রোম্যান্টিক জীবনানন্দেরর স্বপ্ন ময়তা বারবার মাটির পৃথিবী ছেড়ে দূরতর নক্ষত্রলোককে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে।পার্থিব জীবনের ক্লান্তি,অবসাদকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন নিঃসীম মহাকাশের আশ্রয়ে।
এখানে ঝাউয়ের নিচে শুয়ে আছি ঘাসের উপরে
কাশ আর চোরকাঁটা ছেড়ে দিয়ে ফড়িং চলিয়া গেছে ঘরে।
সন্ধ্যার নক্ষত্র বল দেখি কোন পথে কোন ঘরে যাবো!
কোথায় উদ্যম নাই,আবেগ নাই-
চিন্তা,স্বপ্ন ভূলে গিয়ে শান্তি আমি পাবো?
রাতের নক্ষত্র তুমি বল দেখি কোন পথে যাব
তোমারি নিজের ঘরে চলে যাও
বলিল নক্ষত্র চুপে হেসে-
অথবা ঘাসের পরে শুয়ে থাকো আমার মুখের রূপ ঠায় ভালবেসে
অথবা তাকায়ে দেখো গরুর গাড়িটি ধীরে চলে যায় অন্ধকারে
সোনালী খড়ের বোঝা বুকে.......
ধূসর পৃথিবী ছেড়ে বার বার স্বপ্ন-লগ্ন অনাগত সময় কে আমণ্ত্রন জানিয়েছেন।
উড়ে গেলো কুয়াশায়-
কুয়াশার থেকে দূর কুয়াশায় আরো
তাহারি পাখার হাওয়ায় প্রদীপ নিভায়ে গেলো বুঝি?
অন্ধকার হাৎরায়ে ধীরে ধীরে দেশলাই খুঁজি:
যখন জ্বালিব আলো কার মুখ দেখা যাবে বলিতে কি পারো?
তবু এই পৃথিবীর সব আলো একদিন নিভে গেলে পরে
পৃথিবীর সব গল্প একদিন ফুরাবে যখন
মানুষ রবেনা আর,রবে শুধু মানুষের স্বপ্ন তখন;
সেই মুখ আর আমি রব সেই স্বপ্নের ভিতরে।