somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দে র মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কন্টেইনারবাহী যানগুলো এই সড়ক ধরেই ঢুকে যায় উত্তর-পূর্ব ভারত

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া চেকপোস্ট পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার সড়ক। বহুল আলোচিত ভারতের পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দে র মাত্রাতিরিক্ত ওজনের কন্টেইনারবাহী যানগুলো এই সড়ক ধরেই ঢুকে যায় উত্তর-পূর্ব ভারতে। কন্টেইনারবাহী যান চলাচল সুগম করতে সড়কটির যেসব স্থানে সেতু, কালভার্ট ছিল সেরকম ১৯টি স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে বিকল্প সংযোগ সড়ক। ফলে বর্ষা বা বন্যার পানি চলাচলের উদ্দেশ্যে নির্মিত সেতু বা কালভার্টগুলো কোনো কাজে আসছে না। এ অবস্থায় ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ ও আখাউড়া উপজেলায় দেখা দিচ্ছে জলবদ্ধতা। ফসলের স্বাভাবিক উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাড়ছে মানুষের ক্ষোভ, অসন্তোষ।

গত ২৭ মার্চ পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দে র প্রথম কন্টেইনারটি এই পথ অতিক্রম করে। তার কয়েকদিন আগে কন্টেইনারসহ প্রথম জাহাজটি এসে পৌঁছে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে। তারও কয়েকমাস আগে অতি ভারি কন্টেইনারগুলো পরিবহনের জন্য পানির প্রবাহপথ বন্ধ করে দিয়ে নির্মাণ করা হয় বিকল্প রাস্তা। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বিদ্যুত্ কেন্দে মোট ৯০টি কন্টেইনার যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যে ৪৭টি কন্টেইনার চলে গেছে। এসব কন্টেইনারে প্রায় ৫ হাজার টন ভারি যন্ত্রাংশ ১৩০ চাকার ট্রেইলার দিয়ে আখাউড়া সীমান্ত পথে ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলার সোনারামপুরে স্থাপিত ডিপোতে এখনো পরিবহনের অপেক্ষায় পড়ে আছে ৪৩টি কন্টেইনারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন ভারি যন্ত্রাংশ।

বর্ষায় জনঅসন্তোষ :কয়েকটি বিকল্প রাস্তা কেটে দেয়া হয়

তড়িঘড়ি করে নির্মিত বিকল্প সড়কগুলোর কারণে সদ্য সমাপ্ত বর্ষা মওসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি আটকে যাওয়ার পর সৃষ্টি হয় জনঅসন্তোষের। তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েকটি বিকল্প রাস্তা কেটে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। সেজন্য এখন আর ট্রেইলার দিয়ে আস্ত কন্টেইনারে মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। পরিবর্তে কন্টেইনার খুলে যন্ত্রাংশগুলো ভাগ ভাগ করে পরিবহন করা হচ্ছে। যেসব স্থানে বিকল্প রাস্তা কেটে দেয়া হয়েছে, সেখানে নাজুক ব্রিজ, কালভার্টের উপর দিয়েই যাচ্ছে ট্রেইলার।

ভারতের একটি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ বিভাগের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের জুন মাসের মধ্যে পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দ্রের বাকি যন্ত্রাংশ আগরতলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এসব ভারি যন্ত্রাংশ নেয়ায় আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এই সড়কের ১৫টি সেতু। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যে কোন সময় সেতু বা কালভার্ট ভেঙ্গে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন ইত্তেফাককে জানান, সওজ’র প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে একটি ভারতীয় কোম্পানির স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে উল্লেখিত বিকল্প রাস্তাগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ নাজুক সেতুগুলো দিয়ে পালাটানার কন্টেইনারগুলো বহন করা সম্ভব ছিল না। একই সঙ্গে মূল সড়কটিরও কিছু অংশের মেরামত কাজ করা হয়। এই কাজ ভারতীয় কোম্পানির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে করা হয়। খরচ হয় ২৫ কোটি টাকা।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ আগামী জুনে শেষ হবে। যদি মালামাল বহনে আরও বেশি সময় লাগে সেক্ষেত্রে কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে নতুন করে চুক্তি করতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর আশুগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক মোঃ শাহ আলম জানান, ভারতের ক্ষিদিরপুর নৌবন্দর থেকে পালাটানায় নির্মাণাধীন বিদ্যুত্ কেন্দে র ভারি যন্ত্রাংশ নিয়ে ইতিমধ্যে সব জাহাজই আশুগঞ্জ নৌবন্দরে এসে গেছে। গত ৭ মাসে ২৭টি জাহাজের মাধ্যমে যন্ত্রাংশগুলো এসে পৌঁছায়। ২৬টি জাহাজের ভারি যন্ত্রাংশ খালাস করা হয়েছে। একটি জাহাজ (এমভি ওয়াটার কিং)-এর মালামাল এখনো খালাস করা সম্ভব হয়নি। এসব যন্ত্রাংশ আনার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শ মোতাবেক কোনো বার্থিং চার্জ বা এন্ট্রি ফি নেয়া হয়নি।

পালাটানার পণ্য পরিবহনের স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ ওরিয়েন্ট কোম্পানির কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান জানান, গত বর্ষায় বিকল্প সড়ক বর্ষার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাস ট্রেইলারে মালামাল নেয়া বন্ধ ছিল। এখন কন্টেইনার খুলে যন্ত্রাংশগুলো নেয়া শুরু হয়েছে। এতে সময় বেশি লাগবে বিধায় বিকল্প সড়কগুলো পুনরায় মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে যা দেখা গেল

গত রবি ও সোমবার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেল ১৯টি স্থানে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি স্থানে রয়েছে ছোট-বড় সেতু। বাকিগুলোতে কালভার্ট। কোথাও আবার বাঁকা রাস্তা সোজা করে পানি যাওয়ার পথে দ্বিতীয় একটি বাঁধ খাড়া করা হয়েছে। যেসব স্থানে বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেগুলো হলো, সোনারামপুর ব্রিজ, ঘাটুরা, পৈড়তলা ব্রিজ, কাউতলী, রাসরাইল, রাধিকা ব্রিজ, সুলতানপুর-১, সুলতানপুর-২, সুলতানপুর পূর্বপাড়া, চিনারআলাকপুর, চিনাইর-১, চিনাইর-২, চিনাইর-৩, বাতশালা, কোড্ডা-১, কোড্ডা-২, কুরুলিয়া ব্রিজ, নুরপুর ও আব্দুল্লাহপুর।

আশুগঞ্জ উপজেলা শহরের একেবারে কাছে সোনারামপুর খালের উপর বিদ্যমান ব্রিজে উঠে দেখা গেল খালের দুই পাড় থেকে বিকল্প সড়ক টেনে মাঝামাঝি আনা হয়েছে। সেখানে বার্জের মাধ্যমে ভাসমান সেতু তৈরি করে ট্রেইলার পার করা হচ্ছে। জানা গেল, গত বর্ষায় যখন এই খালে পানির চাপ খুব বেড়ে যায়, তখন বিকল্প সড়কের অংশগুলো কেটে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়।

সুলতানপুর পূর্বপাড়া এলাকার অধিবাসী শরিফ জানালেন, পানি যাওয়ার পথগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাষে সমস্যা হয়। আবার ফসল তলিয়ে যায়। চিনারআলাকপুরের দারা মিয়া বললেন, ‘দুইদিকেই পানি আটকে যাচ্ছে। স্বাভাবিক চাষে সমস্যা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি এমপি সাহেবকে বলেছি। উনি বলেছেন, দেখবেন। তারপর আর কিছু হয়নি।’ একই এলাকার জামান মিয়া জানালেন, ‘এবারে ঢল নেমেছে কম। তা না হলে সব তলিয়ে যেত।’ জামান মিয়া আরও বললেন, এই এলাকায় আগে পাইপ কালভার্ট ছিল। সেটি বন্ধ করে বিকল্প রাস্তা করা হয়েছে।

আখাউড়া চেকপোস্টের খুব কাছে তিতাস নদীর উপর নির্মিত কুরুলিয়া সেতুটি অতি ভারি ট্রেইলার বহনের উপযুক্ত না হওয়ায় নদীর এই স্থানে দুইবার বাঁধ দিয়ে বিকল্প সড়ক বানানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দুইবারই বাঁধ ভেঙ্গে যায়। পরে দুই পাড় থেকে কিছুদূর বিকল্প সড়ক টেনে বার্জ আকারের ফেরির ব্যবস্থা করে ট্রেইলারগুলো পার করা হচ্ছে।

নদীতে বাঁধ দিয়ে যখন বিকল্প সড়ক নির্মাণের চেষ্টা চলছিল তখন বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কতটুকু অবগত ছিলেন তা জানা যায়নি। কারণ এ ধরনের যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এক ধরনের অনীহা দেখা গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন এড়িয়ে যেতে। পরামর্শ দিয়েছেন আরও উপর মহলে যোগাযোগ করতে।

আখাউড়া চেকপোস্টের কাছে রয়েছে আবদুল্লাহপুরের বিকল্প সড়ক। বর্ষায় যখন ঢল নামে তখন এই বিকল্প সড়কটি আর কাটারও সুযোগ পাওয়া যায়নি। তলিয়ে যায় সড়কটি। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসল ও মানুষের বাড়িঘর।

ফসলের ক্ষতির ব্যাপারে কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি সমপ্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বলাই চন্দ দাসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘আমি এ ধরনের কোন রিপোর্ট পাইনি। বরং অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পানি ১০-১৫ দিন আগেই নেমে গেছে। পানি আরও কমলে এ অঞ্চলে সরিষার আবাদ হবে।’ তিনি আরও বলেন, জেলার কিছু অঞ্চলে বছরে দুইবার ফসল হয়। আর বেশিরভাগ জায়গাতেই তিন ফসল হয়। এবার আমন চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দুইবার যেসব জায়গায় ফসল হয় সে এলাকাগুলো বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় পানিতে ডুবে থাকে। আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর ও সোহাগপুর এ ধরনের দুই ফসলী এলাকা।

রাতে ট্রেইলার চললেই বিদ্যুত্ বন্ধ করে দেয়া হয়

স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করেছেন, ভারতীয় পণ্যসহ রাতে ট্রেইলারগুলো পথ চলা শুরু করলেই বিদ্যুত্ বন্ধ করে দেয়া হয়। সাধারণত রাত ১২টার দিকে ট্রেইলারগুলো পথে নামে। ঠিক তখনই বন্ধ করে দেয়া হয় বিদ্যুত্। একই সঙ্গে রাস্তায় অন্যান্য যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে ট্রেইলারগুলো সীমান্তের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কখনো দুই ঘন্টা, কখনো চার ঘন্টা বিদ্যুত্ বন্ধ থাকে। ফলে বাসাবাড়িতে কষ্টের সীমা থাকে না। তাছাড়া জমিতে সেচ কাজও বিঘ্নিত হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় আশুগঞ্জের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘বিদ্যুত্ বন্ধ করা হলে নানারকম সমস্যা হয়। কিন্তু ট্রেইলারগুলো যাওয়ার সময় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে, খুঁটি ভেঙ্গে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা বিদ্যুত্ বন্ধ করে থাকি।’ তিনি জানান, এই সড়কের পাশ দিয়ে যে বিদ্যুত্ লাইন গেছে, তার কিছুটা বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ডের আবার কিছুটা পল্লী বিদ্যুতের।

মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ৬ কিলোমিটার সড়ক

বিদ্যুত্ কেন্দে র ভারি যন্ত্রাংশ পরিবহনের কারণে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ও আখাউড়া স্থলবন্দরের কাছে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের মাঝে অসংখ্য বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ পণ্যসহ আশুগঞ্জ ও আখাউড়া বন্দরে ট্রাক নিয়ে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে চালকরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক চালকদের রাজি করাতে হচ্ছে।

ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সড়ক উন্নয়ন না করেই এসব ভারি যন্ত্রাংশ পরিবহন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোন শুল্ক বা চার্জ ছাড়া ভারতকে পণ্য পরিবহন করার সুযোগ দেয়া ঠিক হয়নি। এতে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দেশের স্বার্থ ঠিক রেখে এসব করা হলে আপত্তি নেই।

আখাউড়া সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল বলেন, ‘পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দ ও ট্রানজিটের পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট করায় সাধারণ রপ্তানি কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। পালাটানা বিদ্যুত্ কেন্দে র যন্ত্রাংশ বাংলাদেশের আড়াইশ কিলোমিটার নৌপথ ও ৬০ কিলোমিটার সড়কপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরা নিয়ে যাওয়ার জন্য কোন শুল্ক বা চার্জ কিছুই আদায় করা হয়নি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রাজস্ব কর্মকর্তা কাজী আবুল হোসাইন জানান, পরীক্ষা করে কাগজপত্র অনুযায়ী সব মালামাল ঠিক পাওয়া গেছে। মালামালগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি ৭০ টন ওজনের ওয়াটার টিউব বয়লার, প্রতিটি ৭৫ টন ওজনের রি-অ্যাক্টর ট্যাংক ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফরমার। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই মালামাল খালাস করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ

আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়কের একটি অংশ পড়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে। এই সড়কের সুলতানপুর থেকে একটি সড়ক সরাসরি আখাউড়া চেকপোস্টে চলে গেছে। অতিসম্প্রতি সড়কের এই অংশটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিছু অংশের কাজ হয়েও গেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, এই কাজ ভারতীয় অর্থায়নে ও তাদের তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে।

Click This Link

৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×