somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নৌমন্ত্রণালয়ের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট দিতে অতি আগ্রহী কেন সরকার? গোটা দেশবাসীকে সম্পূর্ণ অবহিত না করে ট্রানজিট চুক্তি করলে কথিত ট্রানজিট চুক্তি হবে দেশবাসীর সাথে সম্পূর্ণ বিশ্বাসঘাতকতা করে দেশ বিক্রির শামিল।

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।
বাংলাদেশ সংবিধানের ৭(১) ধারায় বলা হয়েছে-
‘প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ।’
আর বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৩নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে-
(১) আইনসঙ্গতভাবে প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত যে কোনো ভূমি বা সম্পত্তি ব্যতীত নি¤œলিখিত প্রজাতন্ত্রের উপর ন্যস্ত হইবে।
(ক) বাংলাদেশের যে কোনো ভূমির অন্তঃস্থ সকল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী;
(খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পানিসীমার অন্তর্বর্তী মহাসাগরের অন্তঃস্থ কিংবা বাংলাদেশের মহীসোপানের উপরিস্থ মহাসাগরের অন্তঃস্থ সকল ভূমি, খনিজ ও অন্যান্য মূল্যসম্পন্ন সামগ্রী; এবং
(গ) বাংলাদেশে অবস্থিত প্রকৃত মালিকবিহীন যে কোনো সম্পত্তি।
উপরোক্ত অনুচ্ছেদে যেমন বাংলাদেশের উপর বাংলাদেশী প্রজাসাধারণের মালিকানা প্রতিভাত হয়েছে তেমনি এ মালিকানা সাপেক্ষে বিদেশের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রেও জনগণের অবগতির কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫নং ‘ক’ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে-
‘বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে এবং রাষ্ট্রপতি সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’
ট্রানজিট চুক্তির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিষয় ছাড়াও সার্বভৌমত্বের বিষয়টি জড়িত। কাজেই এ চুক্তি সম্পাদনের আগে জনগণের মতামত গ্রহণ করা এবং লাভ-ক্ষতির বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করা আবশ্যক। কিন্তু বাস্তবে দেশের নৌমন্ত্রণালয় বিরোধিতা করলেও ভারতকে ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
এ মুহূর্তে ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট প্রদানে প্রবল আপত্তি তুলেছে নৌ মন্ত্রণালয়। আশুগঞ্জ ও শেরপুর বন্দরে এই ট্রান্সশিপমেন্টের উপযোগী অবকাঠামোগত সুবিধা এখনো সৃষ্টি হয়নি। এ কারণেই এ আপত্তি। নৌ মন্ত্রণালয়ের এ আপত্তি সত্ত্বেও শিগগিরই ভারতকে দেয়া হচ্ছে ট্রান্সশিপমেন্ট।
অবকাঠামো সুবিধা না থাকলেও পণ্য পরিবহন সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট প্রদানের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে জানিয়ে আসছে ভারত। এ প্রসঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানায়, ভারতের সাথে বিদ্যমান প্রটোকলে আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে আখাউড়া ও শেরপুর থেকে সুতারকান্দি পর্যন্ত ট্রাকে পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা না থাকলেও কখনোই সুতারকান্দি রাস্তায় ভারতীয় পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল করেনি। বিশেষ করে সুতারকান্দি পর্যন্ত ট্রাকে পণ্য পরিবহনের প্রয়োজনীয় সড়ক অবকাঠামো নেই। কর্মকর্তারা জানায়, অবকাঠামো সুবিধা সৃষ্টি না করে ভারতকে এভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়া অব্যাহত থাকলে বন্দর ও সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
অন্য দিকে নতুন করে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় ভারতের ব্যাপক ট্রানজিট দাবি পূরণের বিষয়ও বিবেচনা করছে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। শুধু নৌপথ নয়, ট্রানজিটের জন্য স্থল-বন্দর, নৌবন্দরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান ব্যবহার করতে চায় ভারত। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারে দেশটি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দাবি করে আসছে।
ভারত তৃতীয় দেশে পণ্য আমদানি ও রফতানির কাজে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর এবং বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার করে এক অংশ থেকে অন্য অংশে পণ্য ট্রানজিটের লক্ষ্যে সাত বছর মেয়াদি চুক্তির প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত গোপনে এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।
কিন্তু জনগণকে অন্ধকারে রেখে এ চুক্তি করা হলে দেশের মানুষ তা কোনো অবস্থায়ই মেনে নেবে না। একসময় সরকার বলেছে এ চুক্তি হলে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। এখন বলছে কিছু অর্থ পাওয়া যেতেও পারে। ভারত যদি বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যেতে চায়, বাংলাদেশকেও অনুরূপভাবে ভারতের ভেতর দিয়ে অন্যান্য দেশে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এটা গোপনীয়তা রক্ষা করে নয়। এটা করতে হবে দেশের জনগণকে অবহিত করেই। জনগণকে পাশ কাটিয়ে এ চুক্তি করার এখতিয়ার সরকারের নেই। এটা করলে সরকার আরেকটি বেআইনি ও অসাংবিধানিক কাজ করবে।
মূলত, ট্রানজিট চুক্তির সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির প্রশ্ন জড়িত। এতে আমাদের স্বাধীন দেশের ভেতর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের যানবাহন ও নাগরিকরা তাদের নিজ দেশের মতোই যাওয়া-আসা করবে। আর আমাদের দেশের নাগরিকরা এর কিছুই জানতে পারবে না- তা কখনই হতে পারে না। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। এটা দেখা ও জানার অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। চুক্তির আগে এর খসড়া জনগণের সামনে পেশ করতে হবে। এটাই হচ্ছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত রীতি। তবে ট্রানজিট চুক্তিতে শুধু বর্তমানের লাভ দেখলেই হবে না। আগামী ২০ বছর কিংবা ৫০ বছর পর এর প্রভাব কী হবে সেটাও ভেবে দেখতে হবে।
মূলত, এসব দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র দ্বীন ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক ছোহবত লাভেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত মুবারক হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×