হাসির রাজা এবং চরম ধড়িবাজ গোপাল ভাঁড় একবার এক লোকের থেকে কিছু টাকা ধার নিলো। কথা হলো এক বছরের মধ্যেই শোধ দিয়ে দেবে। দিন যায়, মাস যায়- গোপালের এই ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নাই। বছর ঘনিয়ে এলে একদিন সেই লোক এসে টাকা ফেরত চাইলো। গোপাল পড়লো ফাঁপরে। আজ নয় কাল দিচ্ছি, কাজে যাচ্ছি এসব বলে কয়েকদিন গোপাল তাকে চক্কর খাওয়ালো। ঐ লোক গোপলের পিছলামি বুঝে আরো বেশি তাগাদা দেয়া শুরু করলো। প্রতিদিনই গোপালের বাড়ি এসে ধর্ণা দিয়ে যায়। গোপাল সাড়া পেয়েই এদিক ওদিক সটকায়। পাওনাদার বুঝলো এমন করে হবে না। একেবারে হাতে নাতে পাকড়াও করার জন্য একদিন গোপালের বাড়ির সামনে ওঁত পেতে থাকলো। গোপাল সন্ধ্যাবেলা চুপি চুপি বাসায় ফিরতেই গোপালকে ধরে ফেললো। আর যাবি কই বাছাধন, আজকে টাকা দিবি নয়তো তোর একদিন কি আমার একদিন। তো ধুরন্ধর গোপাল আটকা পড়ে একগাল হেসে কয়, আরে ভাই তাড়াহুড়ো করো কেন? টাকা তো সময়মত পেয়ে যাবা। সেই লোক তো মহাক্ষ্যাপা, সময়মত মানে? এক বছর তো কবেই শেষ আর কখন হবে সময়? গোপাল হেসে কয়, আরে মাত্র বার মাসে বছর হয় নাকি। আমার কাছে তো আঠার মাসে বছর। কথা শুনে পাওনাদার ব্যাটা পুরা ফিট।
তো এই গল্প ফেঁদে বসার কারণ কি? কারণ হলো সামু আজকাল নতুন ব্লগারদের আঠার মাসে বছর গোনাচ্ছে। প্রায় দশ মাস অপেক্ষা করে মাত্র ওয়াচ এ আসলাম। প্রতিদিন একবার করে আশায় বুক বেঁধে একবার করে উঁকি মারতাম আর স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে চলে যেতাম। সামু রে, তোর আঠার মাসে বছরের হিসাব কই গিয়ে ঠেকবে কে জানে, আমার প্রথম পাতায় ইচ্ছামত ব্লগিং করার সুযোগ আর কতদিন মুলা ঝুলিয়ে রাখবি?