somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনের শেষে-২১

২১ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিন দিন বাস্তবতায় প্রবেশ করতে যাচিছ। আবেগের রেশ কাটতে যাচ্ছে। জীবন নামক গল্পটির নানা উপগল্পে নায়ক হচ্ছি। হোঁচট খাচ্ছি, আবার উঠেও পড়ছি। যন্ত্রণার নানা স্বাদ উপভোগ করছি। জীবনের প্রাইমারি অধ্যায় ও মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করেছি। উচ্চতর ও প্রকৃত জীবনে প্রবেশ করেছি তো তাই এতো কষ্ট পাচিছ।
যারা একটু দুর্বল তারা যখন শক্তিদর ব্যাক্তির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তখন তার সাথে না কোন উপায়ে না পেরে তাকে মনে মনে গাল দেয়। এই গালি দিয়েই সে শান্তনা পায়। মনে করে নিজেকে বিজিত। আমার জীবনে সবচেয়ে বড় শক্তিদর ব্যাক্তি হল সময়। তার সাথে পেরে উঠতে পারিনি বলে উপরোক্ত উক্তি করলাম। আসলে কি জানেন? আমাদের স্কুল লাইফ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত এক ধরনের জীবন। আর বিশ্ববিদ্যালয়- ক্যাম্পাস জীবনটা একেবারেই অন্যরকম। মাঝে মাঝে ধিক্কার জানাই। গালও দেই। ঐ ফেলে আসা জীবনটাকে। আসলে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খেতে হয়। ঐ জীবনে কোন কিছু শেখার কিছু পাইনি। সময়টি যেভাবে কেটেছে। সেই ধাচে, সেই অভ্যাস নিযে যখন ক্যাম্পাস লাইফে প্রবেশ করি সেটা দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারি না। তবুও পারতে হয়। পারিও । কিন্তু খুব কষ্ট হয়। ক্যাম্পাস লাইফটা যেভাবে শুরু হয় সেভাবে যদি প্রাইমারি লাইফটা শুরু হতো। তাহলে প্রতিদিন আর গালাগালি দিতাম না প্রাইমারি লাইফের শেখার উপাদানকে। যা দিয়ে জীবন চালানো যায় না। কর্মজীবনে আছেন এমন বড় ভাইরা বলে থাকেন-ক্যাম্পাস লাইফ আর কর্মজীবনের লাইফটা পুরো ভিন্ন। আর আমি বলব-ক্যাম্পাস লাইফ আর প্রাইমারি ( ১ম শ্রেণী-ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত) জীবনটা পুরোপুরি ভিন্ন। তিনটি জীবনাংশ জীবন পার করে আমরা প্রবেশ করি বাস্তবতার লাইফে। একটির সাথে আরেকটির কোন মিল নেই। অথচ প্রথম দুটি জীবনাংশ পার করতে ২৫টি বছর হারিয়ে যায়। প্রথম থেকেই যদি বাস্তব জীবনের কিছু কিছু উপাদান উপাদান দ্বারা পরিচিত হয়ে ক্রমান্বয়ে বাস্তব জীবনে আসি। তাহলে অনেক কার্যক্ষম ব্যাক্তিতে পরিণত হতে পারতাম। উপকৃত হতো আমাদের দেশটা। ২৫টি বছর এমনিতেই চলে যায়। এই ২৫ টি বছর আমাকে বাস্তব জীবন পরিচালনায় তেমন কোন সহায়তা করতে পারে না। হন্যে হন্যে খুঁজতে হয় কিভাবে জীবন নামক পথটাকে পারি দিব।
আজও গতকালকের দিনটা কিভাবে যে কাটল..তা বর্ণনা করতে পারব না। আমাদের ক্যাম্পাসের আবৃত্তি সংগঠন স্বনন এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপি আয়োজন করেছে কবিতা উৎসব। এসেছিলেন নাট্যকার ও আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়। স্বনন করেছিলেন এমন অনেক বড় ভাইও আসলেন। মঞ্চে তারা কবিতা আবৃত্তি করলেন। জয়ন্ত দা’র কবিতা খুব ভাল লাগল। আমাদেরও একটি পারফরমেন্স ছিলো। আমরা ১২জন ছেলে মেয়ে। রবীন্দ্র নাথের `শতা্ব্দীর সূয আজি’ নামক কবিতা বৃ্ন্দ পরিবেশনা করলাম। এটি আমার জীবনের প্রথম স্টেজ পারফরমেন্স। মাত্র কিছুদিন হল স্বননে নতুন সদস্য হলাম। এসেই এতো বড়ো একটি অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেছি ভাবতই খুব ভাল লাগছে। এ উঃসবের প্রথম দিনে অনেক বড় ভাইয়ের সাথে পরিচিত হলাম। উৎসবকে ঘিরে অনেক কাজ করতে হয়েছে। এতে করে স্বননের সকল সদস্যের সবার সাথে ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমার সাথে যারা অডিশন দিয়ে এসেছে ১৭ ছেলে –মেয়ে। তাদের সবার সাথেও ভাল সম্পর্ক হয়েছে। দিবা, কণিকা, সুমন, মিশুক, দেবশ্রী, লিরা, অর্জিতা, শান্তা ও শাম্মী এরা সবাই আমার মতো নুতন সদস্য। এরা কথায় ও আবৃত্তিতে অনেক ভাল। আমার চেয়ে অনেক ভাল। অন্যান্য কাজেও তারা বেশ দক্ষ। তাদের কেউ কেউ ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ। সবার সাথে গাঢ় সম্পর্ক হয়ে উঠেছে। আমি কথায় অনেকটা কাঁচা। দ্রুত কথা বলি, করি উচ্চারণ ভুল। ওদের সাথে মিশে সেটা অনেকটা দূর হয়ে যাচেছ। কবিতা আবৃত্তিতে ওরা কথায় কথায় বলে- ভাইয়া, এটা এমন হবে না। হবে এরকম। এমন করে তারা আমাকে সহায়তা করছে। ভাইয়া, এটা দ্রুত হবে না। আরো একটু মন্থর গতিতে হবে। সারা্ক্ষন এমন দিক নির্দেশনা দেয়। আমি ও শিখছি। এখন অনেক আস্তে আস্তে কথা বলতে শিখেছি।তারাই বলছে –ভাইয়া , এখন অনেকটা ইমপ্রুভ হয়েছে।
শাকির আহমাদ
সময়: রাত ১২ টা
২১.১০.১১
শের ই বাংলা হল
রাবি
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×