somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৯৪ সন্তানের জনক আরও চান

২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাঁকে বিশেষ কোনো বিশেষণে অভিহিত করা যায়, কী নামেই বা ডাকা যায়—তা নিয়ে ভেবে অনেকেই গলদঘর্ম হয়েছেন। তাঁর ‘কর্মময়’, ‘বর্ণাঢ্য’ ও ‘ফলদ’ জীবনের পেছনের গল্পটি আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন। অবাক বিস্ময়ে ভেবেছেন, কী করে একজন মানুষ এতগুলো স্ত্রী ও সন্তানের ‘ভার’ বইতে পারেন?
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের আদিবাসী খ্রিষ্টান সম্প্রদায় চান্নার নেতা ৬৭ বছরের জিয়ংহাকা চানারের কথা বলা হচ্ছে। তাঁর ৩৯ জন স্ত্রী ও ৯৪টি সন্তান আছে। আরও আছে ১৪ ছেলের বউ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি। সব মিলিয়ে তাঁর এ বিশাল পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১৮১। ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান বিশ্বে এটাই সবচেয়ে বড় একক পরিবার।
তবে পরিবার এতটা বড় হওয়ার পরও খুশি নন জিয়ংহাকা। আরও কয়েকটি বিয়ে করে পরিবার আরও বড় করতে চান তিনি।
সুঠাম দেহের অধিকারী জিয়ংহাকা বলেন, ‘বিয়ের জন্য আমি কেবল মিজোরাম সীমান্তেই নয়, প্রয়োজনে ভারতের বাইরে যেতেও রাজি।’
১৯৩০ সালের শুরুর দিকে জিয়ংহাকার বাবা চালিয়েনচানা চান্না সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে মারা গেলেও বর্তমানে তাঁর সম্প্রদায়ের সদস্য সংখ্যা চার প্রজন্ম মিলিয়ে এক হাজার ৭০০।
চালিয়েনচানারও ছিল ৫০ স্ত্রী। আর তাঁর অনেক সন্তানের মধ্যে জিয়ংহাকার সবচেয়ে বড়।
একটি পাহাড়ের চূড়ায় জিয়ংহাকার রয়েছে ১০০ কক্ষবিশিষ্ট চার তলা বাড়ি। সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রী তাঁর শোয়ার কক্ষের পাশেই ঘুমান। তবে এতে বঞ্চিত হন না অন্য স্ত্রীরা। কেননা, সব স্ত্রীর জন্যই রয়েছে নিয়ম করে পালাক্রমে তাঁর সঙ্গে ঘুমানোর সুযোগ।
জিয়ংহাকার এক ছেলে নানপারলিয়ানা বলেন, ‘আমরা সুখী। এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মতোই আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি। অন্যদের সঙ্গে আমাদের একটি পার্থক্য হলো—আমাদের ধর্মে একের বেশি স্ত্রী থাকাকে বৈধতা দেওয়া হয়।’
কাঠের আসবাবে খোদাই কাজ ও পটারি তৈরির জন্য এ সম্প্রদায়ের লোকজনকে বর্তমানে মিজোরাম এবং এর বাইরেও এক নামে সবাই চেনে।
মিজোরামের রাজধানী আইজলের একটি গির্জার প্রধান বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মে বহু বিবাহের অনুমতি নেই। মিজোরামে বহু বিবাহের প্রবণতা খুব কম।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, খ্রিষ্টান ধর্মের মধ্যে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী ৯৫টি সম্প্রদায় মিজোরামে রয়েছে। এসব সম্প্রদায়ের কেউ কেউ তাদের ছেলেমেয়েদের অন্যদের সঙ্গে মিশতে দেয় না, স্কুলেও যেতে দেয় না।
সূত্র ঃ প্রথম আলো
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×