একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মো. কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। রায় ঘোষণার পরপরই উল্লাসে ফেটে পড়ে শাহবাগে সমবেত ছাত্র-জনতা।
Published : 09 May 2013, 08:26 AM
‘ফাঁসির রায়ে কলঙ্ক মোচনে আরেক ধাপ’
‘প্রমাণিত হয়েছে, আল বদর ডেথ স্কোয়াড ছিলো’
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ যুদ্ধাপরাধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দেয়। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
এই মামলার রায় ঘোষণার দিন দেয়ার পর বুধবার শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সমবেত হয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তখন থেকে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
রায় ঘোষণার পর শাহবাগ থেকে একটি বিজয় মিছিল বের করে গণজাগরণ মঞ্চ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে এগিয়ে যায় তারা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আমাদের যে ছয় দফা দাবি রয়েছে তার প্রথমটি সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি। যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে-এতে জনমনে স্বস্তি এসেছে।”
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীকে অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।
তিন মাস আগে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান করে ফাঁসির দাবি নিয়ে শুরু হয় শাহবাগে অবস্থান।
মাঝে টানা অবস্থান না থাকলেও যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে গণজাগরণ মঞ্চ।