চারজন লোক একটি বার এ বসে গল্প করছিলেন।
হঠাৎ করে একজন উঠে ওয়াশরুম এ চলে গেল, অন্য তিনজন তখনও গল্প করতে ব্যস্ত ছিল। একসময় তারা তাদের ছেলেদের সম্বন্ধে কথা বলা শুরু করল,
“সত্যি বলতে কি, আমি একটু চিন্তায়ই ছিলাম যখন আমার ছেলে বলল সে একটা গাড়ির দোকানে গাড়ি ধোয়ার কাজ করবে। কিন্তু জলদি সে সেলসম্যান হিসেবে প্রোমোশন পেল এবং এত টাকার মালিক হল যে পুরো দোকানটাই কিনে ফেলল। এখন সে অনেক ধনী এবং …তার বন্ধুকে জন্মদিনে একটি মার্সিডিজ গিফট করেছে।”
দ্বিতীয় জন মাথা দোলাল তারপর বলল, “আমি আমার ছেলের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কখনই নিশ্চিত ছিলাম না এমনকি যখন সে তার নিজস্ব রিয়াল এস্টেট কোম্পানি খুলে। কিন্তু এখন তার ভাগ্য খুলে গেছে। এইতো কিছুদিন আগে সে তার বন্ধুর জন্মদিনে একটা ভিলা তাকে গিফট করল।”
তৃতীয় ব্যাক্তি বলল, “আমার ছেলে শেয়ার বাজারে তার সবকিছু ইনভেস্ট করে আর ভাগ্যগুনে ত্রিশ কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। এখন সে কারিবিয়ানে নিজের দ্বীপ কিনে সেখানেই থাকে। এইতো সেদিন সে তার বন্ধুকে পনের লাখ টাকার শেয়ার গিফট করল।”
ইতোমধ্যে চতুর্থ লোক ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে শুনল অনন্যারা তাদের ছেলেদের সম্বন্ধে গল্প করছে। তখন সেও বলতে শুরু করল,
” আমার স্বীকার করতেই হবে আমার ছেলে একটা অপদার্থ। সে পনের বছর আগে একটা জিমে কাজ শুরু করে আর এখন পর্যন্ত সেখানেই আছে। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম যে আমার ছেলে সমকামী আর তার অনেকগুলো ছেলেবন্ধু (!) ও আছে।”
এটুকু শুনে বাকিরা তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে তার দিকে তাকাল। কিন্তু সে বলতে থাকল, “ভালোর মধ্যে শুধু এই যে কিছুদিন আগে তার জন্মদিন ছিল আর সে একটি মার্সিডিজ, একটা ভিলা আর পনের লাখ টাকার শেয়ার গিফট পেয়েছে।”
জনি বেশ কিছুদিন চীন ঘুরে ফিরে দেশে ফিরেছে। তো চীনে থাকা কালীন সময়ে সে ভালই মউজ মাস্তি করেছে। চীনা খাবার-দাবার থেকে শুরু করে চীনা মেয়ে-মানুষ কোনটাই তার মেন্যু থেকে বাদ যায়নি। ফলাফল স্বরূপ দেশে ফেরার এক সপ্তাহের মাথায় তার পুরুষাঙ্গ কেমন একধরনের সবুজ সবুজ গোটায় ভরে গেল। প্রচন্ড ভয়ে জনি তখনি ডাক্তারের কাছে ছুটলো। ডাক্তার সব দেখে শুনে চিন্তিত মুখে এদিক ওদিক মাথা নাড়লেন। তারপর এটা ওটা অনেক টেস্ট দিলেন। সেসব টেস্টের রেজাল্ট দেখে তার মুখ আরো গম্ভির হলো। তিনি জনিকে বললেন - মি: জনি আমি খুব দুঃখিত হয়ে জানাচ্ছি যে, আপনার যে রোগ হয়েছে তাতে আপনার ইয়েটা যদি এখনি অপারেশন করে কেটে ফেলা না হয়, তবে আপনার জীবন বাঁচানোই দায় হয়ে যাবে।
জনি এ কথা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো - বলছেন কি ডাক্তার সাহেব?! ওটা ছাড়া এ জীবন রেখে কি হবে? সে কাঁদতে কাঁদতেই গেল তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর কাছে দুঃখের কথা বলবে বলে। তার বন্ধু সব শুনে বলল - শোন দোস্ত, যেহেতু তুই চীনে গিয়ে এই রোগ বাধিয়েছিস সেহেতু এই রোগের চিকিৎসা চীনা কোন ডাক্তারই ভালো জানবে। আমার পরিচিত এক চীনা ভেষজ ডাক্তার আছে। চল তার কাছে যাই। জনি যেন কিছুটা আশা ফিরে পেল, বলল - চল তবে এক্ষুনি যাই।
চীনা ডাক্তার সব দেখে শুনে ভিষন বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে বললেন - তোমাদের দেশের এই সব ছাই পাশ ডাক্তার কি যে সব বলে না! সুযোগ পেলেই খালি ধর মার কাট কাট!! কেন বাপু, কি এমন হয়েছে যে তোমার ওটা অপারেশন করে কেটে ফেলতে হবে?! জনির চোখে আশার আলো ঝিলিক দিয়ে উঠলো - সত্যি বলছেন ডাক্তার সাহেব? আমার তাহলে অপারেশন লাগবে না? ওটা কেটে ফেলতে হবে না?
ডাক্তার বললেন - আরে না বোকা! কোন অপারেশন লাগবে না। তুমি আর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করো। ওটার যা অবস্থা, তাতে ওটা আপনা আপনিই খশে পড়বে ...।