হায়রে কোন যামানায় এসে পৌঁছালাম !! বাংলাদেশ থেকে কিছু নারী ধর্ষককে আমরা জিম্বাবুয়েতে এক্সপোর্ট করতে পারি। এতে করে বাংলাদেশে কিছু রেমিট্যান্স আসবে।
পুরুষদের শ্লীলতাহানি
গাড়িতে করে বিনা ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে কিংবা ভাড়া গাড়িচালকের ছদ্মবেশে পুরুষ যাত্রীদের প্রথমে গাড়িতে তোলা, পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মাদকের নেশায় ফেলে তাদের ‘ধর্ষণ’ করা এবং পরে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যাওয়ার ঘটনার সাথে জড়িত তিন সদস্যের এক দুর্ধর্ষ তরুণী ধর্ষকদলকে গ্রেফতার করেছে জিম্বাবুয়ের পুলিশ। জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে ছাড়াও মাসোনাল্যান্ড ওয়েস্টে বহুবার এ ধরণের অপহরণ ও ধর্ষনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা। ওয়েরুর গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে। খবর ডেইলি মেইল ও এএনআইয়ের।
সূত্র জানায়, নারী ধর্ষকবাহিনীর গ্রেফতারকৃত তিন তরুণীর নাম রোজম্যারি চাকিজিরা (২৪), সোফি হোকওয়ারা (২৬) এবং নেটসাই হোকওয়ারা (২৬)। এদের নিকট থেকে পুলিশ কয়েক ডজন জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী উদ্ধার করেছে। জিম্বাবুয়ের রাজধানীতে সমপ্রতি পুরুষদের অপহরণ এবং ধর্ষনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে এই বাহিনীর খোঁজ পায়। এই গ্যাংয়ের সদস্যদের কেউ একজন কোনো পুরুষকে ফাঁদে ফেলে নির্জন স্থানে নিয়ে সবাই মিলে তাকে গণধর্ষণ করেন। এরপর চোখমুখ বেঁধে দূরে কোথাও ফেলে আসেন। গ্রেফতারকৃত নারীরা দাবি করেছেন, একটি ধর্মীয় আচার পালনের অংশ হিসেবে শুক্রানু সংগ্রহের জন্য তারা পুরুষদের ধর্ষণ করতেন। মিডল্যান্ড পুলিশ কমিশনার চার্লস ম্যাকোনো এই গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য! পুরুষরা অপহূত হয়ে ধর্ষিত হচ্ছে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আমাদের সমাজ কোথায় গেল! মনে হচ্ছে দাবার ঘুঁটি উল্টে গেছে! পুলিশ জানিয়েছে, এরা তিনজন শহরে পরিচিত মুখ। শহরের পানশালা ও নাইটক্লাবগুলোতে তাদের নিয়মিত দেখা যায়। আইন অনুযায়ী তাদের কঠোর সাজা পেতে হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, নারী ধর্ষক গ্রেফতারের খবর শুনে ওয়েরু পুলিশ স্টেশনে শত শত লোক জড়ো হয়। এই তরুণীদের একনজর দেখতে দিতে হবে এমন দাবিতে এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। ভীড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়।