somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমার প্রশ্নটা একটু দাও তো...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ম্যাডাম এর বাসায় পরীক্ষা,তেমন দরকারি কিছু নয়।তারপরও কেমন যেন টেনশন লাগছে।এস,এস,সি পরীক্ষার রেশ এখনও কাটে নি বোধহয়।মিক্সড ব্যাচ বলেই কিনা কে জানে সবার মাঝে কেমন একটা উৎসব উৎসব ভাব।সিরিয়াস টাইপ ছেলে-মেয়ে দের কথা আলাদা।তারা দাঁতে দাঁতে ঘষে দোয়া পড়ছে।এই ম্যাডাম এর বাসাটা একটু অন্যরকম।নিয়মের কোন কড়াকড়ি নেই।ছেলে-মেয়ে ইচ্ছামত পরীক্ষা দেয়,দিয়ে চলে যায়।কাপল দের কথা আলাদা,তারা পরীক্ষা দিয়েও বাসায় যাওয়ার কোন তাড়া দেখায় না।


প্রশ্ন দেওয়া শুরু হয়েছে।আমি খাতা স্কেল করা শেষ করতেই প্রশ্ন পেয়ে গেলাম।প্রশ্ন পড়ে যখনই লেখা শুরু করব তখনই একটা মেয়ে উল্কার বেগে আমার পাশে এশে দাঁড়ালো।আমি খানিকটা দ্বিধাযুক্ত চোখে তার দিকে তাকালাম।কিছু বুঝে উঠার আগেই মেয়েটা বলে উঠল তোমার প্রশ্নটা দাও তো।বুঝে উঠতে পারছিলাম না মেয়েটা আমাকেই বলছে নাকি।আমাকে বললেও প্রশ্ন চাইবে কেন।ম্যাডাম এর বাসায় কি প্রশ্নের সংকট নকি।পরীক্ষা দিতে এসে কেউ আমার প্রশ্ন চাইছে এ রকম ঘটনা তো আগে ঘটেনি।খানিকটা ঘোর মাখা অবস্থায় প্রশ্ন এগিয়ে দিলাম।আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা প্রশ্ন নিয়ে দিলো দৌড়।যেমন উল্কার বেগে এসেছিলো,তেমনি উল্কার বেগে চলে গেল।আমি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।হলো কী এটা।পরীক্ষা দিতে এসে নিজের প্রশ্নই হারিয়ে ফেললাম।অন্য প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষা দিলাম,কিন্ত সারাটা পরীক্ষায় মাথায় দপদপ করে বাজতে লাগলো তোমার প্রশ্নটা দাও তো।


ম্যাডাম এর বাসায় মেয়েটাকে তারপরেও দেখেছি।কিন্ত আর জিজ্ঞেস করা হয়নি তুমি আমার প্রশ্ন নিয়ে দৌড় দিয়েছিলে কেন।মেয়েটাও আর আমার দিকে ফিরে তাকায়নি।কলেজ খোলার পড়ে ম্যাডাম এর বাসা ছেড়ে দিলাম।কলেজ এর চাপে আস্তে আস্তে ঐ ঘটনা ভুলতে বসলাম।তারপরও মাঝে মাঝে ঐ ঘটনা মনে হত।অবাক হয়ে ভাবতাম মেয়েটা এমন করল কেন,তার কি অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল।আমি কেন কোন কথা বললাম না,কেন জোরে বলে উঠলাম না এই মেয়ে তুমি আমার প্রশ্ন নিয়ে যাচ্ছ কেন।


এখনো পরীক্ষা দেই।এখনো যখন প্রশ্ন হাতে পাই তখন কেন যেন বুকের ভেতরটা হুহু করে উঠে।কেন যেন মনে হয় কেউ পাশে দাঁড়িয়ে বলছে তোমার প্রশ্নটা একটু দাও তো।
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×