একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারকে শুধু নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিচার হিসেবে না দেখতে বলেছে ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি।
Published : 09 May 2013, 10:29 AM
“একটা নষ্ট দর্শনের সমাধির প্রক্রিয়া শুরু হলো,” মো. কামারুজ্জামানের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ সংগ্রহে স্বতপ্রণোদিতভাবে কাজ করে আসা এই কমিটির আহ্বায়ক এম এ হাসান।
একাত্তরের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার দেয়া রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আগের দুটি রায়ের মতো এই রায়ের পর্যবেক্ষণেও উঠে এসেছে, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসেবে জামায়াতেরও সংশ্লিষ্টতা ছিলো।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চ থেকেও একই দাবি উঠেছে।
এম এ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, “জামায়াতে ইসলামীই একমাত্র দল, যারা একাত্তর সালে পাকিস্তানি বাহিনীর আগেই গণহত্যার প্রণোদনা সৃষ্টি করেছিলো।”
রায়ের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে ধর্মকে রাজনীতিতে ও সংঘাতে ব্যবহারের প্রক্রিয়াও নিষিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলো। জামায়াতকে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াও এগোলো।”
‘যুদ্ধাপরাধী’ দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালের রায় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।