somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শালার কপাল১৮ +

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পোস্টে গালাগালি আছে, নিজ দায়িত্বে ঢুকুন!

সকাল বেলা আজকাল খুব সাবধানে খবরের কাগজখানা পড়তে বসি। সব সময়ে একটা ভয় কাজ করে। আজকে আবার কি খারাপ খবর পড়ব, কে জানে। এই তো অবস্থা আমাদের। এর থেকে উত্তরণের উপায় নেই। আজকে মোহাম্মদপুর থেকে ধানমন্ডি আসতে আমার সময় লাগলো প্রায় ২ ঘন্টা। আসলে তো ২০ মিনিটের রাস্তা। আসতে আসতে গালি দিয়ে ভরিয়ে দিলাম দেশটাকে। দেশের অসভ্য মানুষগুলোকে যারা চিরে চিরে খাচ্ছে সব। এই জ্যামের মধ্যে থেকে আমার চোখ যখন গিয়ে পড়ল, একটা পোস্টারে তখন মাথায় একপ্রকার রক্ত চড়ে গেল। সেখানে লেখা, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের একাগ্র সংগ্রামে আমরাও শরিক হই। তিনি কিসের সংগ্রাম করছেন? দূর্নীতিমুক্ত দেশের। আর শালার শুয়োরের বাচ্চার আমরা, হইলাম গিয়ে আভাগার দল, রাস্তায় বসে বসে এইসব আবলামি পড়ি।

ঈদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরা পথে, আমার বাবা বলছিলেন, এই যে পোস্টার দেখছো, এর পেছেন কারণ কি জানো? আমি বললাম, আর কি তোষামদি। বাপ বলল, নাহ! হয়নাই। এগুলো করার মানে হলো, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এই পোস্টার দেখে খুশি হয়ে পরের টেন্ডারটা এই ব্যাক্তিকেই দেবেন।

মাথা চুলকালাম, আর রাগে রগ রগে হয়ে সেবারও পড়েছিলাম, দূর্নীতিমুক্ত সমাজ করতে তিনি নাকি অংগীকার বদ্ধ। জ্যামে বসে, মাথার ঠিক নাই। তাই ভাবলাম দুইটাকার পত্রিকা পড়ি। শুয়োরের বাচ্চা কয় কি? কয় পত্রিকার দাম বাড়ছে। এখন চারটাকা করে। শালার কপাল। পাশের এক দাদু গোছের লোক সেই পত্রিকা পড়ছিলেন। তার নাম বাংলাদেশ প্রতিদিন। হেডলাইন, ইয়াবার নেশায় ২০ লাখ মানুষ। ধূর, চারটাকা আর খরচ করতে ইচ্ছে হলো না।

বাড়িতে যখন পৌছালাম, তখন আমার তেলে বেগুনে অবস্থা। একটু পর আবার পড়াতে যেতে হবে এক জায়গায়। হাতে সময় আছে মাত্র এক ঘন্টা। এর মধ্যে নাওয়া খাওয়া চলে? কি করার, গোসলটা সারলাম, ভাতও খেলাম। কিন্তু বিশ্রাম আর হলো না।

ফার্মগেট এলাকায় গেলে মেজাজ আরও তিরিক্ষে উঠে। একটা দালান পাওয়া যাবে না যেখানে কোন কোচিং সেন্টারের সাইনবোর্ড নাই। আর এত এত ছাত্র-ছাত্রী, দেখে মনে হয় এগুলানরে কেন রে বাবা শিক্ষিত করতাছি...কথাটা ভুল, এদেরকেও পক্ষান্তরে আমরা চুরি শিখাইতেছি। একেকজনের চোখ বড় ফোলা ফোলা, কেউ ইঞ্জিনেয়ার হবার স্বপ্ন দেখতাছে, কেউ ডাক্তার, কেউ বিজনেস ম্যান। শালার এক পলিটিশিয়ান কেউ হইতে চায় না। দেশটারে উদ্ধার করবো কে? শালার এই কোচিং সেন্টারগুলা দেখলে আজকাল আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে বড়। তবু নিজের জীবন বড় প্রিয়, আর আমি মরলে কার কি?

পড়ানো শেষ করে বাসায় আসতে চোখে পানি চলে আসলো। ফার্মগেট থেকে আমার বাসা সবে ১০ মিনিটের রাস্তা আসলাম এক ঘন্টা ১০ মিনিটে। সরকার কি বাল ফেলায় জানি না। কোন কিছুর ঠিক নাই। যে যেমনে ইচ্ছা চলতেছে। কারও কোন গরজ নাই। তারমধ্যে নিজের জীবনটা আবর্জনা দিয়ে সাজাচ্ছি। শালার কপাল।

আমার বন্ধুর অনেক শখ, একটা ভয়াবহ ভূমিকম্প দরকার বুঝলি দোস্ত। সব শেষ হয়ে যাক। অন্তত এক কোটি মানুষও যদি কমে, তাও কত শান্তি। শালার বাঙ্গালী, খাইতে পাবে না, কিন্তু সেক্স করতে ওস্তাদ। আমার মনে হয়, সেক্স করা এদের একটা হবি। আর প্রোডাকশন হইতে হইতে দেশটারে ছালা বানায়া ফেলতেছে। কিছুক্ষণ জ্যামে বসা মানেই, হাতের কাছে হাত বাড়িয়ে দেওয়া কতগুলা কুলাঙ্গারের বাচ্চা কুলাঙ্গার। আর আমরাও কম কিসে, দিয়েই যাচ্ছি দিয়েই যাচ্ছি...ওরে দিলে কি তোর আজকের ঘুষের টাকা হালাল হবেরে হতচ্ছাড়া...!

কি আর বলব, একটা কঠিন ভূমিকম্প কেন হয় না? কেন আবার নতুন করে সব শুরু হয় না। তার জন্য যদি আমার মৃত্যুও হয়, তাও মেনে নেব, তবু ভাই একটুকরো শান্তির জন্য মনটা খুব আকুপাকু করে...শালার কপাল!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৮
১৬টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×