“হটাত আমাদের বাড়ীতে ওরা এল।দেশের শীর্ষ চরমপন্থি ম্রিনাল ও তার দল।আমার বাবা এবং চাচা কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে এবং আমার ছোট চাচী কে সবার সামনে বারংবার ধর্ষণ করে ওই নরপশুরা।যাবার সময় তারা বাবা আর চাচা কে বলে যায় আবার আসবে ওরা।আমার হাতে গুজে দিয়ে যায় কিছু টাকা। বারংবার আসতে থাকে ওরা। ভোগ করতে থাকে আমাকে,আমার চাচিকে।নিজের বাবা মার শাম্নে আমি প্রতিদিন ধর্ষিতা হতে থাকি।বিকৃত লালশার শিকার আমার নববিবাহিতা চাচী গর্ভবতী হয়ে পাগলপ্রায় হয়ে যান।কিছুদিন পরেই তিনি মারা যান। আমার চাচির শোকে চাচাও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু পশুদের কাছে প্রতি রাত্রে আমাকে যেতে হয়।নিজেকে নর্দমার কীট মনে হয়। ভগবানের কাছে এত কাদি, কেন তিনি পুনর্জন্ম নেন না। আমাদের কষ্ট দেখে কি তিনি আবির্ভূত হতে পারেন না।দিঅন্ন কোন লোক নয়,আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা কিভাবে আমার উপর আত অত্যাচার করতে পারে। পুজার শময় মা দুর্গার চরণে পাপের শব টাকা ভেত দিয়ে বলে আসলাম “মা , মুখ তুলে চাও ।আবির্ভূত হও । রক্ষা কর এই পশুদের হাত থেকে।“ মা আমার কথা শুনলেন,
মা RAB এর রুপে আবির্ভূত হয়ে সকল পাপ ধুয়ে ফেললেন।অদের একজন অদের হাতে নিরমম ভাবে মারা গেল।পাপের উপযুক্ত শাস্তি পেল।জয় মা দুর্গা,জয় RAB।“
তারিখটা ঠিক মনে নেই।২০০৪ সালের জুলাই বা আগস্ট মাসের ঘটনা। যায় যায় দিন পত্রিকায় এক নারির আকুতিভরা এই চিঠি প্রকাশিত হয়।পুরনাঙ্গ চিঠি পরে দুচোখে অশ্রু ধরে রাখা কথিন ছিল।দেশের তৎকালীন সন্ত্রাসীদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার ওই নারী এবং তার পরিবার।যায় যায় দিন পত্রিকা ওই নারীর সুস্থ ও নিরাপদ জীবন কামনা করে। কিন্তু এমনও বীভৎস ঘটনা ঘটে চলছে আজো আমাদের চারপাশে।
আবারো দুর্গা পুজা এল।দেশে র্যা বও আছে।জন্ম হয়েছে কিছু নতুন পশুদের।
মেয়েটির সাথে তাই বলতে হয়... ““মা , মুখ তুলে চাও ।আবির্ভূত হও । রক্ষা কর এই পশুদের হাত থেকে। “
(তথ্যসূত্রঃ যায় যায় দিন পত্রিকা )