somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দেখুনতো ভাবনাগুলো ভুল কি না?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তারা টিভিতে বাংলাদেশের পতাকা পায়ের তলে স্টেজে রেখে অনুষ্ঠান করায় বেশ কথার ঝড় উঠেছে। কি লাভ তাতে? বুঝলাম আপনি আমি আমরা তাদের প্রচন্ড ঘৃণা করি। কিন্তু তাতে কি কোন লাভ আছে। আজ তারা টিভি করছে কাল আরও কয়েকটা চ্যানেল করবে।

কিন্তু তারা এসব কেন করছে বলতে পারেন? ভেবে দেখুনতো আমরা আমাদের দেশকে কতটুকু বড় করে তাদের সামনে তুলে ধরছি? তার চেয়ে বরং আমরা তাদের দিকেই ঝুকে পড়ছি। আমরা কি নিজেদেরকে তাদের সামনে হাসির পাত্র করে তুলিনি? ভেবে দেখুনতো, আজ যদি ভারত পর পর পাঁচবার দূর্ণীতিতে চ্যাম্পিয়ন হত এবং এর পর যদি ভারতের কোন নাগরিক আপনার সামনে তা ভারতীয় বলে পরিচয় দিত তবেকি তার আড়ালে একবার হলেও তাকে তিরস্কার করে মুচকি হাসতেন না? তবে তারা যদি তা করে তবে কি করে তাদের দোষ দেই বলেন। হ্যা এখন হয়তো আমরা আর সে অবস্থানে নেই তবে ঘাঁ টাতো এখনও শুকায়নি, না?

আমাদের নৌবাহিনী মায়ামারের কাছে পরাজিত হয়ে আসে সেইখানে ভারতের মতো একটি পরমাণু শক্তি সম্পন্ন রাষ্ট্র কি করে আমাদের দাম দেয় বলেন?

আমরা নিজেদের জামা কাপড় খুলে ভারতীয়দের সামনে দাড়িয়ে থাকবো আর তারা আমাদের পায়ে হাত দিয়ে পেন্নাম করে যাবে কি করে আশা করেন বলেনতো। বুঝলেন নাতো? আমরা তাদেরকে যেভাবে সব কিছু খুলে দিচ্ছি তাতেকি জামা কাপড় খোলার চেয়ে কম মনে করেন?

ভাই এইসব ফাও প্যাঁচাল পিটটা লাভ নাই। দেশের সরকার যাইয়া ওদের পা চাটবে, তার দাদাভাইরে যা ইচ্ছা তাই করার জন্য দরজা খুলে দিবে আর আপনি এখানে বসে ঘরের দরজা বন্ধ করে, টিভি বন্ধ করে বসে থাকবেন তাতে কি লাভ।

একটা ঘটনা বলি ভাই, আপনারা নিশ্চয়ই জি বাংলায় মীরাক্কেল দেখেছেন। আমিও দেখি। দেখার পিছনে মূল কারণ হল আমাদের দেশের বেশ কয়েকটা ছেলে সেখানে খুব ভাল করছে। এ নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ অন্য যায়গায়।

সেখানে আমাদের দেশের শশী নামের একটা মেয়েও পারফর্ম করে। কিন্তু তার পারফরমেন্সে যতটা না থাকে জোকস তার চেয়ে বেশী থাকে দেশকে পচানো আর জি বাংলার পা চাটা। এসব করে তারা কি আনন্দ পায় বুঝিনা। জোকস করতে হলে নিজের দেশকে কেন অন্য দেশের মানুষের কাছে পচাতে হবে? ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি দেশ নাকি মা। বিশ্বাসও করি তাই। তাহলে এগুলা কি নিজের মাকে অন্যের কাছে হাসির পাত্র করে তুলা না।

এবার মজার ঘটনা শোনেন, শশীর বাড়ী হচ্ছে ভৈরব। ঘটনাক্রমে আমার ভালবাসার মানুষটির বাড়িও সেখানে। একদিন কথা বলতে বলতে বলে বসলো শশী তার ছোটবেলার বান্ধবী। শুনে কিছুক্ষণ চুপ করে রইলাম। তারপর সব তাকে খুলে বলে বললাম যদি কখনও পারে তাকে যেন বলে, দেশটা যেমনই হোক দেশটাকে যেন ভালবাসতে চেষ্টা করে। কথাগুলো শোনার পর বেচারি মন খারাপ করে বসে রইল।

তখন ভাবলাম, এই মানুষগুলো কেন তাদের কাছের মানুষগুলোর গর্ববোধকে পদদলিত করে। জানিনা কেন, তবে এইটুকু বলতে পারি ভারতীয় জনগনকে ধিক্কার না জানিয়ে নিজেদের ধিক্কার জানান।

একটা কথা বলি, আমরা জাতি হিসেবে যতটা পিছিয়ে আছি, মানুষ হিসেবে তার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে আছি।

এভাবে চিন্তা করতে চাইনা, তবু বাধ্য হচ্ছি । আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আর যাই হোক নিজের চিন্তাধারাটাকেতো একটু ঝালিয়ে নেয়া যাবে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×