রমজানেরই সওদা করি ঈমানের ওজনে
***************
প্রিয় দেশবাসী ও বন্ধুগন
*********************
সংযম শিক্ষা
*************
হৃদয় কে পাপ পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত রেখে সারাদিন উপবাস থাকার নাম সাওম বা রোযা ।
আমাদের দয়াল নবীজী মসজিদে নববিতে বসে সাহাবায়ে কেরাম দের উদ্দেশ্য নুরানি তক্রির
দিচ্ছিলেন ।
এক সাহাবা কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ , আমরা এবাদত করি আল্লাহর রাজি
খুশির জন্য কিন্তু অন্যান্য নবী রাছুল গনের উম্মতেরা বেশি দিন বাচত এবং বেশি বেশি আমল
করার সুযোগ পাইত , নিশ্চই তারা আমাদের চাইতে বড় ভাগ্যবান ।।
নবীজীর নিকট সাথে সাথে জিবরাঈল আ এসে বললেন ইয়া রাছুলুল্লাহ আপনি আপনার
উম্মত কে বলুন তারা এই মহান পবিত্র রমজান মাস পাইল , অথচ নিজেদের কে গুনাহ হইতে নিষ্কৃতি
করাইতে পারলনা তারা বড়ই দুর্ভাগ্যবান ।।
জেনে রাখা ভাল এই রমজান মাস হাজার বছরের অন্যান্য মাস হইতে উত্তম ।
এবং এই রমজান মাসে আল্লাহ পাক জিব্রাইল আ এর মাধ্যমে নবীজীর নিকট কোরআন নাযিল
করেন ,
যার পরিসমাপ্তি ঘটে সুদুর ২৩ বছর ।।
রমজান মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ বন্ধ ছিল , এজন্য এ মাস কে নবীজী রহমতের , বরকতের এবং নাযাতের মাস হিসাবে ঘোষণা দেন ।
যারা এ মাসে রোযা রাখে অতপর ইফতারি সামনে নিয়ে আল্লাহর নিকট শোকরিয়া আদায় করে
তারাই জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ।।
যারা মুসাফির বা রোযা দারের খেদমতে সামান্য দানা পানির ব্যবস্থা করবে তারাও জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ।
রোজাদার ব্যক্তির ঘুম , কাজ কর্ম , চলাফেরা সবি এবাদতের মধ্য গন্য ।
রোজাদারের প্রতি কদমে ছওয়াব ।।
রোজদারের প্রতি দৈনিক ৭০ হাজার ফেরেস্তা রহমত বর্ষণ করতে থাকে ।।
ঐ মাসে যারা দয়াল নবিজির উপর তাজিম বা সম্মানের সহিত বেশি বেশি দরুদ ছালাম প্রেরন করে তাদের উপর আল্লাহ
পাক নিজে অসংখ্য রহমত বর্ষণ করতে থাকে যা হবে আখেরাতে নাজাতের ফসল ।।
এস তাই হে মুমিন
রহমত বরকত আর নাজাতের জন্য
খোদার ক্ষুত্রতি পায়ে লুটাই
লভে নুর নবীজীর শাফায়াত অনন্য ।।