ক.
কুরুক্ষেত্রে সমস্ত প্রাণ ডুবে গিয়ে সারা মাঠ লাল হয়ে উঠেছে_ তলোয়ারের রিরি জিভ রক্তচেটে ক্লান্ত, সূর্য সেই মাঠে ঢেলে দিচ্ছে তার শেষ গোধূলি: এত শত শতাব্দির শোক নিয়ে চেঁচিয়ে ওঠেছে নিস্তব্ধতা।
কুরুক্ষেত্রই কি সমাধান? নিকৃষ্ট নির্বিকল্প আশা মানে কি এই কারবালা প্রান্তর?
আমি গভীরতা থেকে কেবলি ভেসে উঠতে চাইলাম, ভেসে উঠতে; শ্বাস ফেলা সহজ নয়, উর্দ্ধশ্বাস ঐ কুরুক্ষেত্রে। মুগ্ধতাবশত, আমি বিপজ্জনক সৌন্দর্যের গভীরে নাক ডুবিয়ে দিয়েছিলাম!
আমার চোখের সামনে ফের ফুটে উঠলো গোলাপ, বহুস্তর বিকাশ পেছনে ফেলে শান্ত লাল পাপড়িগুলো ফের হেসে উঠলো।
একটা মৌমাছিকে তারপরই দেখলাম তার আকাশে উড়ছে: রঙ ঐ চোখে মধুর চিহ্ন। যেনো সৌন্দর্য নিন্দুক হয়ে না পড়ি, আবার বহুদিন পর নিজেকে বললাম: ক্ষমা করো!
আর অন্ধের গন্ধের গভীরতা
ঐ দগ্ধ ট্রয়
যেনো কোথাও নেই আর
যেন ভুলে গেছি, কৌরব আর পান্ডবদের জন্য অপেক্ষা করছে কোন ভবিষ্যত!
খ.
ভাবি, পুনরাবৃত্তি হয়তো শেষ কথা নয়
কিংবা
এই চিহ্ন বিনিময় কী সোজা
আর তার ভার বহন করা কী কঠিন
কারণ তুমি হবে জননী
কিভাবে উঁচিয়ে ধরি এ ভার
তোমার দিকে!
১৪.১০.২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:০০