পিরোজপুরে যুদ্ধাপরাধীদের হাতে নিহত মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিপিও) ফয়জুর রহমান আহমেদের বিধবা স্ত্রী, দেশবরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হোক। তিনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে কোনও নির্দোষ ব্যক্তির যেন ফাঁসি না হয়- সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে বলেন। বুধবার রাতে আলাপকালে মোহনগঞ্জের গর্বিত সন্তান ঢাকার পল্লবীর বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী আয়েশা ফয়েজ আরও বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আমার স্বামী রক্ত দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি ও শান্তি পৃথিবীতে নেই। ১৯৭১ সালের ৫ মে ফয়জুর রহমান আহমেদ নিহত হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আয়েশা ফয়েজ বলেন, সে সময় আমি আত্মগোপনে ছিলাম। স্বামীর লাশ দেখারও সুযোগ হয়নি। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তিনি খবর পেয়ে পিরোজপুরের নদী তীরবর্তী বধ্যভূমিতে স্বামীর দেহাবশেষের সন্ধান পান। মাথার চুল এবং পোশাক দেখে তাকে শনাক্ত করেন স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ ও তার আত্মীয়স্বজন। পরে সেখান থেকে ফয়জুর রহমান আহমেদের দেহাবশেষ তুলে এনে পিরোজপুর সরকারি কবরস্থানে সমাহিত করা হয় বলে আয়েশা ফয়েজের ছোটভাই মোহনগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. মাহবুবুন্নবী শেখ জানান। দেশের পতাকার লাল সূর্যের মধ্যে স্বামীর রক্ত দেখে আয়েশা ফয়েজ শান্তি পান বলে মাহবুবুন্নবী শেখ জানান।
উল্লেখ্য, ফয়জুর রহমান আহমেদকে হত্যার ঘটনায় জামায়াত ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।