দুপুর,
সবাই লিখে দিনের মহিমা নিয়ে
লিখে রাতের ঐশ্বর্যকে নিয়ে
আমি,
লিখব দুপুরকে নিয়ে
হোক না সে গরম দেশের কলংক
করুক না সে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ
তবুও দুপুর না থাকলে কিছুই হবে না জীবন্ত
দুপুর এবং কিছু ঘটনা,
ক্লান্ত সব মানুষ ঝিমুচ্ছে যেন
বিশ্রামের স্রোতধ্বনি বাজছে বুঝি
চোরেরা,
রাতের আগাম ঘুম পাড়ি দিচ্ছে
সতর্করা,
ভাবছে রাত্রে বিরাট মাল পাবে বুঝি
পকেটমাররা,
গরমের ক্লান্তি ভুলে মানুষের পকেট কাটছে
কেউ কেউ ধরা পড়ছে, মার খাচ্ছে
তবুও তারা জীবনের আশাকে জিইয়ে রেখেছে।
মরা কাঠের মতো জীবন্ত লাশ তারা হয়েছে।
শিল্পীরা,
সারা সকালের ঝঞ্ঝাটকে খেদাচ্ছেন
কেউবা তাদের কর্ম করছেন নিরলসভাবে
কেউবা ঘুমচ্ছেন, কেউবা প্রাত্যহিক রুটিন মানছেন
সারা জীবনের ব্যর্থটা খুঁজছেন আগ্রহভরে
কৃষকেরা,
মায়ের বুকে লাঙল চষছে
ক্লান্তি যা নিঃ সঙ্গতাকে হার মানাচ্ছে
সাধারণ মানুষেরা,
রোদে পুড়ে, ঘর্মাক্ত শরীরে, ক্লান্তি ভুলে
জীবনের তাগিদে শহরের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটে চলে।
পথে হোঁচট খায়, বাস-ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়,
তবুও নির্বিকার দুপুর; বিকেল গড়িয়ে ক্রমশ সন্ধ্যা হয়।
রাতের শেষে আবারো ভোর হয়-
গত দুপুরের হিসেব নতুন দুপুরের কাছে জমা রয়।
পথিকেরা,
হাইড্রোলিক হর্নে হন্যে হয়ে
নিস্তব্ধতা অথবা ঘুঘুর ডাক খুঁজে ফিরছে
ভ্রান্তিবিলাসিতা জেনেও
হ্যালুসিনেটিভ হতে চাইছে
ক্লান্ত দুপুর ভ্রান্তিতে নেই
অস্তাচলে যাচ্ছে...
ব্লগররা,
..........
কবিতাটা অসমাপ্ত সমাপ্ত করার পরামর্শ চাচ্ছি ***