somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতীয় আগ্রাসন, সীমান্তে লাখো একর জমি হারানো, বাংলাদেশ সরকারগুলোর নতজানু পররাষ্ট্র নীতি ও নিষ্ক্রিয়তা

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা যালিমও হয়ো না, মজলুমও হয়ো না।’

নতজানু পররাষ্ট্রনীতির অর্থই হলো মজলুম হওয়া।

ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন ছিটমহলগুলো দখল করে রেখেছে; সিলেট
সীমান্তে হাজার হাজার একর জায়গা দখল করে রেখেছে; একইভাবে বাংলাদেশের গাফলতির জন্য খাগড়াছড়ির আচালং মৌজায় ১৭শ’ একর জমিও হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। যারা মহান আল্লাহ পাক উনার গায়েবী মদদে বিশ্বাসী। অতএব, বাংলাদেশ- হিন্দুরাষ্ট্র ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেয়ার পক্ষে নয়। কাজেই বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, অবিলম্বে যথোপযুক্ত ও শক্ত ভূমিকা পালন করে দেশের ভূমি হতে দখলদার ভারতকে উচ্ছেদ করে বাংলাদেশের ভূমি হস্তগত করা।

বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তে ছিটমহল সমস্যা দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছর ধরে ঝুলে আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান সমস্যাগুলোর মধ্যে ছিটমহল সমস্যাটি প্রকট ও চিহ্নিত সমস্যাগুলোর অন্যতম। ছিটমহলের মালিক বাংলাদেশ না ভারত তা নির্ধারণেই বছরের পর বছর পার হয়ে গেছে। অমানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এসব ছিটমহলকে ঘিরে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা হয় নিজেদের উদ্যোগেই। ঠিকমতো চিকিৎসা ও শিক্ষা কিছুই মিলছে না ছিটমহলবাসীর। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিচার, পানীয় এবং আধুনিক সব ধরনের যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত ছিটমহলবাসী। ছিটমহলবাসীরা নিজ ভূমিতে থেকেও পরবাসী। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারের সে শক্ত ও জোরালো ভূমিকা নেয়ার দরকার ছিলো।

দুঃখজনকভাবে সরকার তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে এক একর দু’ একর নয়, মায়ানমারের জবরদখলে থাকা ২ হাজার একরেরও বেশি ভূমি সম্পর্কেও সরকারের কোনো খবর নেই। উদ্ধারের প্রক্রিয়া নেই। কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশের দেড় হাজার একর জমি মিয়ানমার দখল করে রাখার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছিল ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি প্রথম উদঘাটন করেন হ্নীলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তৎকালীন তহশীলদার। ভূমি জরিপ অধিদফতর এবং সার্ভে অব বাংলাদেশের মাধ্যমে জরিপ সম্পন্ন করে কী পরিমাণ ভূমি মিয়ানমারের দখলে চলে গেছে তা অতি শীঘ্রই নির্ধারণ করা উচিত। প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির আচালং মৗজার ১৭শ একর জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের এই ভূমি ভারত অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। ২০১১ সালের ২০ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের চূড়ান্ত সীমান্ত ম্যাপ স্বাক্ষর শুরু হলেও এ ভূসম্পদ উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের কানো উদ্যোগ আছে বলে মনে হয় না। সম্প্রতি সিলেট জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারত বাংলাদেশকে ঠকিয়ে ভূয়া জরিপের নামে হাজার হাজার একর জায়গা দখল করে নিয়েছে।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের তাইন্দং ও ১৮৩নং আচালং মৗজার প্রায় ১৭শ একর জমি ভারত ১৯৮৬ সালে জবর দখল করে নেয়। এর আগে সর্বপ্রথম ১৯৬২ সালেও ভারত এ বিশালায়তনের ভূমি জবর দখল নিয়েছিল। পরে ১৯৬২ সালের ২৮ সপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ইপিআর ও ভারতের বিএসএফ’র মধ্যে সংঘটিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এ ভূমিটি উদ্ধার করা হয়। কিন্তু এরপরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা আচালং থেকে ১৯৮৬ সালে উপজাতি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী শান্তিবাহিনীর নাশকতামূলক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অভাবে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে আনা হয়। ফলে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার অমরপুর মহকুমার সীমান্ত ঘষা আচালং এলাকাটি জনশূন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর তীরের বাংলাদেশের প্রায় ১৭শ একর জমি দখল করে নেয়।

১৯৯৫ সালের ৮ম ভারতের ত্রিপুরার সাবরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে দখলকৃত জমি পুনঃজরিপ এবং জরিপ রিপোর্ট চূড়ান্ত অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত ভারতের দখলকৃত আচালংয়ের ওই ১৭শ একর জমি অমীমাংসিত ভূমি হিসেবে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখার যৗথ সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ভারত এ সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে দখলীয় ভূমির উপর পাকা রাস্তা, বিএসএফ ক্যাম্প নির্মাণ ও জমি চাষাবাদসহ সকল কর্তৃত্ব বজায় রখেছে এখনও। ভারত দখল করে নেয়া ১৭শ একর জায়গা উদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের কোনো তৎপরতা না থাকায় শুধু এলাকাবাসীর মাঝে নয়, বরং গোটা দেশবাসীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের জায়গা তারা (ভারত) দখল করে রেখেছে। অথচ আমাদের দেশের সরকারের তরফ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাঝে এ জায়গা উদ্ধারের কানো তৎপরতা দখা যাচ্ছে না।


পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যখন কোনো জনগোষ্ঠী মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কৃত ওয়াদার খিলাফ করে অর্থাৎ হক্ব মত পথ বা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ছেড়ে অনৈসলামী কার্যকলাপে ঝুঁকে যায়, তখন ঐ জনগোষ্ঠীর উপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বিদেশী শক্তি চাপিয়ে দেন।” নাঊযুবিল্লাহ!

কাজেই জনগণকে মনে রাখতে হবে, তারা যেন খালিছ তওবা করে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে ফিরে আসে। তাহলেই তাদের কামিয়াবী হাছিল হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা চিন্তিত হইও না এবং পেরেশান হইও না তোমরাই কামিয়াবী হাছিল করবে, যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।’
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×