সুন্দরবনের বনদস্যু রেজাউলের ‘শীর্ষ বাহিনীর’ সঙ্গে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধের পর অপহৃত চার জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
Published : 12 Jul 2013, 06:25 AM
রেজাউলের আস্তানায় পাওয়া গেছে ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, চারটি রামদা ও তিনটি মোবাইল ফোন।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত চার ঘণ্টায় শরণখোলা রেঞ্জের দুবলাচর জেলে পল্লীর চাপড়াখালী খাল এলাকায় থেমে থেমে এই বন্দুকযুদ্ধ চলে। তবে এ ঘটনায় দস্যু দলের কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
উদ্ধার হয়েছেন খুলনার কয়রা উপজেলার প্রয়াত আক্কাস ব্যাপারীর ছেলে ব্যাপারী বাবুল হোসেন (২০), কালাবগি গ্রামের আলকাস ফকিরের ছেলে মো. জাকির ফকির (২৭), দাকোপের পাইকগাছা গ্রামের প্রয়াত মো. সুজনের ছেলে মো. শাহ আলম (৩৫) এবং বানিয়াখালী গ্রামের মো. মুজিবরের ছেলে মো. জাফর মিঞা (৪২)।
প্রায় চার ঘণ্টা থেমে থেমে গুলি বিনিময়ের পর দস্যুরা পিছু হটলে কোস্টগার্ড সদস্যরা ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত চার জেলেকে খুঁজে পান বলে মাহমুদ খান জানান।
এই কোস্টগার্ড কর্মকর্তা জানান, বনদস্যুদের আস্তানায় একটি এক নলা বন্দুক, আটটি পয়েন্ট টুটু বোর বন্দুক, দুটি শটগান ও বন্দুকের পাঁচটি গুলি পায়।
এর আগে গত ১০ জুলাই সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের বড় টেংরারখাল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে রেজাউলের বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়। বিভিন্ন ধরনের সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় সে সময়।