বিসিএস প্রিলিমিনারির পুনর্মূল্যায়িত ফলাফলে মোট ৪৬ হাজার ২৫০ জন লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছেন।
Published : 14 Jul 2013, 09:56 AM
কোটার ভিত্তিতে ফল প্রকাশের প্রতিবাদে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সোমবার আগের ফল বাতিল করে ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার এই ‘সংশোধিত’ ফল প্রকাশ করে।
তবে গত ৮ জুলাই কোটার ভিত্তিতে প্রকাশিত ফলাফলে উত্তীর্ণ ১২ হাজার ৩৩ জনকে রেখেই ফল পুনর্মূল্যায়ণ করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আ ই ম নেছার উদ্দিন।
এই হিসাবে পুনর্মূল্যায়িত ফলে উত্তীর্ণের সংখ্যা আগের ফলের তুলনায় ৩৪ হাজার ২১৭ জন বাড়ল।
বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের জন্য এই পরীক্ষায় ২ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেন বলে পিএসসি কর্মকর্তারা জানান।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কমিশনের ওয়েবসাইটে www.bpsc.gov.bd পুনর্মূল্যায়িত ফল পাওয়া যাবে। তবে এবার কমিশনের নোটিশ বোর্ডে ফলাফলের কোনো কপি টাঙানো হবে না।
এছাড়া যে কোনো মোবাইল থেকে BCS লিখে স্পেস দিয়ে ৩৪ লিখে স্পেস দিয়ে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আগে কোটার ভিত্তিতে প্রকাশিত ফল ইতোমধ্যে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য প্রার্থীদের কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বিপিএসসি ফর্ম-২ ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে হবে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে এই ফরম পাওয়া যাবে।
ফর্ম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ২৫ থেকে ৩১ জুলাই প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এবং ১৮ থেকে ২৯ অগাস্ট প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাতটি বিভাগের প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কমিশনের আঞ্চলিক কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
বিপিএসসি ফর্ম জমা না দিলে কোনো প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আগে শুধুমাত্র নম্বরের ভিত্তিতে প্রিলিমিনারি ফল প্রকাশ হতো। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলে প্রাধান্য পেত কোটা।
এবারই প্রথম ৩৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল কোটা বিবেচনায় ঘোষণা করা হয়, যাতে মেধাবী অনেকেই বাদ পড়েন বলে অভিযোগ তোলেন চাকরি প্রার্থীরা। এরপর চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে গত ১০ জুলাই ওই ফল পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দেয় পিএসসি।
এর পরেও সরকারি চাকরিতে কোট বাতিলের দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যহত রাখে। এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়।
কোটা বাতিলের দাবিতে রোববার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট ডেকেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের মধ্যেই বিএনপি এবং জামায়াত কোটা পদ্ধতি তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।