কাহিনী - ১:
NCTB ভবনের ১০ তলা। টপ লেভেলের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা প্রীতিশকুমার সাহা। একহাতে সিগারেট টানছেন আরেক হাতে কারিকুলামের উপর সাক্ষর ও সিল মারছেন। তার সামনে আমরা বাইরের ৩ তিনজন ও অফিসের ১ জন মোট চারজন বসা।
ধোঁয়াটে পরিবেশটাকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বলে মনে হয়নি। টেবিলের উপর বিশাল এ্যশট্রে-টা দেখে মনে হচ্ছিল আন্ডারগ্রাউন্ডের কোনো আস্তানায় আছি। সরকারী অফিসে বসে বাইরের পাবলিকের সামনে সিগারেট টানার সাথে এদেশের শিক্ষার কারিকুলামে মনে হয় কোনো সংঘর্ষ নাই আর আইন-কানুন যেন সবার বাপের সম্পত্তির মতো।
কাহিনী - ২:
আমরা বসা অবস্থাতেই উনার নিকট একটা ফোন এলো। কোনো এক প্রিন্সিপালের। ওদিক থেকে কি বলা হচ্ছে জানি না। এদিক থেকে উনি বলছেন, “NCTB এর বাংলা ও ইংরেজী বাদে বাকী বইগুলোর পাঠ্যপুস্তক মূল্যায়নকারী চেয়ে সার্কুলার দেয়া হয়েছে। প্রায় ৬/৭ টা পত্রিকায় দেয়া হয়েছে। গোপালগঞ্জের সবাইকে এতে আবেদন করতে বলবেন। চেয়ারম্যান বরাবর। বাকীটা দেখা যাবে।”
কাহিনী -৩:
আপনি যদি কোনো সরকারী অফিসে যান। যেখানে কর্মকর্তাদের পশ্চাতদেশে সরকারী তেল পুড়িয়ে চর্বি জমেছে। অত:পর এক ব্যাক্তির কাছে যেতে গিয়ে ভুলে অন্যলোকের কাছে যান। তারা আপনাকে সঠিক ব্যক্তি কিংবা কোন অফিসারের কাছে যেতে হবে তা বলার আগে তিনটি বিষয় প্রমাণ করবে:
- আপনি না জেনে উনার এখানে কেন এসেছেন এর জন্য ভর্ৎসনা।
- আপনি সবজান্তা শমশের হয়ে এই অফিসে আসা উচিত ছিল।
- আপনি অনভিজ্ঞ লোক, আপনার আসাটাই উচিত হয়নি।
সবশেষে সানাউল্লাহ সাহেবের একটা কবিতার দুটো লাইন মনে পড়ে গেল:
দেশটা কারও বাপের নাকি, স্যার?
উল্লুকটা ভাঙ্গবে তবে ঘাড় !
...
....