somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শরীয়া আইনের বাস্তবায়ন চাই।যুদ্ধাপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া মাত্রই বায়তুল মোকাররমে বাদ জুম্মা প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ করা হোক

০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জামায়াতের ’মরুব্বী’ সউদীরা ’দূর্বল’ দেশের মানুষদের বিচারে শরীয়া আইনের ইস্তেমাল করে থাকেন। একই অপরাধে ধনী ও শক্তিমত্ত দেশের নাগরিকদের বিচার হয় ভিন্ন ’শরীয়ায়’। নিজেদের রাজ পরিবারের কেউ হলেতো সকল আইনই অচল! একই যাত্রার ভিন্ন ফলাফল।

সউদীদের সংগে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা রাজাকার পূণর্বাসনের রাজনৈতিক যুগে। বাংলাদেশের রাজনীতি যতো বেশী রাজাকার-ফ্রেন্ডলি হয়েছে, ততো বেড়েছে সউদী সৌহার্দ্য ও সাহায্য-সহযোগিতা। অথচ নবীজির উম্মত গরীব বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ বাংগালী মুসলমান তাদের হজ্ব রোজগারের সেরা ক্লায়েন্টদের একজন। সউদী অর্থনীতির বুনিয়াদ নির্মানে পেটে ভাতে শ্রম দিচ্ছে লাখ পঞ্চাশেক বাংগালী। ইসলামী রীতি অনুযায়ী ঘাম শুকাবার আগে বাংগালী শ্রমিকদের পাওনা মেটেনা। বাজার দরের অর্ধেকের চেয়েও কম মুজুরীতে নবীজির বাংগালী উম্মতদের আনঅফিশিয়াল ক্রীতদাস বানিয়ে রাখা হয়েছে পাসপোর্ট জব্দে, আকামার নবায়নের অস্বীকারে।

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যে বাংগালী মুসলমানদের লাগে ’জামায়াতের’ লিখিত অনুমোদন। বাংলাদেশের জংগীদের অর্থায়নে শুনি সউদী যাকাত ফান্ড ব্যবহূত হয়। মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মানের সাহায্যের নামে লাখ লাখ ডলারের যাকাত এনে জামায়াতীরা ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ায়। বিনিময়ে ’রাজনৈতিক নিশ্চুপ’ থেকে বাংগালী আদম সন্তানের ’ক্রীতদাস হবার সউদী যাত্রা নিশ্চিত করে। মুখে আল্লাহ-রসুলের আইন প্রতিষ্ঠার ধূঁয়া তুলে, শরীয়া আইনের প্রয়োজনীয়তা কপচায়। সউদীদের ’বেশরিয়তী’ কাজকে ’জায়েজ’ বানিয়ে বাংলাদেশে কোরানের আইন প্রতিষ্ঠার শ্লোগান দেয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সূচনা শুনি বিলম্বিত হয়েছে সউদী ’উদ্বেগে’। সউদীরা প্রথমতঃ চাননি তাদের ’মিতা’দের বিচার হোক। বাংলাদেশের অমনণীয় মনোবৃত্তির কাছে শেষাবধি নতজানু সউদীরা নিজ ’মিত্র’ জামায়াতী যুদ্ধাপরাধীদের জন্যে অগ্যতা দাবী করেছেন ’ফেয়ার এ্যন্ড ট্রান্সপেরেন্ট’ ট্রায়াল। এক্ষেত্রে সউদীদের দাবীতে শরীয়া আইনের উল্ল্যেখ ছিলোনা। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড আর কাকে বলে!

জামায়াতীরা যেহেতু নিজেদেরকেই ’আল্লাহ’র একমাত্র সৈনিক’ ভাবে, কোরাণ-সুন্নাহ’র শাসন কায়েমের চিৎকারে থাকে, তাদের দলের সকলের বিচার হওয়া উচিত তাদের রাজনৈতিক প্রভু সউদীদের অনুসরনে শরীয়া আইনে। যুক্তি-তর্ক, বাদ-বিবাদ, আইনের মারপ্যাঁচ, জজ-ব্যারিষ্টার সব বাদ। শরীয়া আইনানুযায়ী সরাসরি ক্ষতিগ্রস্হ বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ক্লোজ ডোর বিচার চাই সাঈদী গংদের। শরীয়া আইনানুযায়ী ক্ষতিগ্রস্হরা মাফ না দিলে নো আপিল। নো রিভিশন। নো মার্সি। সাধারণ বাংগালী অভিযুক্তদের আল্লাহ’র আইনের যে ফতোয়ায় ফেলে ’কতল’ করা হয়েছে, সাঈদী গংদেরও সেই ফতোয়ায় ফেলা উচিত। শত হোক, তারা আল্লাহ’র আইন ভিন্ন দুনিয়াবী কোনো তোয়াক্কা করে না।

যুদ্ধাপরাধীদের সউদী আদর্শের অনুকরণে শরীয়া আইন মোতাবেক ক্লোজড ডোর বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া মাত্রই বায়তুল মোকাররমে বাদ জুম্মা প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ করা হোক।

শরীয়া আইনের বাস্তবায়ন চাই।যুদ্ধাপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত হওয়া মাত্রই বায়তুল মোকাররমে বাদ জুম্মা প্রকাশ্যে শিরোশ্ছেদ করা হোক। এবং খুব দ্রুত।
১৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×