somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামিলীগের ৫-০ গোলের নেপথ্যে........ আরও গোল অপেক্ষায়!!!!!

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের নেতারা বরাবরই বিরোধী দলের ভুলগুলো পাবলিকের সামনে নিয়ে আসেন আর গলার জোরে প্রমান করতে চান তারা উন্নয়নের জোয়ারে দেশকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের লোকেরা কতোটা ভালো করছেন আর কতোটা খারাপ করছেন তা তাদের চোখে পরে না। তারা এক একজন যে ফেরেস্তা সেটাই প্রমান করার জন্য সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন যদিও পাবলিক ব্যলট বাক্সে অন্য কিছু বলেন।

বিডিআর বিদ্রোহ দিয়ে আওয়ামিলীগে'র বর্তমান শাসন আমল শুরু হয়েছিল। তার পর একে একে শেয়ার বাজার কেলেংকারি, হলমার্ক আর ডেসটিনি কেলেংকারি, সোনালি ব্যাংক কেলেংকারি (বর্তমানে আরও কিছু ব্যাংক কেলেংকারির কথা শোনা যাচ্ছে), পদ্মা সেতু কেলেংকারি, সুরন্জিতের রেল কেলেংকারি চলেছে যেগুলো সারা দেশের মানুষ মিডিয়ার কল্যানে জেনে গেছে।

এইসব কেলেংকারি যদি বাদ দেই তাহলে আসে র‌্যাব কর্তৃক লিমন কে গুলি করে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়া আর সরকারের তদন্ত না করে লিমনের নামেই মামলা ঠুকে দেয়া।

এরপর আসে ইলিয়াস আলী'র গুম। এই নাটকেরও কোনও সুরাহা হল না।

বিশ্বজিৎ হত্যার পর নেত্রী বললেন খুনিরা কেউ আওয়ামিলীগ বা ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত নয়। নির্লজ্জ মিথ্যা কথা মিডিয়া প্রমান করে দিল আর সারাদেশ লজ্জা অবনত চোখে তা চেয়ে চেয়ে দেখল।

সাগর-রুনি'র হত্যাকারিকে খুজে বেড় করতে না পাড়া জাতীয় লজ্জা হয়ে গেল। সাধারন লোকজন ত ধরে নিয়েছে সাগর-রুনি হত্যায় সরকারের হাত আছে। সত্য-মিথ্যা সময়ই বলে দিবে।

এবার আসি শেখ মুজিব হত্যার রায়। এটাই মনে হয়েছে আওয়ামিলীগের একমাত্র সফল মিশন যেহেতু এর সঙ্গে আমাদের নেত্রী'র ব্যক্তিগত ইমোশান জড়িত ছিল। কিন্তু তিনি যদি দেশ নেত্রী হতেন তাহলে প্রথমে পিতৃহত্যার বিচার না করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতেন। সেইক্ষেত্রে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পেতেন। আর তা না করে উনি সর্বশক্তি নিয়োগ করলেন পিতৃ হত্যার বিচার করতে। দ্রুত বিচার সেরে ফাঁসি'র রায় কার্যকর করে হাত ঝেড়ে ফেললেন আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন এমন সময়ে যখন হাতে সময় একেবারেই নেই। ফলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঝুলে রইল পরবর্তী সরকারের অপেক্ষায়। আর সেই সরকার যদি বিএনপি হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কি হবে তা মোটামুটি অগ্রিম ভেবে নেয়া যায়। তার মানে হচ্ছে নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ভোটের নাটক করলেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদিও শেষ বেলায় এসে শুরু করলেন তাও আবার সেই বিচার শুরু করলেন বিতর্কিত ট্রাইবুন্যাল দিয়ে যার ফলে সৃষ্টি হল "গনজাগরন মন্চ্ঞ"। নেত্রী ঘোষনা করলেন "রাজীব" আমাদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ। অথচ মেধাবী ছাত্র ত্বকি হত্যার রহস্য আজও অনুৎঘাটিত রয়ে গেল। সে ব্যপারে নেত্রী কোনও কথা বললেন না। যে গনজাগরন মন্ঞ'র জন্ম হয়েছিল যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেই গনজাগরন মন্ঞ'কে রাজনৈতিক মোড়কে এনে এর প্রকৃত উদ্দেশ্য বানচাল করা হল।

গনজাগরন মন্ঞ'কে ঠেকাতে জন্ম হল "হেফাজতে ইসলাম"। তারা ঢাকায় মহসমাবেশ করল আর দ্বিতীয় দফার মহাসামাবেশে দেশ দেখল তান্ডব কাকে বলে। সেই তান্ডবের শেষ হল রাতের আঁধারে আর দুটি টিভি চ্যানেল বন্ধের মাধ্যমে। দেশ জানল সরকার আলেমদের উপরে নির্বিচার গনহত্যা চালিয়েছে।

আওয়ামিলীগের ৫ বছরের শাসন আমলের সেরা ঘটনা ঘটল শেষ বছর এসে আর তা হল "সাভার ট্রাজেডি"। রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় প্রান হারাল হাজার হাজার শ্রমিক আর নেত্রী এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বললেন "সোহেল রানা"র সঙ্গে আওয়ামিলীগের কোনও রিলেশান নেই। এ যে কত বড় মিথ্যাচার তা মিডিয়া ঠিকই প্রমান করে দিল। এই দুর্ঘটনা (হত্যাকান্ড) নিয়েও আওয়ামিলীগ রাজনীতি করেছে। রেশমা প্রসঙ্গ না হয় বাদ দিলাম। সত্য কি আর মিথ্যা কি তা নিয়ে মিডিয়া জগতে বেশ ভালোই ঝড় বইছে।

সবশেষে আসি আওয়ামিলীগের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে।

নারায়নগন্জ সিটি করপোরেশান নির্বাচনে "আইভি রহমানে"র বদলে চিন্হিত গড ফাদার "শামিম ওসমান" কে নমিনেশান দিল আওয়ামিলীগ আর পাবলিক সেই সিদ্ধান্ত'কে "...... বাড়ি" দিয়ে বুঝিয়ে দিল সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। এতে আওয়ামিলীগের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হল পাবলিক আওমিলীগের প্রকৃত চেহারা চিনে নিল।

গাজীপুরে "জাহাঙ্গীর" নাটক মন্ঞস্থ হল আওয়ামিলীগের নেতৃত্যে। ৫ দিন নিরুদ্দেশ থেকে জাহাঙ্গীর মিডিয়ার সামনে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, "নেত্রী আমার মা, আওয়ামিলীগ আমার প্রান। আমি নেত্রী এবং দলের উপরে পুর্ণ বিশ্বাস রেখে স্বেচ্ছায় আমার নমিনেশান প্রত্যাহার করছি"। তিনি নমিনেশান প্রত্যাহার করলেন ঠিকই তবে পাবলিক যে সেই ফাকে তার দলকে প্রত্যাহার করেছে তা ঠেকিয়ে রাখতে পারলেন না।

শেয়ার বাজার ধ্বস নিয়ে মাল মুহিতের কটুক্তি, ম খা আলমগীরের হরতালে পিকেটার দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ, মানিকগন্জে পুলিশ কর্তৃক গুলি করে মানুষ হত্যা কিংবা টপ টেরর "বিকাশ" কে লুকিয়ে জেল থেকে মুক্তি দেয়াও আওয়ামিলীগের এই ৫ বছরেরই উল্লেক্ষযোগ্য ঘটনা।

এরপরও যদি কেউ বলেন আওয়ামিলীগ দেশ পরিচালনায় সফল তাহলে আমার কিছু বলার নেই। বোবা কেচি কিনতে চাইলে হাত ইসারায় বলে আর অন্ধ সিগারেট কিনতে চাইলে...........................

জয় বাংলা!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×