সম্প্রতি পিএসসি কর্তৃক ৩২তম বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। পিএসসি'র সার্কুলার যেখানে মুক্তিযোদ্ধা, ণারী ও উপজাতীয় কোটায় কারিগরি ও পেশাগত ক্যাডারে নিয়োগ প্রদান করা হবে। মোটশূন্যপদ ১৪৮৯ টির বিপরীতে ১১৫৮টি মুক্তিযোদ্ধা (৭৭.৭৭%), ১৩০ মহিলা (৮.৭৩%) ও বাকি ২০১ টি উপজাতীয় (১৩.৫০%) কোটায় নিয়োগ প্রদান করা হবে। এই তিনটি ক্যাটাগরি ভিন্ন দেশের অপর মেধাবী প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয় নাই। দেশের সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের পূত্র, কণ্যা ও নাতি পুতি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করার সুযোগ পাবেন। ওদিকে দেশের অনগ্রসর নাগরিকদের (নারী ও উপজাতি সম্প্রদায়) আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে দেশের সূর্যসন্তান ও অনগ্রসর জনগোষ্ষ্ঠির উন্নয়নের জন্য তাদের সন্তানদের চাকুরী ক্ষেত্রে আধিক সুযোগ পাওয়া উচিত।কিন্তু সেটা অবশ্যই মেধাবীদের বাদ দিয়ে নয়।
এখন প্রশ্ন হলো, মুক্তিযোদ্ধারা দেশপ্রেমিক ছিলেন,দেশের প্রতি তাদের আত্মত্যাগ ছিল এবং এখনো আছে। কিন্তু তাদের ছেলে মেয়ে, নাতি-পুতিদের তেমন দেশপ্রেম, আত্মত্যাগের অভিপ্রায় নাও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান (নাতি-পুতি) হিসেবে তাদের জীবন জীবিকার জন্য দেশের নিকট হতে যোগ্যতরদের বাদ দিয়ে এত অধিক সুবিধা পাওয়া উচিত নয়।
দেশের অধিকতর যোগ্য সন্তানদের পাশ কাটিয়ে, সার্বিক মেধাবী সন্তানদের বঞ্চিত করে শুধু একশ্রেনীর লোকদের অধিক সুযোগ প্রদান করা সমপূর্ণ অযৌক্তিক। এক্ষেত্রে শুধু মেধাবীদের ভবিষ্যৎ অঙ্কুরেই বিনষ্ট হচ্ছে না, দেশের পেশাগত সার্ভিসের গুনগত মানও নিম্ণগামী হবে। পিএসসি'র এ বিষয় গুলো বিবেচনা করা উচিত।