হাফেয মতিউর রহমান । সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার মহিষখেড় গ্রামে বাড়ী। সৌদী আরব থাকেন প্রায় ছয় বছর। এ বছর দেশে গিয়ে বিয়ে করলেন। দেশ থেকে এসেছেন জুলাই মাসে। দেশ থেকে আসার সময় অনেকেই ফল,পিঠা, কাপড়-ছোপড় এবং ঔষধ দেয় প্রবাসীদের জন্য। হাফেয মতিউর রহমান দেশ থেকে আসার সময় তার এক প্রতিবেশী একটি বক্সে করে ঔষধ দেয় তার এক আত্মীয়কে দেয়ার জন্য। সৌদী বিমান বন্দরে আসার পর ইমিগ্রেশনে ঔষধ সহ তাকে আটক করে মালায জেলে নিয়ে যায়। দী্র্ঘ চার মাস অতিবাহিত হলেও তাকে এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি। জানালেন তার বড় ভাই আবু তাহের। তিনিও সৌদী আরবে থাকেন। সপ্তাহে একদিন দেখা করার সুযোগ পান। সেখানে গিয়ে দেখেন আরো অনেকেই ঐ জেলে আছেন কেউ ছয় মাস,কেউ এক বছর, আবার কেউ দেড় বছর। এদের ও অনেককেই এখনো আদালতে হাজির করা হয়নি। একজনকে আদালতে কয়েকবার নিলেও বিচারক উপিস্থত না থাকায় বিচার শুরু হয়নি।এভাবে এ দেশের বিভিন্ন থানায় এবং জেলে বিনা বিচারে বহু বাংলাদেশী দিনাতিপাত করছেন। এভাবে হয়তো কয়েক বছর পেরিয়ে যাবে একদিন অবশ্যই রায় হবে তখন সবাই আহাজারি করবে, সংবাদ বিশ্লেষণ করবে হয়তো করার কিছুই থাকবে না।
তাদের মা বাবা, স্ত্রী,সন্তান সবার প্রতিটা মুহুর্ত কাটে অনিশ্চয়তা আর বেদনার মধ্য দিয়ে।
সৌদীতে যে সব টিভি সাংবাদিক এবং পত্রিকার সাংবাদিক আছেন তাদেরকে অনুরোধ করবো বিভিন্ন কারাগারে গিয়ে সঠিক সংবাদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করুন। যাতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে পড়ে। এবং প্রবাসীরা আইনি সহযোগিতা পেতে পারে ।
প্রত্যেক জেলে খোঁজ খবর নিয়ে প্রবাসীদের আইনী সহযোগিতা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসকে অনুরোধ করছি।
ব্লগে যারা আছেন তাদের ও যদি কিছু করার থাকে করার অনুরোধ করছি।