভুল ছিল তোমার" ( দাগ থেকে যায়)”নিশপাপ আমি” (স্রোত), জুয়েল বাবুর সুর ও সঙ্গীতে “ওরে দেখে যারে তুই” (মেয়ে),”পদ্ম পাতার জল” (ও আমার প্রেম), “আরও কিছুক্ষণ রবে কি বন্ধু” (নিরবতা),”তুমি বল বৃষ্টি পড়ছে” /সাদা কালো (নীরবতা), “কিছুটা আশা তুমি রেখো” (নীরবতা), “বর্ষা আমার চোখের প্রিয় ঋতু /বর্ষা” (সন্ধি), ‘’যত দূরে যাও বন্ধু আমার” (তারকা মেলা),লাকি আখন্দ এর সুর ও সঙ্গীতে “লিখতে পারি না কোন গান “ (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার),”ভালবেসে চলে যেও না”(বিতৃষ্ণা জীবনে আমার) সহ আরও অনেক অনবদ্য অসাধারণ সব গান আজো সে যুগের এবং এ যুগের শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে। প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু তাঁরা সব সময় তাদের মিক্সড অ্যালবাম এর গানগুলোতে জেমস কে তাঁর সেরাটা বের করে আনতেন যা জেমস নিজেও খুব উপভোগ করতেন। তখনকার সেরা সব গীতিকার যারা ছিলেন তাঁর মধ্যে লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান,দেহলভি, আনন্দ,তরুন,মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতেন। যে গানের কথাগুলো ছিল একটার চেয়ে আরেকটা অসাধারণ সব কথায় ভরপুর যা একবার শুনে মন ভরতো না। শ্রোতারাও দ্বিধায় পড়ে যেতেন কোন গান থেকে কোন গান বেশি সেরা এই নিয়ে আড্ডায় তুমুল তর্ক চলতো। যা মনে পড়লে আজো খুব কষ্ট হয়। জেমস কে আমাদের প্রজন্ম যেমন করে পেয়েছে তেমন করে আজকের প্রজন্ম পায়নি। আমাদের প্রজম্মের কাছে আজম খান,জেমস,বাচ্চু,হাসান,মাকসুদ,ফযল,বাবনা,সঞ্জয়, শাফিন, টুলু, চন্দন,খালিদ,টিপু ও বিপ্লব ছিল গান গাওয়ার ও শোনার এক অন্যরকম আকর্ষণ, ব্যান্ড গড়ার এক একটি প্রেরনা। তাঁরা সবাই ছিলেন আমাদের কাছে এক একটা “নায়ক” বা “আদর্শ” । প্রতিমাস,প্রতিটি ঈদ এ সময় অপেক্ষা করতাম কার কার নতুন অ্যালবাম আসবে সে জন্য। যা আজ খুব বিরল।
“পপসম্রাট” ও “গুরু” আজম খান এর পরে একমাত্র গুরু উপাধিতা যিনি শ্রোতাদের মন থেকে পেয়েছেন তিনি এই জেমস। প্রিয় "জেমস" ! যে মানুষটারে নিয়ে আমি সবসময় দ্বিধাগ্রস্ত! কারন জেমস কে আমার কখনও শুধু গানের শিল্পী মনে হয়নি। আমার কাছে সে কখনও দার্শনিক, কখনো মনরোগ বিশেষজ্ঞ একজন চিকিৎসক! কখনো একজন ছন্নছাড়া বিবাগী এক বাউল! কখনো মনে হয়েছে মানুষের ভেতর থেকে কষ্ট বের করে আনা এক যাদুকর! কখনও মনে হয় একজন রাজনৈতিক দলের দুর্দান্ত এক দেশপ্রেমিক নেতা ! কখনও মনে হয় একা নিঃস্ব একটি মানুষের হাহাকার!কখনও মনে হয় দুষ্টবালকদের দলের কোন দুষ্ট এক বালক! কোনকিছুতেই তাকে পরিপূর্ণ ভাবে সাজাতে পারি না! বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতে যিনি নিজেই একটি যুগ, নিজেই একটি ধারার সৃষ্টি করে তা নিজেই প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন আগামী প্রজম্নের জন্য। যিনি শিখিয়েছেন “জ্যাজ মিউজিক” (Jazz Music) কি এবং কি ভাবে গাইতে হয় ! ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি কোনদিন “বাংলা ব্যান্ড ও পপ সঙ্গীত” কে ভুল বশত “জেমস সঙ্গীত” নামে ডাকে তাহলে তখন অবাক হওয়ার কিছু নেই! কারন আসলেই “জেমস” যেন নিজেই সঙ্গীতের এক অন্যধারার ধারক ও বাহক। এখানেই ‘জেমস’ অন্য সবার চেয়ে আলাদা ও চিরস্মরণীয় একজন যাকে বাদ দিয়ে কোনদিন বাংলাদেশের পূর্ণ সঙ্গীত ইতিহাস লিখা সম্ভব নয়। কেউ যদি তা করার দুঃসাহস দেখায় আমি নিশ্চিত তাঁর লিখা সেই ইতিহাস কেউ গ্রহন করবে না।
একটি কথা না বললেই নয়, জেমস চট্টগ্রাম থেকে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করলেও জেমস এর মূল বাড়ি কিন্তু চট্টগ্রাম নয়। তাঁর মূল বাড়ি হচ্ছে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলায় যা নিয়ে টুগেদার মিক্সড অ্যালবাম এ একটি সৃতিচারন মুলক গান আছে “নাটোর ষ্টেশন” নামে।
জেমস এর অন্যান্য অ্যালবামগুলো-
ঠিক আছে বন্ধু (একক)
দুষ্ট ছেলের দল (নগর বাউল)
আমি তোমাদেরই লোক (একক)
জনতা এক্সপ্রেস( একক)
কাল যমুনা (একক)
তুফান (একক)
প্রিয় জেমস এর সব জনপ্রিয় ও দুর্লভ গান শুনতে চাইলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- (https://www.facebook.com/kokbd24)
লেখক- ফজলে এলাহি পাপ্পু (কবি ও কাব্য)
২৮/১০/১১

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৯
৩২টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফিলিস্তিনিদের আত্মদান ধর্মযুদ্ধ নয়; এটি স্বাধীকারের যুদ্ধ

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৬ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৬

বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যেকোন বিষয়কে ধর্মীয় ফ্লেভার দিয়ে উপস্থাপন করে৷ ইসলামের সাথে কতটুকু সম্পৃক্ততা তার ভিত্তিতে কনভারজেন্স নির্ধারিত হয়৷ বাঙালি মুসলমানরা এক্ষেত্রে এক কাঠি ওপরে৷ পক্ষ বিপক্ষ বেছে নেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

--যে পাখি ফুল দিয়ে বাসা সাজায়, যে মাছ সমুদ্রের নীচে বালিতে ডিজাইন করে--

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৬ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

মানুষ ছাড়া প্রকৃতিতে এক ধরনের পাখি আছে- যারা ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। এদের বাওয়ার বার্ড নামে ডাকা হয়। এদের মধ্যে ২০ প্রজাতির পাখি পাওয়া যায়। নিউ গিনির জঙ্গলের ধারে একই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওহাবী বাতিল মতবাদের স্বরূপ উন্মোচন

লিখেছেন মীর সাখওয়াত হোসেন, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

নজদী ওহাবীদের সম্পর্কে আলােচনা করার পূর্বে নজদ দেশ সম্পর্কে আলােকপাত করতে চাই। আরবের মক্কা নগরীর সােজা পূর্ব দিকের একটি প্রদেশের নাম নজদ । এখন উক্ত নজদ দেশটি সৌদি আরবের রাজধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল সর্তকতা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ব্লগারদের কাছে যদি স্থানীয় ঝড়ের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×