somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

প্রদীপ হালদার
আমি জাতিস্মর। সপ্তমবার মানব জন্ম। অষ্টমবার মানব জন্ম নিয়ে আবার পৃথিবীর বুকে ফিরবো। সীতারাম নন্দী(১ম), কৃষ্ণকান্ত নন্দী(২য়),কাশিমবাজার রাজা কৃষ্ণনাথ রায়(৩য়),বিজয়কৃষ্ণদুলাল পাল(৪র্থ),হরিদাস মুখার্জী(৫ম),রমেশ সাহা(৬ষ্ঠ),প্রদীপ হালদার(৭ম)।

লেখাপড়া সত্যই কি বিলাসিতা নাকি বাবা মায়ের কথা না শুনে চলা ?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত শেষ হয়েছে। দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে। একমাত্র ছেলেটি ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে মাটির বারান্দার এককোণে মাদুর পেতে বসে আছে। সামনে রাখা আছে নানান রকমের বই। ছেলেটির বাবা লেখাপড়া জানে না। ছেলেটির বাবা এখন জমিতে যাবে চাষের কাজে। নইলে যে খাওয়া জুটবে না। ছেলেটি চীৎকার করে করে একটা বাংলা কবিতা মুখস্থ করছে।সেটা শুনে ছেলেটির বাবার মনে প্রশ্ন জাগে- ছেলেটি কত কষ্ট করে জোরে জোরে চীৎকার করে কি একটা কবিতা পাঠ করছে। এই কবিতা জীবনের কোন্‌ কাজে লাগবে ? যে সময়টা ছেলে নষ্ট করছে কবিতা পড়ে, তার চেয়ে বাবা ছেলেতে জমিতে কাজ করে সংসারের জন্য কিছু টাকা পয়সা নিয়ে আসা যেতো। বাবার ভাবনা ঠিকই । অন্যের লেখা গল্প , কবিতা পড়ে ছেলেটি এক রাজকীয় বিলাসিতার মধ্যে সময় কাটাচ্ছে। একমাত্র মেয়েটিও সেজেগুজে স্কুলে যাবার জন্য তৈরী।বাবার ভাবনা - কোথায় মেয়েটি বাড়ীতে কাজকর্ম করবে , সেটা না করে স্কুলে চললো আড্ডা দিতে। মেয়েটিও দেখি কি যতসব অন্যের লেখা কবিতা পড়ছে , কত রকমের গল্পের বই পড়ছে। এসব পড়ে মেয়েটি জীবনে কি করবে ? এরই নাম লেখাপড়া। এই লেখাপড়া করে মেয়েটি এম.এ. পাশ করলো। বাবার সমস্যা হলো মেয়ের উপযুক্ত পাত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মেয়েকে যে পরের ঘরে পাঠাতে হবে।লেখাপড়া জানা ছেলে যে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ লেখাপড়া না শেখালে এতদিনে মেয়ের বিয়ে হয়ে যেতো। বাবাকে আর বেশীদিন ভাবতে হয় না।একদিন দেখা গেলো মেয়েকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ খোঁজ। জানা গেলো মেয়ে কলেজে পড়া এক ছেলের সাথে ভালোবাসা করে বিয়ে করেছে।বাবার মনে দুঃখ হলো। পরে একদিন জানা গেলো পণপ্রথার বলি হয়ে মেয়েটি আগুনে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে। আর একমাত্র ছেলেটি এম.এ.পাশ করে বাড়ীতে বসে আছে। এই ছেলেটি এখন আর বাবার চাষের কাজে লাগে না। গরিবের ছোঁয়া এখন বাবার জীবনে। আর তার ভাবনা -কি দরকার ছিল লেখাপড়ার। লেখাপড়া না শিখলে ছেলেটি চাষবাস করতে শিখতো আর মেয়েটিকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া যেতো। সবার কথা শুনে চলতে গিয়ে আজ আর তার কিছু নেই। লেখাপড়া সত্যই কি বিলাসিতা নাকি বাবা মায়ের কথা না শুনে চলা ?
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১

জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×